খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পানছড়ি উপজেলাতে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (পিসিজেএসএস) সশস্ত্র দুর্বৃত্তের হামলায় সাবেক ছাত্রনেতা ও ইউপিডিএফ সংগঠক মিটন চাকমাকে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইউপিডিএফভুক্ত চার সংগঠন। এই হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছে তারা।
সোমবার (১১ নভেম্বর) পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অঙ্কন চাকমা, সাধারণ সম্পাদক অমল ত্রিপুরা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি নীতি চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সভাপতি জিকো ত্রিপুরা ও পার্বত্য চট্টগ্রাাম নারী সংঘের সভাপতি কণিকা দেওয়ান গণমাধ্যমে পাঠানো এক যুক্ত বিবৃতিতে এই নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
তাঁরা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি ছাত্র-জনতা যখন আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলসমূহকে সংঘাত বন্ধ করে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে কথা বলছে, ঠিক সে সময়ে রোববার (১০ নভেম্বর) মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার মৃত্যুবার্ষিকীর দিনে খাগড়াছড়ির পানছড়িতে পিসিজেএসএস সন্তু গ্রুপের দুর্বৃত্তরা সশস্ত্র হামলা চালিয়ে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি ও ইউপিডিএফ’র সংগঠক মিটন চাকমাকে গুলি করে হত্যা করেছে। এর কিছুদিন আগেও পানছড়িতে ৪জন ইউপিডিএফ সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, পিসিজেএসএসের প্রধান সন্তু লারমা তথাকথিত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের আন্দোলনের নামে মানুষকে দিবাস্বপ্ন দেখিয়ে বিভ্রান্ত করছে। প্রকৃতপক্ষে তিনি চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য কোন আন্দোলন করছেন না, কেবলমাত্র তার আঞ্চলিক পরিষদের গদি রক্ষা করতেই সেনাবাহিনীর এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন। তিনি সেনাবাহিনীর মদদে পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘাত জিইয়ে রেখেছেন এবং তার সশস্ত্র বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়ে ইউপিডিএফ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের হত্যায় মেতে উঠেছেন।
বিবৃতিতে চার সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে পানছড়িতে অবস্থানরত পিসিজেএসএস সন্তু গ্রুপের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ এবং মিটন চাকমাকে হত্যার সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানান।
উল্লেখ্য, মিটন চাকমা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পালি বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন (২০২০-২০২১ সেশন) এবং পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে ২০২২ সালের নভেম্বরে ইউপিডিএফে যোগ দেন। তিনি খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলাধীন উদোলবাগান গ্রামের সুশান্ত চাকমার ছেলে।
বাংলা স্কুপ/খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি/এসকে
সোমবার (১১ নভেম্বর) পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অঙ্কন চাকমা, সাধারণ সম্পাদক অমল ত্রিপুরা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি নীতি চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সভাপতি জিকো ত্রিপুরা ও পার্বত্য চট্টগ্রাাম নারী সংঘের সভাপতি কণিকা দেওয়ান গণমাধ্যমে পাঠানো এক যুক্ত বিবৃতিতে এই নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
তাঁরা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি ছাত্র-জনতা যখন আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলসমূহকে সংঘাত বন্ধ করে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে কথা বলছে, ঠিক সে সময়ে রোববার (১০ নভেম্বর) মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার মৃত্যুবার্ষিকীর দিনে খাগড়াছড়ির পানছড়িতে পিসিজেএসএস সন্তু গ্রুপের দুর্বৃত্তরা সশস্ত্র হামলা চালিয়ে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি ও ইউপিডিএফ’র সংগঠক মিটন চাকমাকে গুলি করে হত্যা করেছে। এর কিছুদিন আগেও পানছড়িতে ৪জন ইউপিডিএফ সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, পিসিজেএসএসের প্রধান সন্তু লারমা তথাকথিত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের আন্দোলনের নামে মানুষকে দিবাস্বপ্ন দেখিয়ে বিভ্রান্ত করছে। প্রকৃতপক্ষে তিনি চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য কোন আন্দোলন করছেন না, কেবলমাত্র তার আঞ্চলিক পরিষদের গদি রক্ষা করতেই সেনাবাহিনীর এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন। তিনি সেনাবাহিনীর মদদে পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘাত জিইয়ে রেখেছেন এবং তার সশস্ত্র বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়ে ইউপিডিএফ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের হত্যায় মেতে উঠেছেন।
বিবৃতিতে চার সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে পানছড়িতে অবস্থানরত পিসিজেএসএস সন্তু গ্রুপের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ এবং মিটন চাকমাকে হত্যার সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানান।
উল্লেখ্য, মিটন চাকমা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পালি বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন (২০২০-২০২১ সেশন) এবং পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে ২০২২ সালের নভেম্বরে ইউপিডিএফে যোগ দেন। তিনি খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলাধীন উদোলবাগান গ্রামের সুশান্ত চাকমার ছেলে।
বাংলা স্কুপ/খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি/এসকে