ভোলার লালমোহনে আমন ধানের ক্ষেতে ইঁদুরের আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা। কীটনাশক এবং ফাঁদ ব্যবহার করেও ইঁদুরের আক্রমণ ঠেকাতে পারছেন না তাঁরা। ক্ষেতের ধান গাছ কেটে সাবাড় করে দিচ্ছে ইঁদুর। আমন ধানের ক্ষেতে ইঁদুরের এমন বেপরোয়া আক্রমণ কৃষকদের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইঁদুরের এমন আক্রমনে দুশ্চিন্তাই রয়েছেন কৃষকরা ।
জানা যায়, মাঠের পর মাঠজুড়ে কেবল সোনালী ধানের সবুজের সমারোহ। তবে সেই সবুজের বুকে কেউ যেন ক্ষত চিহ্ন এঁকে দিয়েছে। ইঁদুরের আক্রমণে দূর থেকে আমনের ক্ষেতে চোখ পড়লে এমনটাই মনে হচ্ছে। কৃষকরা ইঁদুর দমন করতে নানা ধরনের ওষুধ ও ফাঁদ ব্যবহার করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না। ক্ষেতে ধান গাছের অবস্থা ভালো হলেও শেষ পর্যন্ত ইঁদুরের এমন বেপরোয়া আক্রমণে ফলনের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
কালমা ইউনিয়নের কৃষক মো. হানিফ বয়াতি এবং রেজাউল করিম বলেন, মৌসুমের শুরুতেই অতিবৃষ্টির কারণে আমন ধানের বীজতলা কয়েকবার নষ্ট হয়ে গেছে। তবুও বিভিন্নভাবে চারা সংগ্রহ করে নির্ধারিত জমিতে আমনের আবাদ করেছি। তবে সেই ধানে এখন ব্যাপকভাবে আক্রমণ চালাচ্ছে ইঁদুর। পোকার চেয়েও আমরা এখন বেশি ইঁদুর আতঙ্কে রয়েছি।
চরছকিনা এলাকার কৃষক মো. সেলিম জানান, ১২০ শতাংশ জমির মধ্যে অন্তত ৩০ শতাংশ জমির ধান গাছ ইঁদুরে কেটে ফেলেছে। এ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছি। কৃষি অফিস থেকে পরামর্শ নিয়েও এ ইঁদুরের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যাচ্ছে না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আবু হাচনাইন বলেন, ফসলের মাঠে ইঁদুর একটি জাতীয় সমস্যা। প্রতিবছরই ইঁদুর অনেক ফসলের ক্ষতি করে। কৃষকরা ইঁদুরের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সভার মাধ্যমে কৃষকদের নিয়ে ইঁদুরের আক্রমণ প্রতিরোধ মূলক সচেতনতামূলক সভা করা হচ্ছে ।
তিনি আরও বলেন, উপজেলায় এবছর ২৩ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে অতিবৃষ্টিতে ধানের বীজতলা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। সর্বশেষ এবার ২৩ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েছে।
বাংলা স্কুপ/ প্রতিনিধি/ এনআইএন/ এসকে
জানা যায়, মাঠের পর মাঠজুড়ে কেবল সোনালী ধানের সবুজের সমারোহ। তবে সেই সবুজের বুকে কেউ যেন ক্ষত চিহ্ন এঁকে দিয়েছে। ইঁদুরের আক্রমণে দূর থেকে আমনের ক্ষেতে চোখ পড়লে এমনটাই মনে হচ্ছে। কৃষকরা ইঁদুর দমন করতে নানা ধরনের ওষুধ ও ফাঁদ ব্যবহার করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না। ক্ষেতে ধান গাছের অবস্থা ভালো হলেও শেষ পর্যন্ত ইঁদুরের এমন বেপরোয়া আক্রমণে ফলনের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
কালমা ইউনিয়নের কৃষক মো. হানিফ বয়াতি এবং রেজাউল করিম বলেন, মৌসুমের শুরুতেই অতিবৃষ্টির কারণে আমন ধানের বীজতলা কয়েকবার নষ্ট হয়ে গেছে। তবুও বিভিন্নভাবে চারা সংগ্রহ করে নির্ধারিত জমিতে আমনের আবাদ করেছি। তবে সেই ধানে এখন ব্যাপকভাবে আক্রমণ চালাচ্ছে ইঁদুর। পোকার চেয়েও আমরা এখন বেশি ইঁদুর আতঙ্কে রয়েছি।
চরছকিনা এলাকার কৃষক মো. সেলিম জানান, ১২০ শতাংশ জমির মধ্যে অন্তত ৩০ শতাংশ জমির ধান গাছ ইঁদুরে কেটে ফেলেছে। এ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছি। কৃষি অফিস থেকে পরামর্শ নিয়েও এ ইঁদুরের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যাচ্ছে না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আবু হাচনাইন বলেন, ফসলের মাঠে ইঁদুর একটি জাতীয় সমস্যা। প্রতিবছরই ইঁদুর অনেক ফসলের ক্ষতি করে। কৃষকরা ইঁদুরের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সভার মাধ্যমে কৃষকদের নিয়ে ইঁদুরের আক্রমণ প্রতিরোধ মূলক সচেতনতামূলক সভা করা হচ্ছে ।
তিনি আরও বলেন, উপজেলায় এবছর ২৩ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে অতিবৃষ্টিতে ধানের বীজতলা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। সর্বশেষ এবার ২৩ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েছে।
বাংলা স্কুপ/ প্রতিনিধি/ এনআইএন/ এসকে