টানা ৫৩ ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে অবরোধ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। সোমবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে তাঁরা অবরোধ প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। এরপরই মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। গাজীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. এরশাদ মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, শনিবার (৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন শ্রমিকরা। তিনদিন ধরে চলে এই অবরোধ। গাজীপুর মহানগরীর মোগরখাল এলাকায় টিএনজেড গ্রুপের ছয়টি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা গত সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে এই বিক্ষোভ করছিলেন। বেতন পরিশোধের আশ্বাসে তাঁরা অবরোধ তুলে নিলেন।
এ ব্যাপারে গাজীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. এরশাদ মিয়া বলেন, শ্রমিকদের পাওনা কীভাবে পরিশোধ করা যেতে পারে সে ব্যাপারে স্যারের (সচিব) সঙ্গে আলোচনা করব বলেছি। এই আশ্বাসের পর শ্রমিকরা আজকের মতো অবরোধ ছেড়ে দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘বেতন না পেলে মহাসড়ক ছাড়ব না—এই দাবিতে শ্রমিকরা সড়কে শক্ত অবস্থান নিলে এক মাসের বেতন আগামী রোববার (১৭ নভেম্বর) প্রদান করা হবে বলে মুঠোফোনে শ্রমসচিব প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। এমন আশ্বাসের প্রেক্ষিতে সোমবার (১১ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে টিএনজেড গ্রুপের আন্দোলনকারী শ্রমিকরা মহাসড়ক থেকে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন। এতে দুই মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে টানা ৫৩ ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধের অবসান হলো।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ-উত্তর) নাজির আহমেদ বলেন, সোমবার দুপুর ১টার পর শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে মোবাইল ফোনে বক্তব্য দেন। তার ওই বক্তব্য সেখানকার মাইকে প্রচার করা হয়। এ সময় সেখানে গাজীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা, শিল্প পুলিশ ও আন্দোলনকারী শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন।
উপপুলিশ কমিশনার বলেন, শ্রম সচিব বলেছেন, সরকার দায়িত্ব নিয়ে আগামী রোববারের মধ্যে ৬ কোটি টাকা অনুদান হিসেবে দেবে। শ্রমিকদের অন্যান্য দাবি ও পাওনা কীভাবে, কবে পরিশোধ করা হবে তা আলোচনার জন্য শ্রমিকদের একটি প্রতিনিধি দলকে ঢাকায় আমন্ত্রণ জানান তিনি। ‘আপনারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিন, আমরা অপেক্ষায় আছি’ বলেন সচিব। এ সময় শ্রমিকদের মহাসড়ক ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন তিনি।
গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশ-২-এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বলেন, শ্রমিকদের বকেয়া বেতনের বিষয়টি সরকারিভাবে পরিশোধের আশ্বাস প্রদান করা হলে তারা অবরোধ তুলে নেন। এখন ওই মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
বাংলা স্কুপ/ প্রতিনিধি/ এনআইএন/ এসকে
জানা যায়, শনিবার (৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন শ্রমিকরা। তিনদিন ধরে চলে এই অবরোধ। গাজীপুর মহানগরীর মোগরখাল এলাকায় টিএনজেড গ্রুপের ছয়টি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা গত সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে এই বিক্ষোভ করছিলেন। বেতন পরিশোধের আশ্বাসে তাঁরা অবরোধ তুলে নিলেন।
এ ব্যাপারে গাজীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. এরশাদ মিয়া বলেন, শ্রমিকদের পাওনা কীভাবে পরিশোধ করা যেতে পারে সে ব্যাপারে স্যারের (সচিব) সঙ্গে আলোচনা করব বলেছি। এই আশ্বাসের পর শ্রমিকরা আজকের মতো অবরোধ ছেড়ে দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘বেতন না পেলে মহাসড়ক ছাড়ব না—এই দাবিতে শ্রমিকরা সড়কে শক্ত অবস্থান নিলে এক মাসের বেতন আগামী রোববার (১৭ নভেম্বর) প্রদান করা হবে বলে মুঠোফোনে শ্রমসচিব প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। এমন আশ্বাসের প্রেক্ষিতে সোমবার (১১ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে টিএনজেড গ্রুপের আন্দোলনকারী শ্রমিকরা মহাসড়ক থেকে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন। এতে দুই মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে টানা ৫৩ ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধের অবসান হলো।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ-উত্তর) নাজির আহমেদ বলেন, সোমবার দুপুর ১টার পর শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে মোবাইল ফোনে বক্তব্য দেন। তার ওই বক্তব্য সেখানকার মাইকে প্রচার করা হয়। এ সময় সেখানে গাজীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা, শিল্প পুলিশ ও আন্দোলনকারী শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন।
উপপুলিশ কমিশনার বলেন, শ্রম সচিব বলেছেন, সরকার দায়িত্ব নিয়ে আগামী রোববারের মধ্যে ৬ কোটি টাকা অনুদান হিসেবে দেবে। শ্রমিকদের অন্যান্য দাবি ও পাওনা কীভাবে, কবে পরিশোধ করা হবে তা আলোচনার জন্য শ্রমিকদের একটি প্রতিনিধি দলকে ঢাকায় আমন্ত্রণ জানান তিনি। ‘আপনারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিন, আমরা অপেক্ষায় আছি’ বলেন সচিব। এ সময় শ্রমিকদের মহাসড়ক ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন তিনি।
গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশ-২-এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বলেন, শ্রমিকদের বকেয়া বেতনের বিষয়টি সরকারিভাবে পরিশোধের আশ্বাস প্রদান করা হলে তারা অবরোধ তুলে নেন। এখন ওই মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
বাংলা স্কুপ/ প্রতিনিধি/ এনআইএন/ এসকে