পটুয়াখালীতে ২১ হিন্দু পরিবারের রেকর্ডিয় জমি দখলে নেমেছে একদল ভূমিদস্যু। হিন্দু পরিবারের সদস্যরা সম্মিলিতভাবে সোমবার (২১ অক্টোবর) সকালে পটুয়াখালী শহরের টাউন কালিকাপুর এলাকার প্রায় ৬ কোটি টাকা মূল্যের ওই জমিতে ঘর উত্তোলন করতে গেলে লাঠিসোটা নিয়ে ভূমিদস্যুরা বাঁধা দেয়। তারা নিজেদেরকে বিএনপির কর্মী দাবি করে হিন্দু পরিবারের সদস্যদের খুন-জখমসহ দেশ থেকে তাড়িয়ে দেয়ারও হুমকি দেয়। এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগীরা পটুয়াখালী খানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ভুক্তভোগীদের একজন পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি স্বপন ব্যানার্জী জানান, ২০০৯ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে এসব হিন্দু পরিবারগুলো শহরের টাউন কালিাপুর এলাকার এস.এ ৯৩১ নং খতিয়ানের ২৬৭০ দাগে ১ একর ২১ শতাংশ ও ২৬৬৯ দাগে ২৯ শতাংশসহ মোট দেড় একর জমি কবলা দলিলমূলে ক্রয় করেন। ক্রেতারা ওই জমিতে বালু দিয়ে ভরাট করে বাড়ি নির্মানের উপযোগী করেন। আজ সকালে ওই জমিতে জমির মালিকরা ঘর নির্মান করতে গেলে ওই এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু বেল্লাল খান, মনিরুজ্জামান নাসির ও জামাল বিশ্বাস একদল সন্ত্রাসী নিয়ে তাদের কাজে বাঁধা দেয়। এসময় উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
স্বপন ব্যানার্জী আরও বলেন, এর আগেও এসব ভূমিদস্যুরা তাদের বাঁধা দিয়েছে। ওই জমিতে ঘর তোলার পরিকল্পনা করতে ৯ অক্টোবর আমরা সেখানে গেলে তারা আমাদের নানাভাবে হুমকি-ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। পরে আমরা ভুক্তভোগী হিন্দু পরিবারের সদস্যরা পটুয়াখালী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। এছাড়াও আমরা ২১ পরিবারের সদস্যরা ২০ অক্টোবর দুপুরে পুলিশ সুপারের কাছেও বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছি এবং এর প্রতিকার দাবি করেছি।
সোমবার সকালে আমরা ওই জমিতে ঘর নির্মাণ করতে গেলে ভূমিদস্যুরা আমাদের বাঁধা দেয় এবং আমাদেরকে খুন-জখমসহ নানা ধরনের হুমকি দেয়। এমনকি তারা আমাদের দেশ থেকে তাড়িয়ে দেয়ারও হুমকি দেয়।
জমির আরেকজন মালিক খোকন দে বলেন, আমরা জমির মালিক কিন্তু আমরা জমির কাছে আসলেই এসব ভূমিদস্যুরা অকথ্য ভাষায় গালাগালসহ নানাভাবে ভয়ভীতি দেখায়। আমরা এর প্রতিকার চাই।
ভূমিদস্যু বলে পরিচিত বেল্লাল খান নিজেকে বিএনপি কর্মী বলে পরিচয় দেন। তার দাবি, তিনি এখানে জমি কিনেছেন তবে ওই জমির কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। অপর ভূমিদস্যু মনিরুজ্জামান নাসির জানান, আমিও বিএনপির লোক। আওয়ামী লীগের সময়ে আমরা নানাভাবে হয়রানির শিকার হয়েছি। কিন্তু এখনও হয়রানির শিকার হবো এটা মানা যায়না। বেল্লাল ও মনিরুজ্জামান নাসির বিএনপির কোন পর্যায়ের কর্মী জানতে চাইলে পটুয়াখালী পৌর বিএনপির সভাপতি মোঃ কামাল হোসেন জানান, তারা বিএনপির কেউ নয়। বিএনপির কোন পদ-পদবীতে তাদের নাম নেই। এ ব্যাপারে পটুয়াখালী থানার ওসি (তদন্ত) রতনুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, উভয়পক্ষকে শান্তিপূর্ণ অবস্থানে থাকার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বাংলা স্কুপ/পটুয়াখালী প্রতিনিধি/এসকে
