স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, দেশের যে কয়টি উপজেলায় এখনো ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নেই শিগগিরই সেসব উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপন করা হবে।
তিনি সোোমবার (২৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর ফুলবাড়ীয়ায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর পরিদর্শনকালে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে একথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের ৩২টি উপজেলায় কোনো ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নেই। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এসব উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপন করা হবে। তাছাড়া এ অধিদপ্তরের জনবল সংকট দূরীকরণেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।
তিনি বলেন, অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তুলনায় ফায়ার সার্ভিসে ঝুঁকি ভাতা কম। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঝুঁকি ভাতা বৃদ্ধির বিষয়টিও বিবেচনা করা হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অর্জিত সুনাম অক্ষুন্ন রেখে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার মধ্যে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সুনাম সবচেয়ে বেশি। এ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম দেশে-বিদেশে প্রশংসিত। ফায়ার ফাইটারসহ এ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনেক ঝুঁকির মধ্যে কাজ করতে হয়। তাছাড়া তাদের কাজের কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। এরপরও তারা খুব সাফল্যের সঙ্গে দেশ ও জাতির জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানটির তেমন কোনো ব্যর্থতা নেই, তবে কিছু সীমাবদ্ধতা আছে।
উপদেষ্টা আরো বলেন, ফায়ার ফাইটারদের চাকরিতে শারীরিক পরিশ্রম অনেক বেশি। সেজন্য ফায়ার ফাইটারদের ক্ষেত্রে দক্ষ, যোগ্য ও তুলনামূলক কম বয়সীদের নিয়োগে প্রাধান্য দিতে হবে। তিনি বলেন, চাকরিতে শৃঙ্খলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই শৃংখলা ভঙ্গকারীদের শুধু সতর্কতামূলক নোটিশ দিলেই হবে না, দু'একটি ক্ষেত্রে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিও দিতে হবে।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)বলেন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ একাডেমির জন্য মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়ায় স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু স্থানটিকে এখনো প্রশিক্ষণের জন্য উপযোগী করে গড়ে তোলা হয়নি। যত দ্রুত সম্ভব এটিকে প্রশিক্ষণ উপযোগী করে গড়ে তোলা হবে।
ফায়ার সার্ভিসের আধুনিক সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতির বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আমাদের ড্রোনসহ আধুনিক প্রযুক্তির সরঞ্জামাদি রয়েছে। তবে উন্নত দেশের তুলনায় আমরা কিছুটা পিছিয়ে আছি। এ বিষয়েও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. ফিরোজ সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভার আগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ফায়ার সার্ভিসের কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জামাদি নিয়ে অধিদপ্তর আয়োজিত প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন। সূত্র : বাসস।
বাংলা স্কুপ/এসকে
তিনি সোোমবার (২৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর ফুলবাড়ীয়ায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর পরিদর্শনকালে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে একথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের ৩২টি উপজেলায় কোনো ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নেই। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এসব উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপন করা হবে। তাছাড়া এ অধিদপ্তরের জনবল সংকট দূরীকরণেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।
তিনি বলেন, অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তুলনায় ফায়ার সার্ভিসে ঝুঁকি ভাতা কম। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঝুঁকি ভাতা বৃদ্ধির বিষয়টিও বিবেচনা করা হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অর্জিত সুনাম অক্ষুন্ন রেখে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার মধ্যে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সুনাম সবচেয়ে বেশি। এ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম দেশে-বিদেশে প্রশংসিত। ফায়ার ফাইটারসহ এ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনেক ঝুঁকির মধ্যে কাজ করতে হয়। তাছাড়া তাদের কাজের কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। এরপরও তারা খুব সাফল্যের সঙ্গে দেশ ও জাতির জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানটির তেমন কোনো ব্যর্থতা নেই, তবে কিছু সীমাবদ্ধতা আছে।
উপদেষ্টা আরো বলেন, ফায়ার ফাইটারদের চাকরিতে শারীরিক পরিশ্রম অনেক বেশি। সেজন্য ফায়ার ফাইটারদের ক্ষেত্রে দক্ষ, যোগ্য ও তুলনামূলক কম বয়সীদের নিয়োগে প্রাধান্য দিতে হবে। তিনি বলেন, চাকরিতে শৃঙ্খলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই শৃংখলা ভঙ্গকারীদের শুধু সতর্কতামূলক নোটিশ দিলেই হবে না, দু'একটি ক্ষেত্রে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিও দিতে হবে।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)বলেন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ একাডেমির জন্য মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়ায় স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু স্থানটিকে এখনো প্রশিক্ষণের জন্য উপযোগী করে গড়ে তোলা হয়নি। যত দ্রুত সম্ভব এটিকে প্রশিক্ষণ উপযোগী করে গড়ে তোলা হবে।
ফায়ার সার্ভিসের আধুনিক সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতির বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আমাদের ড্রোনসহ আধুনিক প্রযুক্তির সরঞ্জামাদি রয়েছে। তবে উন্নত দেশের তুলনায় আমরা কিছুটা পিছিয়ে আছি। এ বিষয়েও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. ফিরোজ সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভার আগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ফায়ার সার্ভিসের কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জামাদি নিয়ে অধিদপ্তর আয়োজিত প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন। সূত্র : বাসস।
বাংলা স্কুপ/এসকে