আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে শুরু হচ্ছে জাতিসংঘের জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলন কপ-২৯। সোমবার (১১ নভেম্বর) শুরু হওয়া এই সম্মেলন চলবে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত। এবারের সম্মেলনের মূল লক্ষ্য জলবায়ু সংকটের ভুক্তভোগী দরিদ্র দেশগুলোকে আরও অর্থসহায়তা দেয়ার পথ খুঁজে বের করা।
বৈশ্বিক জলবায়ু সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে প্রায় ২০০ দেশের শীর্ষ নেতারা এবারের সম্মেলনে অংশ নেবেন। যদিও যুক্তরাষ্ট্র, চীনসহ কয়েকটি শক্তিশালী দেশের সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানরা কপ-২৯ সম্মেলনে উপস্থিত থাকছেন না।
এদিকে কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিতে সোমবার আজারবাইজান সফরে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এদিন বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকা ত্যাগ করবেন। এ তথ্য নিশ্চিত করে রোববার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টা ১১ থেকে ১৪ নভেম্বর আজারবাইজানে রাষ্ট্রীয় সফর করবেন। এই সফরে প্রধান উপদেষ্টা অত্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করবেন।
জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ বাকুতে নিজেদের দাবি-দাওয়া এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ যে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে-সেসব বিষয় তিনি বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরবেন।
প্রধান উপদেষ্টা কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলনের বিভিন্ন ফোরামে বক্তব্য রাখবেন এবং সেখানে অংশগ্রহণকারী গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে বলেও জানান প্রেস সচিব। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে, সেটিও তুলে ধরা হবে এই সম্মেলনে।
এমনিতেই এবারের জলবায়ু সম্মেলনের গুরুত্ব বেশি ছিল শীর্ষ এজেন্ডার কারণে। এবারের জলবায়ু সম্মেলনের শীর্ষ আলোচ্যসূচিতে রয়েছে অর্থায়ন। বিশ্বের দুই শতাধিক দেশ তাই এই সম্মেলনের জন্য অপেক্ষা করছিল, উন্নত দেশগুলো জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় ট্রিলিয়ন ডলারের চাহিদা কতটা পূরণ করতে সক্ষম হয় তা দেখার জন্য। তার ওপর এ বছরের রেকর্ড উষ্ণায়ন, তাপপ্রবাহ, বন্যা, ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ যুক্ত হয়েছে আলোচনার ইস্যুগুলোতে।
এদিকে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ ‘পাপুয়া নিউগিনি’ এবারের জলবায়ু সম্মেলন বয়কট করেছে। এই প্রথম কোনো দেশের বয়কটের ইস্যুকে ছাপিয়ে গেছে সদ্য অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়া ডোনাল্ড ট্রাম্প। ডোনাল্ড ট্রাম্প ইস্যু এখন এবারের আলোচনার সর্বাগ্রে উঠে এসেছে। তার সিদ্ধান্তের ওপর-ই নির্ভর করছে ভবিষ্যতের জলবায়ু আলোচনা কোন দিকে যাবে। সেই বিষয়টি আর এসব কারণেই এবারের জলবায়ু সম্মেলন বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
প্রসঙ্গত, জাতিসংঘের বার্ষিক এই জলবায়ু সম্মেলন ‘কপ’ নামে পরিচিত। এর পূর্ণ রূপ ‘কনফারেন্স অব পার্টিস’। ১৯৯২ সালে জাতিসংঘের ‘ইউনাইটেড নেশনস ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জ’ চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী প্রায় ২০০ দেশ কপের সদস্য। জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব সামাল দিতে প্রতিবছর সদস্যদেশগুলোর প্রতিনিধিরা একত্র হন।
বাংলা স্কুপ/ ডেস্ক/ এনআইএন/এসকে
বৈশ্বিক জলবায়ু সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে প্রায় ২০০ দেশের শীর্ষ নেতারা এবারের সম্মেলনে অংশ নেবেন। যদিও যুক্তরাষ্ট্র, চীনসহ কয়েকটি শক্তিশালী দেশের সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানরা কপ-২৯ সম্মেলনে উপস্থিত থাকছেন না।
এদিকে কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিতে সোমবার আজারবাইজান সফরে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এদিন বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকা ত্যাগ করবেন। এ তথ্য নিশ্চিত করে রোববার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টা ১১ থেকে ১৪ নভেম্বর আজারবাইজানে রাষ্ট্রীয় সফর করবেন। এই সফরে প্রধান উপদেষ্টা অত্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করবেন।
জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ বাকুতে নিজেদের দাবি-দাওয়া এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ যে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে-সেসব বিষয় তিনি বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরবেন।
প্রধান উপদেষ্টা কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলনের বিভিন্ন ফোরামে বক্তব্য রাখবেন এবং সেখানে অংশগ্রহণকারী গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে বলেও জানান প্রেস সচিব। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে, সেটিও তুলে ধরা হবে এই সম্মেলনে।
এমনিতেই এবারের জলবায়ু সম্মেলনের গুরুত্ব বেশি ছিল শীর্ষ এজেন্ডার কারণে। এবারের জলবায়ু সম্মেলনের শীর্ষ আলোচ্যসূচিতে রয়েছে অর্থায়ন। বিশ্বের দুই শতাধিক দেশ তাই এই সম্মেলনের জন্য অপেক্ষা করছিল, উন্নত দেশগুলো জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় ট্রিলিয়ন ডলারের চাহিদা কতটা পূরণ করতে সক্ষম হয় তা দেখার জন্য। তার ওপর এ বছরের রেকর্ড উষ্ণায়ন, তাপপ্রবাহ, বন্যা, ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ যুক্ত হয়েছে আলোচনার ইস্যুগুলোতে।
এদিকে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ ‘পাপুয়া নিউগিনি’ এবারের জলবায়ু সম্মেলন বয়কট করেছে। এই প্রথম কোনো দেশের বয়কটের ইস্যুকে ছাপিয়ে গেছে সদ্য অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়া ডোনাল্ড ট্রাম্প। ডোনাল্ড ট্রাম্প ইস্যু এখন এবারের আলোচনার সর্বাগ্রে উঠে এসেছে। তার সিদ্ধান্তের ওপর-ই নির্ভর করছে ভবিষ্যতের জলবায়ু আলোচনা কোন দিকে যাবে। সেই বিষয়টি আর এসব কারণেই এবারের জলবায়ু সম্মেলন বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
প্রসঙ্গত, জাতিসংঘের বার্ষিক এই জলবায়ু সম্মেলন ‘কপ’ নামে পরিচিত। এর পূর্ণ রূপ ‘কনফারেন্স অব পার্টিস’। ১৯৯২ সালে জাতিসংঘের ‘ইউনাইটেড নেশনস ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জ’ চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী প্রায় ২০০ দেশ কপের সদস্য। জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব সামাল দিতে প্রতিবছর সদস্যদেশগুলোর প্রতিনিধিরা একত্র হন।
বাংলা স্কুপ/ ডেস্ক/ এনআইএন/এসকে