গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ২০৩ বন্দির মধ্যে গত আড়াই মাসে মাত্র ২৭ জনেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখনও পলাতক রয়েছে ১৭৭ জন। ফলে পলাতক আসামিরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় এরা সংগঠিত হয়ে বড় ধরনের অপরাধ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত ২৭ জনকে ফিরিয়ে আনতে পেরেছি।
কারাগার সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুরের কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্সের ভিতরে একটি মহিলা কারাগারসহ চারটি কেন্দ্রীয় কারাগার রয়েছে। তার মধ্যে হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বিডিআর বিদ্রোহ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি, জঙ্গি, ফাঁসি ও যাবজ্জীবনসহ দুর্ধষ আসামিদের বন্দি করে রাখা হয়। এছাড়া রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার অনেক নেতাকর্মীদেরও ওই কারাগারে রাখা হয়।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনে ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ৬ আগস্ট বেলা ১১ টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে থাকা কারারক্ষীদের জিম্মি করে মুক্তি দাবিতে বিদ্রোহ শুরু করে। পরে কারারক্ষীরা তাদের শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। দেশের চলমান পরিস্থিতির কারণে নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে আগে থেকেই কারা অভ্যন্তরে অল্পসংখ্যক সেনাবাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন। তারাও বন্দিদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এ সময় অনেক বন্দী ভেতরে থাকা মই ব্যবহার করে ও দেয়াল ভেঙে যে যেভাবে পেরেছেন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে কারারক্ষীরা নিরাপত্তার স্বার্থে গুলি ছোড়েন। গুলিতে ৬ জন বন্দি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৩ জন জঙ্গি ছিলেন। এছাড়া ২০৩ জন বন্দী পালিয়ে যান। পরে খবর দেওয়া হলে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে যোগে অতিরিক্ত আরো সেনা সদস্য গিয়ে বন্দিদের নিয়ন্ত্রণ ও শান্ত করেন। নিহতরা হলেন, হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার মামলার আসামি নরসিংদীর নলভাটা এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে মো. জিন্নাহ (২৮) ও নওগাঁর কাঞ্চনপুর এলাকার আবদুস সালামের ছেলে আসলাম হোসেন মোহন। অন্যজন হলেন হলি আর্টিজান মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আফজাল হোসেন (৬৩), হত্যা মামলার আসামি মৌলভীবাজারের রামেশ্বপুরের মকবুল মিয়ার ছেলে ইমতিয়াজ পাভেল (২৪), টাঙ্গাইলের তারটিয়া এলাকার রাজ্জাক শেখের ছেলে স্বপন শেখ (৪০) ও সুনামগঞ্জের জলোশা এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে আয়াতুল্লাহ (৩৯)।
কারাগার থেকে বন্দি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় কারা কর্তৃপক্ষ কোনাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় বলা হয়, গত ৬ আগস্ট কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা বন্দিরা দাঙ্গা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বিশৃঙ্খলা ও দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণে প্রথমে সতর্ক করা হয়। পরে বন্দিরা হামলা করে ২৫-৩০ জন কারারক্ষীকে গুরুতর আহত করে। এক পর্যায়ে তারা কারাগারের দেয়াল ভেঙে ফেলে এবং বিদ্যুতের পোল উপড়ে ফেলে মই বানিয়ে কারাগারের দেয়াল টপকে ২০৩ জন পালিয়ে যায়। সেই সময়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গুলি চালালে ৬ জন বন্দি নিহত হয়। এসময়ে কারাগারের বন্দিদের হামলায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এ ঘটনায় থানায় মামলা হলেও দেশের চলমান পরিস্থিতির কারণে পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জোরদার অভিযান পরিচালনা করতে পারেনি। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে গত দেড় মাসে অভিযান চালিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পালিয়ে যাওয়া বন্দিদের মধ্যে ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। সর্বশেষে গত ২০ অক্টোবর রাতে র্যাবের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ঢাকার পল্লবী ওয়াপদা বিল্ডিং এলাকা থেকে শমসের (৩০) নামের এক ফেরারি আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে বন্দি ছিলেন।
