কলাপাড়ার লতাচাপলীতে মুজিব শতবর্ষের আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর বিক্রি হচ্ছে মোটা অংকের টাকায়। ঘর বরাদ্দ পাওয়ার সাত মাসের মধ্যে অনেকে বিক্রি করে চলে গেছেন নিজ বসতবাড়িতে। প্রকল্পের অন্তত চারটি ঘর ইতোমধ্যে বিক্রি করা হয়েছে। আরও কয়েকটি বিক্রির জন্য চলছে দেন-দরবার। প্রকৃত ভূমিহীনকে বরাদ্দ না দেওয়ায় এমন অবস্থা হয়েছে বলে আশ্রয়নবাসীর অভিযোগ।
জানা গেছে, নয়াপাড়া-ফাসিপাড়া গ্রামে আশ্রয়নের ৬৪টি ঘর নির্মাণ করা হয়। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে চলতি বছরের মার্চ মাসে নির্মাণ কাজ শেষ হয়। প্রত্যেক ঘর নির্মাণে দুই লাখ ৮৬ হাজার টাকা ব্যয় করা হয়েছে। ঘরগুলো গত ২১ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। লতাচাপলী ইউনিয়ন ও কুয়াকাটা পৌরসভার প্রকৃত ভূমিহীন-গৃহহীনকে বসবাসের জন্য বরাদ্দ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বেশ কিছু ঘর দেওয়া হয়েছে বিত্তশালীদের। ফলে অনেকে এ ঘর বিক্রি করে দিয়েছেন। কেউ কেউ ভাড়া দিয়েছেন।
জানা গেছে, আশ্রয়নের ৩৭ নম্বর ঘর বরাদ্দ পেয়েছেন নুরুন্নাহার বেগম। তিনি স্থানীয় বাসিন্দা মো. হানিফের কাছে এক লাখ ২০ হাজার টাকায় ঘরটি বিক্রি করে দিয়েছেন। ৪১ নম্বর ঘরের মালিক নূর হোসেন। তিনি সুমন মিয়ার কাছে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। ৫১ নম্বর ঘর বরাদ্দ পেয়েছেন মোসা. সনিয়া বেগম। তিনিএক লাখ ২০ হাজার টাকায় জহিরুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করেছেন। ৫৩ নম্বর ঘরের মালিক শহীদ ফকির বিক্রি করেছেন আসাদুল বেপারীর কাছে।
একইভাবে ১১ নম্বর ঘর আ. ছালাম বরাদ্দ পেয়ে ফেরদৌসী বেগমের কাছে ভাড়া দিয়েছেন। ৫৪ নম্বর ঘর বরাদ্দ পেয়েছেন হেমায়েত উদ্দিন। তিনি নিজের বাড়িতে গেছেন। এখন সেখানে থাকছেন ফেরদৌস ও পাখি দম্পতি। বিধবা নূরভানুর নামের ২৪ নম্বর ঘরে থাকছেন বেল্লাল হোসেন। যেন যাচ্ছেতাই অবস্থা চলছে।
এছাড়া ঘরগুলো নিম্নমানের টিন ও মালামাল দিয়ে করা হয়েছে বলেও বাসীন্দাদের অভিযোগ। চলাচলের রাস্তা নেই। কাদাপানি জমে থাকে। যারা বসবাস করছেন তাদের সমস্যার শেষ নেই। ৪৫ নম্বর ঘরের বাসিন্দা মোসাম্মৎ সাথী বলেন, ‘আমার ঘরে ওঠার সময় পিছনের একটা দরজা ও সামনের একটি জানালা ভাঙ্গা পেয়েছি। পেছনের জানালা ছিল না। পানি বিদ্যুৎ নাই। বসবাস করতে ভোগান্তি অনেক। একই অভিযোগ তারেক হোসেন, লালবরুর ও ছিদ্দিকের।
কলাপাড়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.রবিউল ইসলাম বলেন, কেউ ঘর বিক্রি করলে তার বরাদ্দ বাতিল করে অসহায় অন্য কাউকে নতুন করে বরাদ্দ দেওয়া হবে।
বাংলা স্কুপ/ প্রতিনিধি/ এনআইএন/ এসকে
জানা গেছে, নয়াপাড়া-ফাসিপাড়া গ্রামে আশ্রয়নের ৬৪টি ঘর নির্মাণ করা হয়। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে চলতি বছরের মার্চ মাসে নির্মাণ কাজ শেষ হয়। প্রত্যেক ঘর নির্মাণে দুই লাখ ৮৬ হাজার টাকা ব্যয় করা হয়েছে। ঘরগুলো গত ২১ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। লতাচাপলী ইউনিয়ন ও কুয়াকাটা পৌরসভার প্রকৃত ভূমিহীন-গৃহহীনকে বসবাসের জন্য বরাদ্দ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বেশ কিছু ঘর দেওয়া হয়েছে বিত্তশালীদের। ফলে অনেকে এ ঘর বিক্রি করে দিয়েছেন। কেউ কেউ ভাড়া দিয়েছেন।
জানা গেছে, আশ্রয়নের ৩৭ নম্বর ঘর বরাদ্দ পেয়েছেন নুরুন্নাহার বেগম। তিনি স্থানীয় বাসিন্দা মো. হানিফের কাছে এক লাখ ২০ হাজার টাকায় ঘরটি বিক্রি করে দিয়েছেন। ৪১ নম্বর ঘরের মালিক নূর হোসেন। তিনি সুমন মিয়ার কাছে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। ৫১ নম্বর ঘর বরাদ্দ পেয়েছেন মোসা. সনিয়া বেগম। তিনিএক লাখ ২০ হাজার টাকায় জহিরুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করেছেন। ৫৩ নম্বর ঘরের মালিক শহীদ ফকির বিক্রি করেছেন আসাদুল বেপারীর কাছে।
একইভাবে ১১ নম্বর ঘর আ. ছালাম বরাদ্দ পেয়ে ফেরদৌসী বেগমের কাছে ভাড়া দিয়েছেন। ৫৪ নম্বর ঘর বরাদ্দ পেয়েছেন হেমায়েত উদ্দিন। তিনি নিজের বাড়িতে গেছেন। এখন সেখানে থাকছেন ফেরদৌস ও পাখি দম্পতি। বিধবা নূরভানুর নামের ২৪ নম্বর ঘরে থাকছেন বেল্লাল হোসেন। যেন যাচ্ছেতাই অবস্থা চলছে।
এছাড়া ঘরগুলো নিম্নমানের টিন ও মালামাল দিয়ে করা হয়েছে বলেও বাসীন্দাদের অভিযোগ। চলাচলের রাস্তা নেই। কাদাপানি জমে থাকে। যারা বসবাস করছেন তাদের সমস্যার শেষ নেই। ৪৫ নম্বর ঘরের বাসিন্দা মোসাম্মৎ সাথী বলেন, ‘আমার ঘরে ওঠার সময় পিছনের একটা দরজা ও সামনের একটি জানালা ভাঙ্গা পেয়েছি। পেছনের জানালা ছিল না। পানি বিদ্যুৎ নাই। বসবাস করতে ভোগান্তি অনেক। একই অভিযোগ তারেক হোসেন, লালবরুর ও ছিদ্দিকের।
কলাপাড়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.রবিউল ইসলাম বলেন, কেউ ঘর বিক্রি করলে তার বরাদ্দ বাতিল করে অসহায় অন্য কাউকে নতুন করে বরাদ্দ দেওয়া হবে।
বাংলা স্কুপ/ প্রতিনিধি/ এনআইএন/ এসকে