যে কোনও পুরুষই এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বারকয়েক হোঁচট খাবেন। তবে বিষয়টা যতটা কঠিন মনে করেন পুরুষরা, আসলে ততটা নয়।
কথায় বলে, “দ্য ওয়ে টু আ ম্যান’স হার্ট ইজ় থ্রু হিজ় স্টমাক”। আর “ওয়ে টু আ উওম্যান’স হার্ট”? এই প্রশ্নের উত্তর যে কোনও পুরুষের কাছেই বিশ্বের জটিলতম ধাঁধা। মহিলাদের মন বোঝা কি আর অতই সহজ? শতাব্দীর পর শতাব্দী পেরিয়েছে, তবুও পুরুষরা এই কঠিন প্রশ্নের সঠিক উত্তর খুঁজে পাননি। সত্যি বলতে, মহিলাদের মন জয় করা তখনই সহজ হবে, যখন তাঁর মন বুঝতে পারবেন, পড়তে পারবেন। আর মহিলাদের মন বুঝতে হলে শুধু পৌরুষত্ব জাহির করলেই হবে না। বুদ্ধি, সংবেদনশীলতা এবং বিবেচনাবোধ, তিনটেকেই সমানভাবে কাজে লাগাতে হবে। শুনতে কঠিন মনে হলেও, কাজটা অতটা শক্তও নয়। আরও সহজ করে বলতে গেলে, কী করবেন, সেটা চিন্তা না করে, কী কী করবেন না, বরং সেদিকে মনোনিবেশ করা ভাল। কিছু জিনিস সবসময় মনে রাখুন—
# আপনি তাঁর বন্ধু হন বা অপরিচিত, অতিরিক্ত প্রশ্ন, বিশেষ করে অতিরিক্ত ব্যক্তিগত প্রশ্ন, তাঁর অতীত নিয়ে অযথা কৌতূহল প্রকাশ করতে যাবেন না। প্রত্যেকেরই অতীত থাকে এবং ব্যক্তিগত জীবনও কে কতটা প্রকাশ্যে আনবেন, সেটা তাঁর নিজস্ব মতামত। তিনি যতটা জানাতে আগ্রহী, ততটাই জানুন। খুঁচিয়ে কথা বের করার চেষ্টা করতে যাবেন না।
# পুরুষরা অনেকেই ভাবেন মহিলারা পয়সা, দামী গিফ্ট ইত্যাদি পছন্দ করেন এবং এই ধরনের উপহার দিলেই তাঁদের মন জয় করা সম্ভব। কিছু মানুষের ক্ষেত্রে কথাটা প্রযোজ্য হলেও, সবাইকে এক মাপকাঠিতে মাপবেন না। অনেকেই দামী উপহার, শপিং মল, পাঁচতারা রেস্তরাঁর ধার ধারেন না। বরং টাটকা গোলাপ ফুল কিংবা রাস্তার ধারে মাটির ভাঁড়ে এক কাপ চা তাঁদের অনেক বেশি প্রিয়। তাই সামনের মানুষটার পছন্দ-অপছন্দগুলো আগে বোঝার চেষ্টা করুন। সেইমতো আচরণ করুন।
# জোর করে তার জীবনে প্রবেশ করার বা নিজেকে তার জীবনের অংশ করে তোলার চেষ্টা করবেন না। আপনাকে চেনার মতো সময় দিন। অযথা তাঁকে উত্যক্ত করলে দূরত্বই বাড়বে শুধু। অনেক মহিলা কমিটমেন্ট ফোবিক হন। কাজেই আপনার অতিরিক্ত আগ্রহ তাঁর ‘টার্ন অফ’-এরও কারণ হয়ে উঠতে পারে।
# যদি নিজেকে অপ্রস্তুতে ফেলতে না চান বা খারাপ ইম্প্রেশন তৈরি করতে না চান, সেক্ষেত্রে ব্যক্তিগত কোনও তথ্য, যেমন ঠিকানা, ফোন নম্বর ইত্যাদি যেচে না চাওয়াই ভাল। এতে তিনি অস্বস্তি বোধ করতে পারেন, যা কখনওই কাম্য নয়।
# নিজেকে ‘কঠিন’ করে তুলবেন না। নিজের ভাললাগা, পছন্দ, মূল্যবোধ যতটা সোজাসুজি সম্ভব তাকে জানান। যে কোনও সম্পর্কের ক্ষেত্রেই দু’টো মানুষের ন্যূনতম মনের মিল হওয়া জরুরি। ওয়েভলেংথ ম্যাচ করলে তিনি নিজে থেকেই আপনার প্রস্তাবে সাড়া দেবেন। ‘হার্ড টু গেট’ ইমেজ আর যাই হোক, মহিলাদের মন জয় করার জন্য উপযুক্ত নয়।
# তাঁর মনে নিজের জায়গা তৈরি করার চেষ্টা করুন। তাঁর ছোটখাট পছন্দ-অপছন্দগুলোর গুরুত্ব দেওয়া, তাঁকে আনন্দ দেওয়া, হাসানো ইত্যাদি পজ়িটিভ সাইন। তাই বলে অপ্রয়োজনীয় ফ্লার্টিং বা লেম জোকস ভুলেও নয়। অন্তত, তাঁকে বোঝা না পর্যন্ত তো একেবারেই নয়।
এতেই যে, যে কোনও মহিলার মন জয় করে ফেলতে পারবেন, তা নয়। তবে উপরে বলা ভুলগুলো করলে সেই সম্ভাবনা যে আরওই ক্ষীণ, তা নিশ্চিত!
