বাজারে আরেক দফা বাড়ছে পেঁয়াজের ঝাঁজ। কয়েক মাসে দাম স্থির থাকলেও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্যব্যবহৃত এ পণ্যের দাম। এক সপ্তাহ আগেও যে পেঁয়াজ ছিল ১২০ টাকা। বর্তমানে তা কিনতে গুনতে হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। বছর শেষ না হতেই পেঁয়াজের দাম বারবার বাড়ায় হতাশ নিম্ন-মধ্যবিত্তরা।
সোমবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
টিসিবির হিসাবে, গত এক মাসের ব্যবধানে খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৩০ শতাংশ আর আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৮ শতাংশ।
ক্রেতারা বলছেন, সরকারি নজরদারি না থাকায় বিভিন্ন অজুহাতে দাম বাড়াচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন ভিন্ন কথা। অতিবৃষ্টির কারণে আগাম মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে আসতে দেরি হওয়ায় দাম বেড়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
আর আমদানির পেঁয়াজের বেলায় ডলারের দাম বৃদ্ধি প্রভাব ফেলছে বলে দাবি আমদানিকারকদের। তারা বলছেন, ভারত থেকে বেশি দামে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে তাদের।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে এক কেজি পেঁয়াজ কিনতে ক্রেতার গুণতে হচ্ছে ১৫০ টাকা। বাজার করতে আসা ক্রেতারা জানান, ‘তারা ভেবেছেন কারওয়ান বাজারে দাম কম পাবো পেঁয়াজের। কিন্তু এখানেই ১৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। ভোক্তা অধিকার যদি তাদের দায়িত্বমত দর নিয়ন্ত্রণ করে তাহলে গরীব মানুষ সুফল পাবে।’
মেসারস রাব্বি ট্রেডারসের আমদানিকারক রেজাউল করিম বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে গেলে ৫-৬ দিন লাগে পোর্ট আসতে। এ কারণে এগুলো নষ্ট হয়। তাই বাধ্য হয়ে পুরাতন পেঁয়াজ বেশি দামে কিনতে হচ্ছে তাদের।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক বলেন, ‘এলসির সময় ডলারের যে রেট হয় বিল ছাড়ের সময় তখন টাকা বেশি লাগে। এ জন্য বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম কমছে না।’
অর্থনীতিবিদ ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, ‘দশ লাখ টন পেঁয়াজ যদি আগাম আমদানি করা যেতো তাহলে বাজারে যে সরবরাহ সংকট আছে এটি হতো না। কিন্তু প্রয়োজন অনুযায়ী পেঁয়াজ আমদানি সম্ভব হয়নি।’
বাংলা স্কুপ/ প্রতিবেদক/এনআইএন/এসকে
সোমবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
টিসিবির হিসাবে, গত এক মাসের ব্যবধানে খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৩০ শতাংশ আর আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৮ শতাংশ।
ক্রেতারা বলছেন, সরকারি নজরদারি না থাকায় বিভিন্ন অজুহাতে দাম বাড়াচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন ভিন্ন কথা। অতিবৃষ্টির কারণে আগাম মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে আসতে দেরি হওয়ায় দাম বেড়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
আর আমদানির পেঁয়াজের বেলায় ডলারের দাম বৃদ্ধি প্রভাব ফেলছে বলে দাবি আমদানিকারকদের। তারা বলছেন, ভারত থেকে বেশি দামে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে তাদের।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে এক কেজি পেঁয়াজ কিনতে ক্রেতার গুণতে হচ্ছে ১৫০ টাকা। বাজার করতে আসা ক্রেতারা জানান, ‘তারা ভেবেছেন কারওয়ান বাজারে দাম কম পাবো পেঁয়াজের। কিন্তু এখানেই ১৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। ভোক্তা অধিকার যদি তাদের দায়িত্বমত দর নিয়ন্ত্রণ করে তাহলে গরীব মানুষ সুফল পাবে।’
মেসারস রাব্বি ট্রেডারসের আমদানিকারক রেজাউল করিম বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে গেলে ৫-৬ দিন লাগে পোর্ট আসতে। এ কারণে এগুলো নষ্ট হয়। তাই বাধ্য হয়ে পুরাতন পেঁয়াজ বেশি দামে কিনতে হচ্ছে তাদের।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক বলেন, ‘এলসির সময় ডলারের যে রেট হয় বিল ছাড়ের সময় তখন টাকা বেশি লাগে। এ জন্য বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম কমছে না।’
অর্থনীতিবিদ ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, ‘দশ লাখ টন পেঁয়াজ যদি আগাম আমদানি করা যেতো তাহলে বাজারে যে সরবরাহ সংকট আছে এটি হতো না। কিন্তু প্রয়োজন অনুযায়ী পেঁয়াজ আমদানি সম্ভব হয়নি।’
বাংলা স্কুপ/ প্রতিবেদক/এনআইএন/এসকে