অবলা প্রাণিটি মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করছে

​গরুর পায়ের রগ কেটে দেওয়ার অভিযোগ

আপলোড সময় : ২৯-০৭-২০২৫ ০৩:২৯:১৬ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ২৯-০৭-২০২৫ ০৩:৩০:৩৯ অপরাহ্ন
গোপালগঞ্জর মুকসুদপুরে এক কৃষকের গরুর পায়ের রগ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী ইমদাদ মোল্লার বিরুদ্ধে। প্রাণিচিকিৎসকদের হাতেও এর কোনো চিকিৎসা না থাকায় অবলা প্রাণিটি মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করছে। এদিকে গরুকে আহত করার প্রতিবাদ করায় মারধর করে কৃষকের হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সোমবার মুকসুদপুর উপজেলার প্রভাকারদি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মুকসুদপুর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর নিয়ামত খান। আহত মো. সেলিম সরদার (৫০) প্রভাকারদি গ্রামের আব্দুল মান্নান সরদারের ছেলে।

এদিকে ভুক্তভোগী সেলিম বলেন, সকালে আমি প্রতিবেশী মজিদ মোল্লার ছেলে ইমদাদ মোল্লার পাট ক্ষেতের পাশের ফাঁকা জায়গায় গরু গোছড় (বেঁধে) দিয়ে আসি। সেখানে গরু ঘাস খাচ্ছিলো। পরে দুপুরের দিকে খবর পাই ইমদাদ মোল্লা আমার গরুর রগ কেটে দিয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে গরুটি উদ্ধার করে মুকসুদপুর উপজেলা প্রাণি সম্পদ কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই কার্যালয়ের চিকিৎসকরা গরুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছেন। কিন্তু চিকিৎসকরা বলেছেন, এ ধরনের আঘাতে গরুর ভালো হওয়ার সুযোগ নেই। এ বিষয়ে জানতে গেলে ইমদাদ মোল্লা ও তার ছেলেরা পিটিয়ে আমার হাত ভেঙে দিয়েছে। আমার গরুও এখন মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করছে। আমিও যন্ত্রণা সহ্য করতে পারছি না। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দেবো।

জানা যায়, প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে দেওয়া মেডিকেল প্রত্যয়নে দেশি বকনা জাতের আহত গরুটির বয়স ১ বছর ১১ মাস উল্লেখ করা হয়েছে। লালচে রঙের গরুটির পেছনের ডান পায়ের হাঁটুর নিচে রগ ধারালো বস্তু দিয়ে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এতে প্রাণিটির শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে বলে মেডিকেল প্রত্যয়নে বলা হয়েছে।

মুকসুদপুর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর প্রভাকরদি গ্রামের নিয়ামত খান বলেন, গরুর রগ কাটার প্রতিবাদ করায় গরুর মালিকের ডান হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত হয়েছি। প্রতিবেশী ইমদাদ মোল্লার ছেলে রমজান মোল্লা বলেন, গরুর রগ কাটা সম্পর্কে আমি কিছু জানি না। সেলিম সরদারের গরু আমাদের পাটের ক্ষেতে এসে পাট ভাঙতে থাকে। পরে আমার বাবা গরুটি রশিসহ ধরে নিয়ে আসে। এ নিয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে আমার বাবা ও আমি আহত হয়েছি।

মুকসুদপুর উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গরুটি আমাদের কাছে নিয়ে আসার পর আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। তবে কিছুদিন পর গরুর ক্ষত স্থানে পচন ধরতে পারে। তখন ধীরে ধীরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়বে। মানুষের রগ (লিগামেন্ট) কেটে গেলে চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে। সঠিক চিকিৎসা পেলে মানুষ সুস্থ হয়ে ওঠে। কিন্তু বাংলাদেশে গরুর রগকাটা গেলে এখনো অধুনিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি। রগকাটা গরুর চিকিৎসা আমাদের কাছে নেই।

এ বিষয়ে মুকসুদপুর থানার ওসি মোস্তফা কামাল বলেন, ঘটনার বিষয়টি আমরা শুনেছি। তবে এখনও কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন
 

সম্পাদক ও প্রকাশক :

মোঃ কামাল হোসেন

অফিস :

অফিস : ৬/২২, ইস্টার্ণ প্লাাজা (৬ তলা), কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স, হাতিরপুল, ঢাকা।

ইমেইল :