সূত্র : সানন্দা
বাংলা স্কুপ/ডেস্ক/এসকে
কথায় বলে, “দ্য ওয়ে টু আ ম্যান’স হার্ট ইজ় থ্রু হিজ় স্টমাক”। আর “ওয়ে টু আ উওম্যান’স হার্ট”? এই প্রশ্নের উত্তর যে কোনও পুরুষের কাছেই বিশ্বের জটিলতম ধাঁধা। মহিলাদের মন বোঝা কি আর অতই সহজ? শতাব্দীর পর শতাব্দী পেরিয়েছে, তবুও পুরুষরা এই কঠিন প্রশ্নের সঠিক উত্তর খুঁজে পাননি। সত্যি বলতে, মহিলাদের মন জয় করা তখনই সহজ হবে, যখন তাঁর মন বুঝতে পারবেন, পড়তে পারবেন। আর মহিলাদের মন বুঝতে হলে শুধু পৌরুষত্ব জাহির করলেই হবে না। বুদ্ধি, সংবেদনশীলতা এবং বিবেচনাবোধ, তিনটেকেই সমানভাবে কাজে লাগাতে হবে। শুনতে কঠিন মনে হলেও, কাজটা অতটা শক্তও নয়। আরও সহজ করে বলতে গেলে, কী করবেন, সেটা চিন্তা না করে, কী কী করবেন না, বরং সেদিকে মনোনিবেশ করা ভাল। কিছু জিনিস সবসময় মনে রাখুন—
# আপনি তাঁর বন্ধু হন বা অপরিচিত, অতিরিক্ত প্রশ্ন, বিশেষ করে অতিরিক্ত ব্যক্তিগত প্রশ্ন, তাঁর অতীত নিয়ে অযথা কৌতূহল প্রকাশ করতে যাবেন না। প্রত্যেকেরই অতীত থাকে এবং ব্যক্তিগত জীবনও কে কতটা প্রকাশ্যে আনবেন, সেটা তাঁর নিজস্ব মতামত। তিনি যতটা জানাতে আগ্রহী, ততটাই জানুন। খুঁচিয়ে কথা বের করার চেষ্টা করতে যাবেন না।
# পুরুষরা অনেকেই ভাবেন মহিলারা পয়সা, দামী গিফ্ট ইত্যাদি পছন্দ করেন এবং এই ধরনের উপহার দিলেই তাঁদের মন জয় করা সম্ভব। কিছু মানুষের ক্ষেত্রে কথাটা প্রযোজ্য হলেও, সবাইকে এক মাপকাঠিতে মাপবেন না। অনেকেই দামী উপহার, শপিং মল, পাঁচতারা রেস্তরাঁর ধার ধারেন না। বরং টাটকা গোলাপ ফুল কিংবা রাস্তার ধারে মাটির ভাঁড়ে এক কাপ চা তাঁদের অনেক বেশি প্রিয়। তাই সামনের মানুষটার পছন্দ-অপছন্দগুলো আগে বোঝার চেষ্টা করুন। সেইমতো আচরণ করুন।
# জোর করে তার জীবনে প্রবেশ করার বা নিজেকে তার জীবনের অংশ করে তোলার চেষ্টা করবেন না। আপনাকে চেনার মতো সময় দিন। অযথা তাঁকে উত্যক্ত করলে দূরত্বই বাড়বে শুধু। অনেক মহিলা কমিটমেন্ট ফোবিক হন। কাজেই আপনার অতিরিক্ত আগ্রহ তাঁর ‘টার্ন অফ’-এরও কারণ হয়ে উঠতে পারে।
# যদি নিজেকে অপ্রস্তুতে ফেলতে না চান বা খারাপ ইম্প্রেশন তৈরি করতে না চান, সেক্ষেত্রে ব্যক্তিগত কোনও তথ্য, যেমন ঠিকানা, ফোন নম্বর ইত্যাদি যেচে না চাওয়াই ভাল। এতে তিনি অস্বস্তি বোধ করতে পারেন, যা কখনওই কাম্য নয়।
# নিজেকে ‘কঠিন’ করে তুলবেন না। নিজের ভাললাগা, পছন্দ, মূল্যবোধ যতটা সোজাসুজি সম্ভব তাকে জানান। যে কোনও সম্পর্কের ক্ষেত্রেই দু’টো মানুষের ন্যূনতম মনের মিল হওয়া জরুরি। ওয়েভলেংথ ম্যাচ করলে তিনি নিজে থেকেই আপনার প্রস্তাবে সাড়া দেবেন। ‘হার্ড টু গেট’ ইমেজ আর যাই হোক, মহিলাদের মন জয় করার জন্য উপযুক্ত নয়।
# তাঁর মনে নিজের জায়গা তৈরি করার চেষ্টা করুন। তাঁর ছোটখাট পছন্দ-অপছন্দগুলোর গুরুত্ব দেওয়া, তাঁকে আনন্দ দেওয়া, হাসানো ইত্যাদি পজ়িটিভ সাইন। তাই বলে অপ্রয়োজনীয় ফ্লার্টিং বা লেম জোকস ভুলেও নয়। অন্তত, তাঁকে বোঝা না পর্যন্ত তো একেবারেই নয়।
এতেই যে, যে কোনও মহিলার মন জয় করে ফেলতে পারবেন, তা নয়। তবে উপরে বলা ভুলগুলো করলে সেই সম্ভাবনা যে আরওই ক্ষীণ, তা নিশ্চিত!
সূত্র : সানন্দা
বাংলা স্কুপ/ডেস্ক/এসকে