বাংলা স্কুপ/এএইচ/এসকে
কারাগার সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুরের কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্সের ভিতরে একটি মহিলা কারাগারসহ চারটি কেন্দ্রীয় কারাগার রয়েছে। তার মধ্যে হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বিডিআর বিদ্রোহ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি, জঙ্গি, ফাঁসি ও যাবজ্জীবনসহ দুর্ধষ আসামিদের বন্দি করে রাখা হয়। এছাড়া রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার অনেক নেতাকর্মীদেরও ওই কারাগারে রাখা হয়।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনে ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ৬ আগস্ট বেলা ১১ টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে থাকা কারারক্ষীদের জিম্মি করে মুক্তি দাবিতে বিদ্রোহ শুরু করে। পরে কারারক্ষীরা তাদের শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। দেশের চলমান পরিস্থিতির কারণে নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে আগে থেকেই কারা অভ্যন্তরে অল্পসংখ্যক সেনাবাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন। তারাও বন্দিদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এ সময় অনেক বন্দী ভেতরে থাকা মই ব্যবহার করে ও দেয়াল ভেঙে যে যেভাবে পেরেছেন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে কারারক্ষীরা নিরাপত্তার স্বার্থে গুলি ছোড়েন। গুলিতে ৬ জন বন্দি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৩ জন জঙ্গি ছিলেন। এছাড়া ২০৩ জন বন্দী পালিয়ে যান। পরে খবর দেওয়া হলে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে যোগে অতিরিক্ত আরো সেনা সদস্য গিয়ে বন্দিদের নিয়ন্ত্রণ ও শান্ত করেন। নিহতরা হলেন, হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার মামলার আসামি নরসিংদীর নলভাটা এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে মো. জিন্নাহ (২৮) ও নওগাঁর কাঞ্চনপুর এলাকার আবদুস সালামের ছেলে আসলাম হোসেন মোহন। অন্যজন হলেন হলি আর্টিজান মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আফজাল হোসেন (৬৩), হত্যা মামলার আসামি মৌলভীবাজারের রামেশ্বপুরের মকবুল মিয়ার ছেলে ইমতিয়াজ পাভেল (২৪), টাঙ্গাইলের তারটিয়া এলাকার রাজ্জাক শেখের ছেলে স্বপন শেখ (৪০) ও সুনামগঞ্জের জলোশা এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে আয়াতুল্লাহ (৩৯)।
কারাগার থেকে বন্দি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় কারা কর্তৃপক্ষ কোনাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় বলা হয়, গত ৬ আগস্ট কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা বন্দিরা দাঙ্গা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বিশৃঙ্খলা ও দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণে প্রথমে সতর্ক করা হয়। পরে বন্দিরা হামলা করে ২৫-৩০ জন কারারক্ষীকে গুরুতর আহত করে। এক পর্যায়ে তারা কারাগারের দেয়াল ভেঙে ফেলে এবং বিদ্যুতের পোল উপড়ে ফেলে মই বানিয়ে কারাগারের দেয়াল টপকে ২০৩ জন পালিয়ে যায়। সেই সময়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গুলি চালালে ৬ জন বন্দি নিহত হয়। এসময়ে কারাগারের বন্দিদের হামলায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এ ঘটনায় থানায় মামলা হলেও দেশের চলমান পরিস্থিতির কারণে পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জোরদার অভিযান পরিচালনা করতে পারেনি। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে গত দেড় মাসে অভিযান চালিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পালিয়ে যাওয়া বন্দিদের মধ্যে ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। সর্বশেষে গত ২০ অক্টোবর রাতে র্যাবের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ঢাকার পল্লবী ওয়াপদা বিল্ডিং এলাকা থেকে শমসের (৩০) নামের এক ফেরারি আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে বন্দি ছিলেন।
বাংলা স্কুপ/এএইচ/এসকে