মতলব পূরণ হবে না বলে অনেকে পিআর পদ্ধতি চান না: তাহের

আপলোড সময় : ১৯-০৭-২০২৫ ০৮:২৮:৪১ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ১৯-০৭-২০২৫ ১০:৪২:৩৫ অপরাহ্ন
পিআর পদ্ধতিতে কেন্দ্র দখল বা টাকা দিয়ে ভোট কেনা যাবে না। তাই অনেকে পিআর পদ্ধতির নির্বাচন চান না বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামের নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

শনিবার (১৯ জুলাই) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতের মহাসমাবেশে বক্তৃতা করেন তিনি।

তাহের বলেন, আজকের যে মহাসভা এটাকে প্রশান্ত মহাসাগরের সঙ্গে তুলনা করা যায়। যেদিকে তাকাই শুধু মানুষ আর মানুষ। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের দল। ধনী-গরিব-ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী–সব মানুষের দল।

তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলাম কোনো সন্ত্রাসবাদকে পছন্দ করে না। জামায়াতে ইসলামে জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই। রাজনৈতিক বা ধর্মীয়–কোনো জঙ্গিবাদই দেশে মাথাছাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না। জামায়াতে ইসলাম জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে, লড়াই করবে, প্রয়োজনে সংগ্রাম করবে।

জামায়াতের নায়েবে আমীর বলেন, আওয়ামী লীগ কী করেছে আমরা বলতে চাই না। সেটা গন-কেস। তাদের এ দেশে ঢোকার আর সম্ভাবনা নেই। তারা এখন অপ্রাসঙ্গিক।

তিনি বলেন, জুলাইয়ের লড়াই-সংগ্রামের নতুন লক্ষ্য হচ্ছে নতুন বাংলাদেশ। ৫৪ বছরের শাসনের যে বাংলাদেশ, ৫ আগস্ট ছিল সে বাংলাদেশের যে পরিচালনা, যে নেতৃত্ব–তার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রত্যাখ্যানের বিপ্লব। আমরা নতুন বাংলাদেশ চাই। যারা আবার পুরোনো কায়দায় এই দেশে পুরোনো শাসন ফিরিয়ে আনতে চায়, জনগণ তাদের সেই সুযোগ দেবে না।

সংস্কার প্রসঙ্গে তাহের বলেন, সংস্কার প্রত্যেকেই বলে মানি, কিন্তু মিটিংয়ে বসলেই মানি না বলে কেউ কেউ ভাব দেখাচ্ছেন। সংস্কার সবার জন্য কল্যাণকর। সুতরাং যারা সংস্কার চান না, তাদের একটা মতলব আছে।

তিনি বলেন, পিআর পদ্ধতিতে কেন্দ্র দখল হবে না–তাহলে মতলব পূরণ হবে না। পিআর পদ্ধতিতে টাকা দিয়ে ভোট কেনার কোনো সুযোগ নাই–সে জন্য মতলব পূরণ হবে না। যেটা স্বচ্ছ নির্বাচন, সেটার বিরোধিতা করার মানে হলো নতুন বাংলাদেশ গড়ার ব্যাপারে তারা সিনসিআর (আন্তরিক) না।

জামায়াতের এ নায়েবে আমীর বলেন, জামায়াতে ইসলাম চায় আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ জিতবে। জনগণ যাদের ভোট দেবে তারা জিতবে। ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশপন্থিরাই জিতবে, সন্ত্রাসবিরোধীরাই জিতবে, সুশাসনের পক্ষের শক্তিই জিতবে।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান দুটি অধ্যাদেশ দিয়েছিলেন ১৯৭৭ সালে। একটি সামরিক শাসনের কিছু অংশ। সেখান থেকে তিনি যখন রাজনীতি করার সিদ্ধান্ত নিলেন, তখন একটি গণভোট দিলেন। তারপর যখন পার্লামেন্ট ইলেকশনের সিদ্ধান্ত নিলেন, সাতাত্তর সালে অধ্যাদেশের মাধ্যমে সেটাকে জায়েজ করে ইলেকশন করে পরবর্তী নির্বাচনে রেটিফাই করা হয়েছিল। সে জন্য জুলাই সনদ দিতে হবে। সেটি একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে লিগ্যাল ফ্রেম দিয়ে যারা জিতবেন তারা পার্লামেন্টে রেটিফাই করবেন। এটা হলো আইনগত সিদ্ধান্ত ও ভিত্তি। এটির ব্যত্যয় হলে জনগণ মানবে না।

বাংলা স্কুপ/এইচএইচ/এসকে

সম্পাদক ও প্রকাশক :

মোঃ কামাল হোসেন

অফিস :

অফিস : ৬/২২, ইস্টার্ণ প্লাাজা (৬ তলা), কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স, হাতিরপুল, ঢাকা।

ইমেইল :