
কোনো এক অজানা কারণে সংশোধন হচ্ছে না বিদ্যুৎ বিভাগের আওতাধীন দপ্তর, সংস্থা ও কোম্পানিগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়োগের মানদণ্ড। এ বিষয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের নির্দেশনা থাকার পরও বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব দপ্তরে নেই কোনো অগ্রগতি। মানদণ্ড সংশোধন না হওয়ায় যোগ্য ও মেধাবীরা এই পদে আবেদন করতে পারছেন না। এতে হতাশা ছড়িয়ে পড়েছে প্রকৌশলীদের মাঝে।
বিগত সরকারের সময় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে তিন বছরের অভিজ্ঞতা থাকলেই এমডি পদে আবেদন করা গেলেও ২০২৫ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারির পর থেকে তা বদলে যায়। বিদ্যুৎ বিভাগের এক 'অতি জরুরি' অফিস আদেশে বলা হয়, এমডি পদে আবেদনের জন্য প্রার্থীর কমপক্ষে ২০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে, যার মধ্যে প্রধান প্রকৌশলী বা সমমানের এবং তদুর্ধ পদে থাকতে হবে কমপক্ষে ৩ বছরের অভিজ্ঞতা।
এই আদেশের বিরুদ্ধে প্রকৌশলীদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার মধ্যে ঘটে আরেক বৈষম্য সৃষ্টিকারী ঘটনা। গত ২৯ এপ্রিল বিদ্যুৎ বিভাগ এক আদেশে শুধুমাত্র বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এবং বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে নিয়োগসংক্রান্ত গাইডলাইনে সংশোধনী আনে। এতে বলা হয়, ওই পদ দুটিতে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে তিন বছরের অভিজ্ঞতা থাকলেই আবেদন করা যাবে। বিদ্যুৎ বিভাগের এক উর্ধ্বতন আমলার ইশারায় এই সংশোধনী আনা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
প্রকৌশলীদের ক্ষোভ আরো জোরোলো হয়। তাঁরা অসম প্রতিযোগিতা ও বৈষম্য নিরসনে গাইডলাইন সংশোধনের দাবি তোলেন। জানানো হয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর লিখিত আবেদনও। প্রকৌশলীরা বলেন, চাকরিজীবনে এমনিতেই সময়মত পদোন্নতি হয় না। নানা বাধা পেরিয়ে একজন প্রকৌশলী যখন প্রধান প্রকৌশলী পদ পর্যন্ত পৌছান, তখন তাঁর চাকরিজীবনের বাকি থাকে অল্প কিছুদিন। এ অবস্থায় তিন বছরের অভিজ্ঞতা অর্জন শুধু অসম্ভবই নয়, অবাস্তবও বটে। এমন বাস্তবতায় একজন মেধাবী ও অভিজ্ঞ প্রকৌশলীকে এমডি হিসেবে পাওয়ার কোনো সুযোগই নেই বিদ্যমান গাইডলাইনে। তাই মানদণ্ড সংশোধন অতীব জরুরি।
প্রকৌশলীদের এই দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছিলেন বিদ্যুৎ উপদেষ্টা। বিদ্যুৎ সচিবকে গাইডলাইন সংশোধনের মৌখিক নির্দেশ দেয়ার কথা গত মে মাসেই বাংলাস্কুপকে জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এ বিষয়ে এখনও কোনো অগ্রগতি হয়নি। সূত্র বলছে, এ বিষয়ে বিদ্যুৎ সচিবের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হলেও তাঁর পক্ষ থেকে কোন উদ্যোগ দৃশ্যমান হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে বিদ্যুৎ সচিব ফারহানা মমতাজের সঙ্গে গত তিনদিন একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন বাংলা স্কুপের প্রতিবেদক।
বিদ্যুৎ বিভাগের প্রশাসন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সবুর হোসেন সোমবার (১৪ জুলাই) বাংলা স্কুপকে বলেন, মানদণ্ড সংশোধনের বিষয়টি নিয়ে উপদেষ্টা ও সচিব মহোদয়ের দপ্তর থেকে কোনো নির্দেশনা আমরা পাইনি। নির্দেশনা পেলেই আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নেব।
