
গাজীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো চলমান শ্রমিক বিক্ষোভের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ৩০ কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। রোববার (১০ নভেম্বর) দুপুরে গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশ ২-এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বকেয়া বেতনের দাবিতে প্রায় ২৮ ঘণ্টা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন গাজীপুর মহানগরীর মালেকের বাড়ি এলাকার টিএনজেড গ্রুপের শ্রমিকরা।
আন্দোলনরত শ্রমিকদের দাবি, বারবার বেতন পরিশোধের আশ্বাস দেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত সে কথা রাখা হয়নি। যার ফলে বেতন ছাড়া মহাসড়ক ছাড়বেন না তাঁরা। এমন পরিস্থিতিতে এই এলাকার ৩০টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বলেন, বকেয়া বেতন পরিশোধের জন্য মালিকপক্ষকে একাধিকবার সময় দেয়া হয়েছিল, ওনারা বার বার বেতন পরিশোধে ব্যর্থ হয়েছেন। যে কারণে শ্রমিকরা এখন আর আমাদের কথা বিশ্বাস করে না। আমরা কোন মুখে ওদেরকে বলবো, তোমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করো, তোমাদের একটা ব্যবস্থা আমরা করে দিবো। শ্রমিকদের মতই মালিকের প্রতি আমাদেরও আস্থা নেই। যে কারণে ওরা গতকাল থেকে বসে আছে।
তিনি বলেন, আমরা তাঁদের একাধিকবার বুঝানোর চেষ্টা করেছি, আমাদের অফিসে এসে বসো, অবস্থান নাও। কিন্তু তারা নাছোড়বান্দা, মহাসড়ক ছাড়বে না। এটাকে কেন্দ্র শুক্রবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায়ও তাঁদেরকে বোঝানো হয়েছে, রাতেও চেষ্টা করেছিলাম তারা যায়নি। আজকেও তারা আছে। এই ধারাবাহিকতায় টিএনজেড এর শ্রমিকরা কলম্বিয়া, ভোগড়া বাইপাস, চৌরাস্তায় এদিকে যে কয়টি কারখানার আছে এখন তারা ছুটি দিয়ে দিয়েছে। শ্রমিকরা ভেতরে ঢুকতে পারছে না।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, আমরা আবারও চেষ্টা করছি। একটু আগে সেনাবাহিনী এসেছিল, আমরাসহ কথা বলেছি। আশা করি এটার সমাধান হবে। এটা নিয়ে আমাদের সিনিয়ররা আছেন, বিজিএমইএ, শ্রম অধিদফতর কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, এই প্রতিষ্ঠানের দুজন মালিক। বর্তমানে একজন দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। যিনি দেশে আছেন তার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি মন্ত্রণালয়ে বসে আছেন। যেখানে এক্সপোর্ট বিকল্প আপ ফান্ড আছে। এখানে তার কিছু টাকা আছে। তিনি চাচ্ছেন এই টাকা যদি তাকে ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়, ১১-১২ কোটি টাকার মতো তাহলে ওনি এই দুই মাসের বেতনের টাকা পরিশোধ করতে পারবেন। জরুরি মুহূর্তে ১১ কোটি থেকে ১২ কোটি টাকার দরকার বলে তিনি আমাকে জানিয়েছেন।
বাংলা স্কুপ/ প্রতিনিধি/ এনআইএন/এসকে
বকেয়া বেতনের দাবিতে প্রায় ২৮ ঘণ্টা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন গাজীপুর মহানগরীর মালেকের বাড়ি এলাকার টিএনজেড গ্রুপের শ্রমিকরা।
আন্দোলনরত শ্রমিকদের দাবি, বারবার বেতন পরিশোধের আশ্বাস দেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত সে কথা রাখা হয়নি। যার ফলে বেতন ছাড়া মহাসড়ক ছাড়বেন না তাঁরা। এমন পরিস্থিতিতে এই এলাকার ৩০টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বলেন, বকেয়া বেতন পরিশোধের জন্য মালিকপক্ষকে একাধিকবার সময় দেয়া হয়েছিল, ওনারা বার বার বেতন পরিশোধে ব্যর্থ হয়েছেন। যে কারণে শ্রমিকরা এখন আর আমাদের কথা বিশ্বাস করে না। আমরা কোন মুখে ওদেরকে বলবো, তোমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করো, তোমাদের একটা ব্যবস্থা আমরা করে দিবো। শ্রমিকদের মতই মালিকের প্রতি আমাদেরও আস্থা নেই। যে কারণে ওরা গতকাল থেকে বসে আছে।
তিনি বলেন, আমরা তাঁদের একাধিকবার বুঝানোর চেষ্টা করেছি, আমাদের অফিসে এসে বসো, অবস্থান নাও। কিন্তু তারা নাছোড়বান্দা, মহাসড়ক ছাড়বে না। এটাকে কেন্দ্র শুক্রবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায়ও তাঁদেরকে বোঝানো হয়েছে, রাতেও চেষ্টা করেছিলাম তারা যায়নি। আজকেও তারা আছে। এই ধারাবাহিকতায় টিএনজেড এর শ্রমিকরা কলম্বিয়া, ভোগড়া বাইপাস, চৌরাস্তায় এদিকে যে কয়টি কারখানার আছে এখন তারা ছুটি দিয়ে দিয়েছে। শ্রমিকরা ভেতরে ঢুকতে পারছে না।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, আমরা আবারও চেষ্টা করছি। একটু আগে সেনাবাহিনী এসেছিল, আমরাসহ কথা বলেছি। আশা করি এটার সমাধান হবে। এটা নিয়ে আমাদের সিনিয়ররা আছেন, বিজিএমইএ, শ্রম অধিদফতর কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, এই প্রতিষ্ঠানের দুজন মালিক। বর্তমানে একজন দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। যিনি দেশে আছেন তার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি মন্ত্রণালয়ে বসে আছেন। যেখানে এক্সপোর্ট বিকল্প আপ ফান্ড আছে। এখানে তার কিছু টাকা আছে। তিনি চাচ্ছেন এই টাকা যদি তাকে ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়, ১১-১২ কোটি টাকার মতো তাহলে ওনি এই দুই মাসের বেতনের টাকা পরিশোধ করতে পারবেন। জরুরি মুহূর্তে ১১ কোটি থেকে ১২ কোটি টাকার দরকার বলে তিনি আমাকে জানিয়েছেন।
বাংলা স্কুপ/ প্রতিনিধি/ এনআইএন/এসকে