খুলনায় জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। শনিবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে নগরীর ডাকবাংলো মোড়ে বিক্ষুব্ধ ছাত্রজনতা এ ঘটনা ঘটায় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এ ঘটনার পর ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বন্ধ হয়ে যায় আশপাশের দোকানপাট। এ ঘটনার পর ডাকবাংলো এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা বলেন, ছাত্রজনতা বিকেলে নগরীর শিববাড়ী মোড়ে সমাবেশ করে। এরপর সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা মিছিল সহকারে শহীদ হাদিস পার্কের দিকে যেতে থাকলে পথিমধ্যে ডাকবাংলো মোড়ে জাতীয় পার্টির (এরশাদ) কার্যালয়ের সামনে উত্তেজিত হয়ে পড়ে। তখন মিছিল থেকে জাতীয় পার্টির খুলনা মহানগর ও জেলা কার্যালয়ের সাইনবোর্ড ভেঙে ফেলে। পরবর্তীতে তারা কার্যালয়ের ভেতর প্রবেশ করে চেয়ার এবং টেবিলসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।
এরপর ভাঙচুর করা মালামাল বাইরে এনে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে তারা জাতীয় পার্টির বিভিন্ন নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এদিকে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের টুটপাড়া স্টেশনের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনার পর থেকে পার্টি অফিসের সামনে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
খুলনা সদর থানার ওসি মো. মুনীর উল গিয়াস বলেন, ৫০-৬০ জন যুবক মিছিল সহকারে জাতীয় পার্টি অফিসে ঢুকে কিছু চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করেছে। পুলিশ তাদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ করে দেয়। এখন পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। কার্যালয়ের ভেতর থেকে ২টি প্লাস্টিকের চেয়ার বাইরে অগ্নিসংযোগ করে। যারা আক্রমণ করেছে তাদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। প্রয়োজন হলে রোববারও পুলিশ মোতায়েন থাকবে। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির নেতারা অভিযোগ দিলে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শফিকুল ইসলাম মধু জানান, মাগরিবের নামাজের সময় পার্টি অফিসে কেউ ছিল না। তখন ৫০-৬০ জনের একদল ছাত্র-যুবক তাদের কার্যালয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এরপর তারা পার্টি কার্যালয়ে ঢুকে সাইনবোর্ড, চেয়ার-টেবিল, ফ্যান, টিভি ভাঙচুর করে। তারা কয়েকটি ফাইল ও কাগজপত্র নিয়ে যায়। এছাড়া তারা কয়েকটি চেয়ার, ব্যানার-প্লাকার্ড নিয়ে পার্টি অফিসের সামনের রাস্তায় আগুনে পুড়িয়ে দেয়।
তিনি জানান, এ ঘটনায় তারা মামলা করবেন। এছাড়া রোববার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পার্টি অফিসের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে
বাংলা স্কুপ/প্রতিনিধি/এসকে
স্থানীয়রা বলেন, ছাত্রজনতা বিকেলে নগরীর শিববাড়ী মোড়ে সমাবেশ করে। এরপর সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা মিছিল সহকারে শহীদ হাদিস পার্কের দিকে যেতে থাকলে পথিমধ্যে ডাকবাংলো মোড়ে জাতীয় পার্টির (এরশাদ) কার্যালয়ের সামনে উত্তেজিত হয়ে পড়ে। তখন মিছিল থেকে জাতীয় পার্টির খুলনা মহানগর ও জেলা কার্যালয়ের সাইনবোর্ড ভেঙে ফেলে। পরবর্তীতে তারা কার্যালয়ের ভেতর প্রবেশ করে চেয়ার এবং টেবিলসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।
এরপর ভাঙচুর করা মালামাল বাইরে এনে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে তারা জাতীয় পার্টির বিভিন্ন নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এদিকে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের টুটপাড়া স্টেশনের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনার পর থেকে পার্টি অফিসের সামনে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
খুলনা সদর থানার ওসি মো. মুনীর উল গিয়াস বলেন, ৫০-৬০ জন যুবক মিছিল সহকারে জাতীয় পার্টি অফিসে ঢুকে কিছু চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করেছে। পুলিশ তাদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ করে দেয়। এখন পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। কার্যালয়ের ভেতর থেকে ২টি প্লাস্টিকের চেয়ার বাইরে অগ্নিসংযোগ করে। যারা আক্রমণ করেছে তাদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। প্রয়োজন হলে রোববারও পুলিশ মোতায়েন থাকবে। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির নেতারা অভিযোগ দিলে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শফিকুল ইসলাম মধু জানান, মাগরিবের নামাজের সময় পার্টি অফিসে কেউ ছিল না। তখন ৫০-৬০ জনের একদল ছাত্র-যুবক তাদের কার্যালয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এরপর তারা পার্টি কার্যালয়ে ঢুকে সাইনবোর্ড, চেয়ার-টেবিল, ফ্যান, টিভি ভাঙচুর করে। তারা কয়েকটি ফাইল ও কাগজপত্র নিয়ে যায়। এছাড়া তারা কয়েকটি চেয়ার, ব্যানার-প্লাকার্ড নিয়ে পার্টি অফিসের সামনের রাস্তায় আগুনে পুড়িয়ে দেয়।
তিনি জানান, এ ঘটনায় তারা মামলা করবেন। এছাড়া রোববার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পার্টি অফিসের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে
বাংলা স্কুপ/প্রতিনিধি/এসকে