দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়ায় কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ ১০ আসামির অভিযোগ গঠনের পরবর্তী শুনানি ২০ নভেম্বর দিন ঠিক করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মো. আবু তাহের এ দিন ধার্য করেন।
এদিন খালেদা জিয়াসহ ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিলো। খালেদা জিয়ার আইনজীবী তার পক্ষে হাজিরা দেন। মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২ বিচারাধীন ছিলো।
দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত বিশেষ জজ আদালত-৩ বদলি করেন। আদালতে মামলাটির প্রথম ধার্য তারিখ হওয়ায় বিচারক আগামী ২০ নভেম্বর অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী জানান, মঙ্গলবার আসামিদের উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠনের কথা ছিলো। সাত জন আসামির পক্ষে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়। এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন মামলার অন্যতম দুই আসামি বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ ও আলতাফ হোসেন চৌধুরী। শুনানির জন্য প্রস্তুত ছিলো দুদকের আইনজীবীও। কিন্তু বিচারক মামলা শুনতে আগামী ২০ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।
মামলা সম্পর্কে খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার জানান, সব নিয়ম মেনেই বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে কয়লা আহরণে টেন্ডারকাজ সম্পন্ন করা হয়। শুধুমাত্র রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে ওয়ান ইলেভেন সরকার বিএনপি ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মামলা করে। পরবর্তীকে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসেই আদালতকে প্রভাবিত করে মামলা থেকে তার নাম প্রত্যাহার করিয়ে নেয়। আর প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে খালেদা জিয়া ও বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে আদালতকে ব্যবহার করতে থাকে। যার কারণে দীর্ঘদিনেও মামলার অভিযোগ গঠন করতে পারেনি।
খালেদা জিয়া ছাড়াও এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সাবেক কৃষিমন্ত্রী এম কে আনোয়ার (মৃত), সাবেক তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম, মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক জ্বালানি ও খনিজসম্পদ সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান এবং সাবেক জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশারফ হোসেন।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলায় মোট আসামি ছিলেন ১৩ জন। এর মধ্যে জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। অন্য আসামি ব্যারিস্টার আমিনুল হক ২০১৯ সালের ২১ এপ্রিল মারা যান।
বাংলা স্কুপ/ প্রতিবেদক/এসকে
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মো. আবু তাহের এ দিন ধার্য করেন।
এদিন খালেদা জিয়াসহ ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিলো। খালেদা জিয়ার আইনজীবী তার পক্ষে হাজিরা দেন। মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২ বিচারাধীন ছিলো।
দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত বিশেষ জজ আদালত-৩ বদলি করেন। আদালতে মামলাটির প্রথম ধার্য তারিখ হওয়ায় বিচারক আগামী ২০ নভেম্বর অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী জানান, মঙ্গলবার আসামিদের উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠনের কথা ছিলো। সাত জন আসামির পক্ষে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়। এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন মামলার অন্যতম দুই আসামি বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ ও আলতাফ হোসেন চৌধুরী। শুনানির জন্য প্রস্তুত ছিলো দুদকের আইনজীবীও। কিন্তু বিচারক মামলা শুনতে আগামী ২০ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।
মামলা সম্পর্কে খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার জানান, সব নিয়ম মেনেই বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে কয়লা আহরণে টেন্ডারকাজ সম্পন্ন করা হয়। শুধুমাত্র রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে ওয়ান ইলেভেন সরকার বিএনপি ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মামলা করে। পরবর্তীকে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসেই আদালতকে প্রভাবিত করে মামলা থেকে তার নাম প্রত্যাহার করিয়ে নেয়। আর প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে খালেদা জিয়া ও বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে আদালতকে ব্যবহার করতে থাকে। যার কারণে দীর্ঘদিনেও মামলার অভিযোগ গঠন করতে পারেনি।
খালেদা জিয়া ছাড়াও এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সাবেক কৃষিমন্ত্রী এম কে আনোয়ার (মৃত), সাবেক তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম, মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক জ্বালানি ও খনিজসম্পদ সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান এবং সাবেক জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশারফ হোসেন।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলায় মোট আসামি ছিলেন ১৩ জন। এর মধ্যে জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। অন্য আসামি ব্যারিস্টার আমিনুল হক ২০১৯ সালের ২১ এপ্রিল মারা যান।
বাংলা স্কুপ/ প্রতিবেদক/এসকে