ভুক্তভোগীদের একজন পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি স্বপন ব্যানার্জী জানান, ২০০৯ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে এসব হিন্দু পরিবারগুলো শহরের টাউন কালিাপুর এলাকার এস.এ ৯৩১ নং খতিয়ানের ২৬৭০ দাগে ১ একর ২১ শতাংশ ও ২৬৬৯ দাগে ২৯ শতাংশসহ মোট দেড় একর জমি কবলা দলিলমূলে ক্রয় করেন। ক্রেতারা ওই জমিতে বালু দিয়ে ভরাট করে বাড়ি নির্মানের উপযোগী করেন। আজ সকালে ওই জমিতে জমির মালিকরা ঘর নির্মান করতে গেলে ওই এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু বেল্লাল খান, মনিরুজ্জামান নাসির ও জামাল বিশ্বাস একদল সন্ত্রাসী নিয়ে তাদের কাজে বাঁধা দেয়। এসময় উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
স্বপন ব্যানার্জী আরও বলেন, এর আগেও এসব ভূমিদস্যুরা তাদের বাঁধা দিয়েছে। ওই জমিতে ঘর তোলার পরিকল্পনা করতে ৯ অক্টোবর আমরা সেখানে গেলে তারা আমাদের নানাভাবে হুমকি-ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। পরে আমরা ভুক্তভোগী হিন্দু পরিবারের সদস্যরা পটুয়াখালী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। এছাড়াও আমরা ২১ পরিবারের সদস্যরা ২০ অক্টোবর দুপুরে পুলিশ সুপারের কাছেও বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছি এবং এর প্রতিকার দাবি করেছি।
সোমবার সকালে আমরা ওই জমিতে ঘর নির্মাণ করতে গেলে ভূমিদস্যুরা আমাদের বাঁধা দেয় এবং আমাদেরকে খুন-জখমসহ নানা ধরনের হুমকি দেয়। এমনকি তারা আমাদের দেশ থেকে তাড়িয়ে দেয়ারও হুমকি দেয়।
জমির আরেকজন মালিক খোকন দে বলেন, আমরা জমির মালিক কিন্তু আমরা জমির কাছে আসলেই এসব ভূমিদস্যুরা অকথ্য ভাষায় গালাগালসহ নানাভাবে ভয়ভীতি দেখায়। আমরা এর প্রতিকার চাই।
ভূমিদস্যু বলে পরিচিত বেল্লাল খান নিজেকে বিএনপি কর্মী বলে পরিচয় দেন। তার দাবি, তিনি এখানে জমি কিনেছেন তবে ওই জমির কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। অপর ভূমিদস্যু মনিরুজ্জামান নাসির জানান, আমিও বিএনপির লোক। আওয়ামী লীগের সময়ে আমরা নানাভাবে হয়রানির শিকার হয়েছি। কিন্তু এখনও হয়রানির শিকার হবো এটা মানা যায়না। বেল্লাল ও মনিরুজ্জামান নাসির বিএনপির কোন পর্যায়ের কর্মী জানতে চাইলে পটুয়াখালী পৌর বিএনপির সভাপতি মোঃ কামাল হোসেন জানান, তারা বিএনপির কেউ নয়। বিএনপির কোন পদ-পদবীতে তাদের নাম নেই। এ ব্যাপারে পটুয়াখালী থানার ওসি (তদন্ত) রতনুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, উভয়পক্ষকে শান্তিপূর্ণ অবস্থানে থাকার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বাংলা স্কুপ/পটুয়াখালী প্রতিনিধি/এসকে