বাংলা স্কুপ/এইচএইচ/এএ/এসকে
শীঘ্রই এমডি পদে নিয়োগের মানদণ্ডে সংশোধনী : বিদ্যুৎ উপদেষ্টা
বিগত সরকারের সময় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে তিন বছরের অভিজ্ঞতা থাকলেই এমডি পদে আবেদন করা গেলেও ২০২৫ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারির পর থেকে তা বদলে যায়। বিদ্যুৎ বিভাগের এক 'অতি জরুরি' অফিস আদেশে বলা হয়, এমডি পদে আবেদনের জন্য প্রার্থীর কমপক্ষে ২০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে, যার মধ্যে প্রধান প্রকৌশলী বা সমমানের এবং তদুর্ধ পদে থাকতে হবে কমপক্ষে ৩ বছরের অভিজ্ঞতা।
এই আদেশের বিরুদ্ধে প্রকৌশলীদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার মধ্যে ঘটে আরেক বৈষম্য সৃষ্টিকারী ঘটনা। গত ২৯ এপ্রিল বিদ্যুৎ বিভাগ এক আদেশে শুধুমাত্র বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এবং বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে নিয়োগসংক্রান্ত গাইডলাইনে সংশোধনী আনে। এতে বলা হয়, ওই পদ দুটিতে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে তিন বছরের অভিজ্ঞতা থাকলেই আবেদন করা যাবে। বিদ্যুৎ বিভাগের এক উর্ধ্বতন আমলার ইশারায় এই সংশোধনী আনা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
প্রকৌশলীদের ক্ষোভ আরো জোরোলো হয়। তাঁরা অসম প্রতিযোগিতা ও বৈষম্য নিরসনে গাইডলাইন সংশোধনের দাবি তোলেন। জানানো হয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর লিখিত আবেদনও। প্রকৌশলীরা বলেন, চাকরিজীবনে এমনিতেই সময়মত পদোন্নতি হয় না। নানা বাধা পেরিয়ে একজন প্রকৌশলী যখন প্রধান প্রকৌশলী পদ পর্যন্ত পৌছান, তখন তাঁর চাকরিজীবনের বাকি থাকে অল্প কিছুদিন। এ অবস্থায় তিন বছরের অভিজ্ঞতা অর্জন শুধু অসম্ভবই নয়, অবাস্তবও বটে। এমন বাস্তবতায় একজন মেধাবী ও অভিজ্ঞ প্রকৌশলীকে এমডি হিসেবে পাওয়ার কোনো সুযোগই নেই বিদ্যমান গাইডলাইনে। তাই মানদণ্ড সংশোধন অতীব জরুরি।
প্রকৌশলীদের এই দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছিলেন বিদ্যুৎ উপদেষ্টা। বিদ্যুৎ সচিবকে গাইডলাইন সংশোধনের মৌখিক নির্দেশ দেয়ার কথা গত মে মাসেই বাংলাস্কুপকে জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এ বিষয়ে এখনও কোনো অগ্রগতি হয়নি। সূত্র বলছে, এ বিষয়ে বিদ্যুৎ সচিবের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হলেও তাঁর পক্ষ থেকে কোন উদ্যোগ দৃশ্যমান হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে বিদ্যুৎ সচিব ফারহানা মমতাজের সঙ্গে গত তিনদিন একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন বাংলা স্কুপের প্রতিবেদক।
বিদ্যুৎ বিভাগের প্রশাসন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সবুর হোসেন সোমবার (১৪ জুলাই) বাংলা স্কুপকে বলেন, মানদণ্ড সংশোধনের বিষয়টি নিয়ে উপদেষ্টা ও সচিব মহোদয়ের দপ্তর থেকে কোনো নির্দেশনা আমরা পাইনি। নির্দেশনা পেলেই আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নেব।
বাংলা স্কুপ/এইচএইচ/এএ/এসকে
শীঘ্রই এমডি পদে নিয়োগের মানদণ্ডে সংশোধনী : বিদ্যুৎ উপদেষ্টা