নাটোরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতার উপর হামলা চালিয়েছে পৌর যুবদলের নেতাকর্মীরা। ছাত্রনেতা অনিক সরকারের ওপর যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক শাহীন আহম্মেদ শিপলু গ্রুপের লোকেরা এ হামলা চালায়। রোববার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের বঙ্গজল রাজবাড়ি এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, সন্ধ্যা ৭টার দিকে শহরের বঙ্গজল রাজবাড়ির সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্রনেতা অনিক সরকার ওপর মোটরসাইকেলযোগে আসা দুইজন ব্যক্তি অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় অনিক সরকারকে কাঠের বাটাম দিয়ে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেয় তারা। অনিকের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে গেলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী অনিক সরকার বলেন, ১০ নভেম্বর সারাদিন আওয়ামীবিরোধী অবস্থান কর্মসূচিতে থাকার পর বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া করে রাজবাড়ির সামনে আসি। এ সময় যুবদল নেতা শিপলু ও মনি মোটরসাইকেলে এসে কোনো কথা না বলে মারধর শুরু করেন।
কী কারণে মারতে পারে এমনটা জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিপলু আমাদের এলাকারই। আমার প্রতি যদি তার ক্ষোভ থাকতো তাহলে আগেও কিছু বলতে পারতো। আমার মনে হয় তৃতীয় পক্ষের কেউ তাকে দিয়ে এই কাজ করিয়েছে। আমি এখন হাসপাতালে আছি। থানায় গিয়ে অভিযোগ দেব।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত যুবদল নেতা শিপলুর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে অভিযুক্ত মনি বলেন, ছাত্র আন্দোলনের আগে অনিক আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ওঠাবসা করতো। সেই সময় অনেক অপকর্মের সঙ্গে লিপ্ত ছিল সে। আজ আমাদের বড় ভাই তাকে দেখে বাইরে ঘোরাফেরা করতে নিষেধ করে। তখন সে তর্কে লিপ্ত হলে একটি থাপ্পড় দেওয়া হয়। এ ছাড়া অন্য কিছু নয়।
এ বিষয়ে নাটোর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহাবুর রহমান বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা থানায় এসে বিষয়টি মৌখিকভাবে জানিয়ে গেছে। অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্তকে আইনের আওতায় আনতে পুলিশ কাজ করছে।
বাংলা স্কুপ/ প্রতিনিধি/ এনআইএন/ এসকে
জানা যায়, সন্ধ্যা ৭টার দিকে শহরের বঙ্গজল রাজবাড়ির সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্রনেতা অনিক সরকার ওপর মোটরসাইকেলযোগে আসা দুইজন ব্যক্তি অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় অনিক সরকারকে কাঠের বাটাম দিয়ে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেয় তারা। অনিকের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে গেলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী অনিক সরকার বলেন, ১০ নভেম্বর সারাদিন আওয়ামীবিরোধী অবস্থান কর্মসূচিতে থাকার পর বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া করে রাজবাড়ির সামনে আসি। এ সময় যুবদল নেতা শিপলু ও মনি মোটরসাইকেলে এসে কোনো কথা না বলে মারধর শুরু করেন।
কী কারণে মারতে পারে এমনটা জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিপলু আমাদের এলাকারই। আমার প্রতি যদি তার ক্ষোভ থাকতো তাহলে আগেও কিছু বলতে পারতো। আমার মনে হয় তৃতীয় পক্ষের কেউ তাকে দিয়ে এই কাজ করিয়েছে। আমি এখন হাসপাতালে আছি। থানায় গিয়ে অভিযোগ দেব।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত যুবদল নেতা শিপলুর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে অভিযুক্ত মনি বলেন, ছাত্র আন্দোলনের আগে অনিক আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ওঠাবসা করতো। সেই সময় অনেক অপকর্মের সঙ্গে লিপ্ত ছিল সে। আজ আমাদের বড় ভাই তাকে দেখে বাইরে ঘোরাফেরা করতে নিষেধ করে। তখন সে তর্কে লিপ্ত হলে একটি থাপ্পড় দেওয়া হয়। এ ছাড়া অন্য কিছু নয়।
এ বিষয়ে নাটোর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহাবুর রহমান বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা থানায় এসে বিষয়টি মৌখিকভাবে জানিয়ে গেছে। অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্তকে আইনের আওতায় আনতে পুলিশ কাজ করছে।
বাংলা স্কুপ/ প্রতিনিধি/ এনআইএন/ এসকে