
সুন্দরবনের গা ঘেঁষা সাতক্ষীরার শ্যামনগরে দিন দিন বাড়ছে সফটশেল কাঁকড়া চাষ। এটি এখন শুধু বিকল্প আয়ের উৎস নয়, রূপ নিয়েছে লাভজনক ও টেকসই শিল্পে। এ চাষাবাদে শত শত পরিবার হয়ে উঠছে স্বাবলম্বী। ছেলেদের পাশাপাশি নারীরাও যুক্ত হচ্ছেন এই কর্মসংস্থানে। চাষিরা বলছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ না এলে এই খাত থেকে ভালো লাভ করা সম্ভব।
শ্যামনগরের শতাধিক খামারে প্রতিদিন কাজ করছেন ২০ থেকে ২৫ জন শ্রমিক। সকাল হলেই নারী শ্রমিকেরা চলে আসেন খামারে। তারা তেলাপিয়া মাছ কেটে কাঁকড়ার খাদ্য প্রস্তুত করেন। এরপর পুরুষ শ্রমিকেরা কাঁকড়ার পোনার ছোট পা ছেঁটে খাঁচায় ঢুকিয়ে পানিতে ফেলেন। তিন বেলা নিয়ম করে লক্ষ্য রাখা হয়, কোনো কাঁকড়া খোলস পাল্টেছে কিনা। খোলস পাল্টালেই তা বাজারজাত করা হয়।
মুন্সিগঞ্জের খামার মালিক আব্দুল্লাহ আল কায়ুম আবু জানান, ‘কাঁকড়া যত ওজন বাড়ায়, খোলস পাল্টানোর পর তা বিক্রির উপযোগী হয়। তবে কাঁকড়া চাষ পুরোপুরি নির্ভরশীল সুন্দরবন থেকে পোনা সংগ্রহের উপর। সাতক্ষীরায় কাঁকড়ার হ্যাচারি স্থাপন করা গেলে উৎপাদন আরও বাড়বে, কমবে নির্ভরতা। এতে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সম্ভাবনাও বাড়বে।’
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জি এম সেলিম জানান, ‘এই সম্ভাবনাময় খাতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দেশে-বিদেশে কাঁকড়ার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। যদি হ্যাচারি করা যায়, তাহলে এই শিল্প আরও বড় পরিসরে সম্প্রসারিত হবে এবং বৈদেশিক আয় বাড়বে।’
জেলা মৎস্য অফিসের তথ্য বলছে, বর্তমানে সাতক্ষীরার ৩৬৪ জন চাষি জেলার ৩২১ হেক্টর জমিতে সফটশেল কাঁকড়া চাষ করছেন। বছরে উৎপাদন হচ্ছে প্রায় ৩ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন কাঁকড়া, যার মাধ্যমে প্রায় ৬০০ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন
শ্যামনগরের শতাধিক খামারে প্রতিদিন কাজ করছেন ২০ থেকে ২৫ জন শ্রমিক। সকাল হলেই নারী শ্রমিকেরা চলে আসেন খামারে। তারা তেলাপিয়া মাছ কেটে কাঁকড়ার খাদ্য প্রস্তুত করেন। এরপর পুরুষ শ্রমিকেরা কাঁকড়ার পোনার ছোট পা ছেঁটে খাঁচায় ঢুকিয়ে পানিতে ফেলেন। তিন বেলা নিয়ম করে লক্ষ্য রাখা হয়, কোনো কাঁকড়া খোলস পাল্টেছে কিনা। খোলস পাল্টালেই তা বাজারজাত করা হয়।
মুন্সিগঞ্জের খামার মালিক আব্দুল্লাহ আল কায়ুম আবু জানান, ‘কাঁকড়া যত ওজন বাড়ায়, খোলস পাল্টানোর পর তা বিক্রির উপযোগী হয়। তবে কাঁকড়া চাষ পুরোপুরি নির্ভরশীল সুন্দরবন থেকে পোনা সংগ্রহের উপর। সাতক্ষীরায় কাঁকড়ার হ্যাচারি স্থাপন করা গেলে উৎপাদন আরও বাড়বে, কমবে নির্ভরতা। এতে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সম্ভাবনাও বাড়বে।’
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জি এম সেলিম জানান, ‘এই সম্ভাবনাময় খাতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দেশে-বিদেশে কাঁকড়ার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। যদি হ্যাচারি করা যায়, তাহলে এই শিল্প আরও বড় পরিসরে সম্প্রসারিত হবে এবং বৈদেশিক আয় বাড়বে।’
জেলা মৎস্য অফিসের তথ্য বলছে, বর্তমানে সাতক্ষীরার ৩৬৪ জন চাষি জেলার ৩২১ হেক্টর জমিতে সফটশেল কাঁকড়া চাষ করছেন। বছরে উৎপাদন হচ্ছে প্রায় ৩ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন কাঁকড়া, যার মাধ্যমে প্রায় ৬০০ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন