
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দেশের দুই জেলায় ঘটে গেল দুইটি হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনা। মেহেরপুরের গাংনীতে স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেলো স্ত্রী রিনা খাতুনেরও। বৈদ্যুতিক তারে স্পৃষ্ট হয়ে মারা যান রাজমিস্ত্রি গোলাম কিবরিয়াও। একই দিনে বান্দরবানে আগুন ছড়ানো ট্রান্সফরমার থেকে সৃষ্ট শর্টসার্কিটে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান তিনজন ম্রো নারী। আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বৈদ্যুতিক নিরাপত্তায় গাফিলতি ও পুরোনো তার/যন্ত্রাংশ ব্যবহারের কারণেই বারবার এমন প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটছে। নিহতদের পরিবারে এখন চলছে শোকের মাতম। সোমবার (১৪ জুলাই) বাংলা স্কুপের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে বিস্তারিত-
বান্দরবান প্রতিনিধি জানান- বান্দরবানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিন ম্রো নারী নিহত হয়েছেন। সোমবার ভোরে সুয়ালক ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের দেওয়াই হেডম্যান পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। আর এই ঘটনায় আহত রয়েছেন আরও কয়েকজন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত ২টার দিকে হঠাৎ করে একটি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারে আগুন ধরে যায়। অল্প সময়ের মধ্যেই সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের বাড়িগুলোতে। আগুনের তীব্রতায় বেশ কয়েকটি বাড়ির বৈদ্যুতিক মিটার বিস্ফোরিত হয় এবং শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে আগুন লেগে পুরো বাড়িগুলো জ্বলতে থাকে। এ সময় বিভিন্ন ঘরে থাকা বিদ্যুৎ-সংযোগে স্ফুলিঙ্গ দেখা দেয়। তখন ঘরের বাতি-ফ্যানের সুইচ বন্ধ করতে গিয়ে তিনজন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন।
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দেওয়াই হেডম্যান পাড়ার বাসিন্দা ওরকান ম্রো (৭১), তুমলে ম্রো (১৭) ও রুনলে ম্রো (৩৫) মারা যায়। এসময় আরও কয়েকজন আহত হয়। সুয়ালক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উক্যনু মারমা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিনজন নারীর মৃত্যু হয়েছে নিশ্চিত করে জানান, এই ঘটনায় পর এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ বান্দরবানের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ আমির হোসেন মাসুম জানান, বিদ্যুৎস্পৃট হয়ে তিন নারীর মৃত্যু ও কয়েকজন আহত হওয়ায় ঘটনার পরপরই বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের একটি তদন্ত টিম ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছেন।
মেহেরপুর প্রতিনিধি জানান- মেহেরপুরের গাংনী পৌরসভার চৌগাছা গ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নিজ বাড়িতে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন চৌগাছা গ্রামের রাজমিস্ত্রি গোলাম কিবরিয়া (৫৫) এবং তার স্ত্রী রিনা খাতুন (৪৮)।
স্থানীয়রা জানান, গোলাম কিবরিয়ার বাড়ির বৈদ্যুতিক মিটারের আর্থিং তারের সঙ্গে একটি বাইসাইকেল রাখা ছিল। অসতর্কতায় কোনোভাবে আর্থিং তারের সঙ্গে সাইড লাইনের বিদ্যুৎ সংযোগ হয়ে যায়। বিষয়টি টের না পেয়ে গোলাম কিবরিয়া বাইসাইকেল ধরার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুতায়িত হন। এ সময় তার স্ত্রী রিনা খাতুন ছুটে স্বামীকে টেনে সরানোর চেষ্টা করেন। এতে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়েন।
এসময় তাদের ছোট মেয়ে চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। পরে দুজনকে দ্রুত গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কনি মিয়া জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এনআইএন/এসকে
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বৈদ্যুতিক নিরাপত্তায় গাফিলতি ও পুরোনো তার/যন্ত্রাংশ ব্যবহারের কারণেই বারবার এমন প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটছে। নিহতদের পরিবারে এখন চলছে শোকের মাতম। সোমবার (১৪ জুলাই) বাংলা স্কুপের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে বিস্তারিত-
বান্দরবান প্রতিনিধি জানান- বান্দরবানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিন ম্রো নারী নিহত হয়েছেন। সোমবার ভোরে সুয়ালক ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের দেওয়াই হেডম্যান পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। আর এই ঘটনায় আহত রয়েছেন আরও কয়েকজন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত ২টার দিকে হঠাৎ করে একটি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারে আগুন ধরে যায়। অল্প সময়ের মধ্যেই সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের বাড়িগুলোতে। আগুনের তীব্রতায় বেশ কয়েকটি বাড়ির বৈদ্যুতিক মিটার বিস্ফোরিত হয় এবং শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে আগুন লেগে পুরো বাড়িগুলো জ্বলতে থাকে। এ সময় বিভিন্ন ঘরে থাকা বিদ্যুৎ-সংযোগে স্ফুলিঙ্গ দেখা দেয়। তখন ঘরের বাতি-ফ্যানের সুইচ বন্ধ করতে গিয়ে তিনজন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন।
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দেওয়াই হেডম্যান পাড়ার বাসিন্দা ওরকান ম্রো (৭১), তুমলে ম্রো (১৭) ও রুনলে ম্রো (৩৫) মারা যায়। এসময় আরও কয়েকজন আহত হয়। সুয়ালক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উক্যনু মারমা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিনজন নারীর মৃত্যু হয়েছে নিশ্চিত করে জানান, এই ঘটনায় পর এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ বান্দরবানের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ আমির হোসেন মাসুম জানান, বিদ্যুৎস্পৃট হয়ে তিন নারীর মৃত্যু ও কয়েকজন আহত হওয়ায় ঘটনার পরপরই বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের একটি তদন্ত টিম ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছেন।
মেহেরপুর প্রতিনিধি জানান- মেহেরপুরের গাংনী পৌরসভার চৌগাছা গ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নিজ বাড়িতে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন চৌগাছা গ্রামের রাজমিস্ত্রি গোলাম কিবরিয়া (৫৫) এবং তার স্ত্রী রিনা খাতুন (৪৮)।
স্থানীয়রা জানান, গোলাম কিবরিয়ার বাড়ির বৈদ্যুতিক মিটারের আর্থিং তারের সঙ্গে একটি বাইসাইকেল রাখা ছিল। অসতর্কতায় কোনোভাবে আর্থিং তারের সঙ্গে সাইড লাইনের বিদ্যুৎ সংযোগ হয়ে যায়। বিষয়টি টের না পেয়ে গোলাম কিবরিয়া বাইসাইকেল ধরার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুতায়িত হন। এ সময় তার স্ত্রী রিনা খাতুন ছুটে স্বামীকে টেনে সরানোর চেষ্টা করেন। এতে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়েন।
এসময় তাদের ছোট মেয়ে চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। পরে দুজনকে দ্রুত গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কনি মিয়া জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এনআইএন/এসকে