ফরিদপুরের কানাইপুরের লক্ষ্মীপুর মধ্যপাড়া গ্রামের বাসিন্দা শাহাজাহান বেপারীকে (৫৪) হত্যার দায়ে তার ছেলেসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড ও স্ত্রীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (২১ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ফরিদপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত এ রায় দেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নিহতের ছেলে ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর মধ্যপাড়া গ্রামের শাওন ব্যাপারী, একই ইউনিয়নের করিমপুর উত্তরপাড়ার মো. শামীম মোল্লা ও মো. আকমল মোল্যা।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে নিহতের স্ত্রী রাশিদা বেগমকে (৪৯)। তাকেও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
রায় ঘোষণার সময় নিহতের ছেলে শাওন ব্যাপারী আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। অন্য আসামিরা আদালতে হাজির ছিলেন। রায় ঘোষণার পর আসামিদের পুলিশ প্রহরায় জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, শাহজাহান ব্যাপারী দীর্ঘ ১৭ বছর চাকরির সুবাদে মালয়েশিয়া ছিলেন। মৃত্যুর তিন বছর আগে তিনি দেশে ফিরে আসেন। এরপর পুনরায় বিদেশ যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এরই মধ্যে ২০১৪ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে নিজের ঘর থেকে শাহাজাহান বেপারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শাহজাহানের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। এ ঘটনায় নিহতের ভাই দুলাল ব্যাপারী (৫৮) বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে ১৭ সেপ্টেম্বর ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুনির হোসেন ২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর নিহতের স্ত্রী, ছেলেসহ আটজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের পিপি নওয়াব আলী মৃধা বলেন, আদালত নিহতের ছেলেসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং স্ত্রীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এ মামলার বাকি চার আসামিকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।
বাংলা স্কুপ / প্রতিনিধি / এসকে
সোমবার (২১ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ফরিদপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত এ রায় দেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নিহতের ছেলে ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর মধ্যপাড়া গ্রামের শাওন ব্যাপারী, একই ইউনিয়নের করিমপুর উত্তরপাড়ার মো. শামীম মোল্লা ও মো. আকমল মোল্যা।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে নিহতের স্ত্রী রাশিদা বেগমকে (৪৯)। তাকেও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
রায় ঘোষণার সময় নিহতের ছেলে শাওন ব্যাপারী আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। অন্য আসামিরা আদালতে হাজির ছিলেন। রায় ঘোষণার পর আসামিদের পুলিশ প্রহরায় জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, শাহজাহান ব্যাপারী দীর্ঘ ১৭ বছর চাকরির সুবাদে মালয়েশিয়া ছিলেন। মৃত্যুর তিন বছর আগে তিনি দেশে ফিরে আসেন। এরপর পুনরায় বিদেশ যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এরই মধ্যে ২০১৪ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে নিজের ঘর থেকে শাহাজাহান বেপারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শাহজাহানের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। এ ঘটনায় নিহতের ভাই দুলাল ব্যাপারী (৫৮) বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে ১৭ সেপ্টেম্বর ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুনির হোসেন ২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর নিহতের স্ত্রী, ছেলেসহ আটজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের পিপি নওয়াব আলী মৃধা বলেন, আদালত নিহতের ছেলেসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং স্ত্রীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এ মামলার বাকি চার আসামিকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।
বাংলা স্কুপ / প্রতিনিধি / এসকে