আবহমান বাংলার ঐতিহ্য পালকিতে বিয়ের রীতি যেন এখন রূপকথার গল্পের মতো। আধুনিকতার ছোঁয়ায় ধীরে ধীরে হারিয়েছে গ্রামীণ বিয়ের ঐতিহ্যবাহী বাহন পালকি। একই সঙ্গে হারিয়ে গেছে ঘোড়ায় চড়ে বর আসার দৃশ্যও। পালকিতে বউ ঘোড়ার চড়ে বরের বিয়ে করতে আসার ঘটনা এখন খুব একটা চোখে পড়ে না। এর কারণ একটাই মেয়েদের স্বপ্নে পরিবর্তন এসেছে। আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে তরুণীদের স্বপ্নে। তারা এখন ঘোড়া কিংবা পালকিতে চড়ে বিয়ে করা পছন্দ করেন না। তারা চায় স্বপ্নের পুরুষকে আসতে হবে হেলিকপ্টারে চড়ে।
সম্প্রতি এমনটাই দেখা গেছে গাইবান্ধায়। গাইবান্ধায় হেলিকপ্টারে চড়ে বর এলেন নববধূকে নিতে। কনে প্রতাপ গ্রামের স্কুল শিক্ষক এনামুল হোসেন হারুনের মেয়ে নাঈমা সুলতানা ঐশী। তিনি ঢাকার লালমাটিয়া কলেজের ভূগোলের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। তিনি স্বপ্ন দেখতেন যে একদিন তার বিয়ে হবে। ঘোড়া নয় বরং হেলিকপ্টারে করে তার স্বপ্নের পুরুষ তাকে বিয়ে করে নিয়ে যাবেন।
তার স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। হেলিকপ্টারে করে কনের বাড়ি গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গায় বিয়ে করতে এলেন বর রায়হান বাবুল। পেশায় রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী রায়হান বাবুল ঢাকা থেকে হেলিকপ্টার যোগে বিয়ে করতে আসেন। বৃহস্পতিবার উপজেলার নলডাঙ্গা উমেশ চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে হেলিকপ্টার নিয়ে অবতরণ করেন তিনি। পরে পায়ে হেটে মাঠের পাশেই কনের বাড়িতে যান বর।
জানা গেছে, সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের প্রতাপ গ্রামের এনামুল হোসেন হারুনের মেয়ে নাঈমা সুলতানা ঐশীর সাথে রায়হান বাবুলের পারিবারিকভাবে রিয়ে হয়। সে মোতাবেক বৃহস্পতিবার কনের বাড়িতে চলে বৌ ভাতসহ বিয়ের ব্যাপক ধুমধাম। হেলিকপ্টারে চড়ে বর আসার খবরে উৎসুক এলাকার শিশু-কিশোর ও নারী-পুরুষসহ বিভিন্ন বয়সের হাজারো মানুষ ভিড় করেন স্কুলমাঠে। জামাই হেলিকপ্টারে নিয়ে বিয়ে করতে আসায় খুশি নতুন বউ, শশুর-শাশুড়িসহ পরিবারের লোকজন।
এ বিয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে বর রায়হান বাবুল বলেন, আমার স্ত্রীর শখ করেছে তাকে বিয়ে করে হেলিকপ্টারে চড়ে আমার বাড়িতে নিয়ে আসার জন্য। আমার বাবা মা চেয়েছে তা আমি আমার স্ত্রীর শখটা পূরণ করি। আর তাই এ আয়োজন।
আর তার স্ত্রী নাঈমা সুলতানা জানান, ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছা ছিল আমার বর আমাকে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে আসবে। আমার স্বামী শখটা পূরণ করেছে তাই অনেক খুশি। নতুন সংসারের জন্য সবার দোয়া চাই।
বিয়ে রেজিস্ট্রার সাজ্জাদ হোসেন জানান, হেলিকপ্টারটি অবতরণ করার পরে কনের বাবা ও তার আত্মীয়-স্বজন বরকে উৎসবমুখর পরিবেশে বরণ করে নেন। এরপর ১৬ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে বিয়ের রেজিস্ট্রি করেন।
বাংলা স্কুপ/ প্রতিনিধি/ এনআইএন/এসকে
সম্প্রতি এমনটাই দেখা গেছে গাইবান্ধায়। গাইবান্ধায় হেলিকপ্টারে চড়ে বর এলেন নববধূকে নিতে। কনে প্রতাপ গ্রামের স্কুল শিক্ষক এনামুল হোসেন হারুনের মেয়ে নাঈমা সুলতানা ঐশী। তিনি ঢাকার লালমাটিয়া কলেজের ভূগোলের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। তিনি স্বপ্ন দেখতেন যে একদিন তার বিয়ে হবে। ঘোড়া নয় বরং হেলিকপ্টারে করে তার স্বপ্নের পুরুষ তাকে বিয়ে করে নিয়ে যাবেন।
তার স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। হেলিকপ্টারে করে কনের বাড়ি গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গায় বিয়ে করতে এলেন বর রায়হান বাবুল। পেশায় রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী রায়হান বাবুল ঢাকা থেকে হেলিকপ্টার যোগে বিয়ে করতে আসেন। বৃহস্পতিবার উপজেলার নলডাঙ্গা উমেশ চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে হেলিকপ্টার নিয়ে অবতরণ করেন তিনি। পরে পায়ে হেটে মাঠের পাশেই কনের বাড়িতে যান বর।
জানা গেছে, সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের প্রতাপ গ্রামের এনামুল হোসেন হারুনের মেয়ে নাঈমা সুলতানা ঐশীর সাথে রায়হান বাবুলের পারিবারিকভাবে রিয়ে হয়। সে মোতাবেক বৃহস্পতিবার কনের বাড়িতে চলে বৌ ভাতসহ বিয়ের ব্যাপক ধুমধাম। হেলিকপ্টারে চড়ে বর আসার খবরে উৎসুক এলাকার শিশু-কিশোর ও নারী-পুরুষসহ বিভিন্ন বয়সের হাজারো মানুষ ভিড় করেন স্কুলমাঠে। জামাই হেলিকপ্টারে নিয়ে বিয়ে করতে আসায় খুশি নতুন বউ, শশুর-শাশুড়িসহ পরিবারের লোকজন।
এ বিয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে বর রায়হান বাবুল বলেন, আমার স্ত্রীর শখ করেছে তাকে বিয়ে করে হেলিকপ্টারে চড়ে আমার বাড়িতে নিয়ে আসার জন্য। আমার বাবা মা চেয়েছে তা আমি আমার স্ত্রীর শখটা পূরণ করি। আর তাই এ আয়োজন।
আর তার স্ত্রী নাঈমা সুলতানা জানান, ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছা ছিল আমার বর আমাকে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে আসবে। আমার স্বামী শখটা পূরণ করেছে তাই অনেক খুশি। নতুন সংসারের জন্য সবার দোয়া চাই।
বিয়ে রেজিস্ট্রার সাজ্জাদ হোসেন জানান, হেলিকপ্টারটি অবতরণ করার পরে কনের বাবা ও তার আত্মীয়-স্বজন বরকে উৎসবমুখর পরিবেশে বরণ করে নেন। এরপর ১৬ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে বিয়ের রেজিস্ট্রি করেন।
বাংলা স্কুপ/ প্রতিনিধি/ এনআইএন/এসকে