
নর্দান ইলেট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী জাকিউল ইসলাম এবং সংস্থাটির তিন উর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দাপ্তরিক ক্ষমতা ব্যবহার করে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের উপপরিচালক (অনু: ও তদন্ত-১) মো. সোহানুর রহমানের নেতৃত্বে গঠন করা হয়েছে অনুসন্ধানী টিম। টিমের অপর সদস্য হলেন দুদকের সহকারী পরিচালক (অনু: ও তদন্ত-১) মো. আশিকুর রহমান।
দুদকের এই অনুসন্ধানী টিমের পক্ষ থেকে গত ২৬ জুন নেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর পাঠানো 'অতীব জরুরি' চিঠি (স্মারক নং-০০.০১.২৬০০.৬০৩.০১.১৮৭.২৫. ৩৩২৫৯) থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
চিঠিতে জাকিউল ইসলাম নেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে যোগদানের পর নির্বাহী প্রকৌশলী নিয়োগ, সহকারী প্রকৌশলী নিয়োগ ও পদোন্নতি-সংক্রান্ত নথি এবং নির্বাহী প্রকৌশলী পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় উত্থাপিত অনিয়ম/দুর্নীতির তদন্ত প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে। জাকিউল ইসলাম গত ১৩ জানুয়ারি ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন।
এছাড়াও নেসকোর সহকারী প্রকৌশলী (তড়িৎ) নায়মা হেলালি, সহকারী ব্যবস্থাপক (এইচ আর এন্ড ওডি) মোসা. মাসুমা আক্তার এবং উপমহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন ও মানব সম্পদ উন্নয়ন) মো. রহমত উল্লাহ-আল-ফারুকের ব্যক্তিগত নথি এবং তাদের নিয়োগ সংক্রান্ত ডিপিসি কমিটির সুপারিশসহ নেসকো'র পরিচালনা পর্ষদের ৬২ ও ৬৩তম সভার কার্যবিবরণীও চেয়েছে দুদকের অনুসন্ধানী টিম।
অনুসন্ধানের স্বার্থে আরো চাওয়া হয়েছে-
১। নেসকোর চাকরি নিয়োগ সংক্রান্ত বিধিমালা। পরিচালনা পর্ষদের ১০৪ তম সভার কার্যবিবরণী এবং ওই সভায় যে ৩১ জন কর্মকর্তা/কর্মচারীর নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে তাদের আবেদনপত্র ও আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত সকল কাগজ, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও নিয়োগপত্র।
২। নেসকো কর্তৃক যে সব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে বা চলমান রয়েছে সে সব প্রকল্পের তালিকাসহ সার-সংক্ষেপ (সিএসসহ টেন্ডার ডকুমেন্ট সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যাদি)।
৩। জাকিউল ইসলাম নেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে যোগদানের পর থেকে কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বিদেশ ভ্রমণ ব্যয়, টিএ-ডিএ সংক্রান্ত ব্যয়, শুভেচ্ছা বিজ্ঞাপন ব্যয়, নেসকোর বিভিন্ন মিটিং বাবদ ব্যয়, বার্ষিক সাধারণ সভা আয়োজন ব্যয় সংক্রান্ত যাবতীয় নথি।
৪। সিএসআর বাবদ চরাঞ্চলে সোলার প্যানেল বসানো ব্যয় সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র/তথ্যাদি।
এসব নথি বুধবার (৯ জুলাই) দুদক কার্যালয়ে জমা দেয়ার কথা থাকলেও নেসকো এখনও তা সরবরাহ করেনি বলে জানা গেছে।
এসব বিষয়ে বক্তব্য নিতে নেসকোর অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও যুগ্মসচিব অঞ্জনা খান মজলিশকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিয়েও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
বিষয়টি নেসকোর উপসচিব ও নির্বাহী পরিচালক (প্রশাসন ও মানব সম্পদ উন্নয়ন) মো. সাইফুর রহমান বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে বাংলা স্কুপকে বলেন, দুদকের চিঠি আমরা দুদিন আগে পেয়েছি। গত ১০ বছরের যেসব তথ্য ও নথি চাওয়া হয়েছে তা সরবরাহ করতে সময় লাগবে। আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে তা সরবরাহ করা হবে জানিয়ে দুদককে চিঠি দিয়ে অবহিত করা হয়েছে।
নেসকো সূত্রে জানা যায়, পতিত সরকারের সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর আস্থাভাজন ছিলেন প্রকৌশলী জাকিউল ইসলাম। তিনি ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকাকালে সংস্থাটিতে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে। এতে করে ভাবমূর্তি ক্ষুন্ণ হওয়ার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে।
নেসকোর একাধিক প্রকৌশলী নামপ্রকাশ না করার শর্তে জানান, জাকিউল ইসলাম চলে গেলেও রয়ে গেছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ সহচররা। ওইসব কর্মকর্তা এখনও দুর্নীতি করে চলেছেন। দ্রুত এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন প্রকৌশলীরা।
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এইচএইচ/এসকে
পদত্যাগ করলেন নেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক
দুদকের উপপরিচালক (অনু: ও তদন্ত-১) মো. সোহানুর রহমানের নেতৃত্বে গঠন করা হয়েছে অনুসন্ধানী টিম। টিমের অপর সদস্য হলেন দুদকের সহকারী পরিচালক (অনু: ও তদন্ত-১) মো. আশিকুর রহমান।
দুদকের এই অনুসন্ধানী টিমের পক্ষ থেকে গত ২৬ জুন নেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর পাঠানো 'অতীব জরুরি' চিঠি (স্মারক নং-০০.০১.২৬০০.৬০৩.০১.১৮৭.২৫. ৩৩২৫৯) থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
চিঠিতে জাকিউল ইসলাম নেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে যোগদানের পর নির্বাহী প্রকৌশলী নিয়োগ, সহকারী প্রকৌশলী নিয়োগ ও পদোন্নতি-সংক্রান্ত নথি এবং নির্বাহী প্রকৌশলী পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় উত্থাপিত অনিয়ম/দুর্নীতির তদন্ত প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে। জাকিউল ইসলাম গত ১৩ জানুয়ারি ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন।
এছাড়াও নেসকোর সহকারী প্রকৌশলী (তড়িৎ) নায়মা হেলালি, সহকারী ব্যবস্থাপক (এইচ আর এন্ড ওডি) মোসা. মাসুমা আক্তার এবং উপমহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন ও মানব সম্পদ উন্নয়ন) মো. রহমত উল্লাহ-আল-ফারুকের ব্যক্তিগত নথি এবং তাদের নিয়োগ সংক্রান্ত ডিপিসি কমিটির সুপারিশসহ নেসকো'র পরিচালনা পর্ষদের ৬২ ও ৬৩তম সভার কার্যবিবরণীও চেয়েছে দুদকের অনুসন্ধানী টিম।
অনুসন্ধানের স্বার্থে আরো চাওয়া হয়েছে-
১। নেসকোর চাকরি নিয়োগ সংক্রান্ত বিধিমালা। পরিচালনা পর্ষদের ১০৪ তম সভার কার্যবিবরণী এবং ওই সভায় যে ৩১ জন কর্মকর্তা/কর্মচারীর নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে তাদের আবেদনপত্র ও আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত সকল কাগজ, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও নিয়োগপত্র।
২। নেসকো কর্তৃক যে সব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে বা চলমান রয়েছে সে সব প্রকল্পের তালিকাসহ সার-সংক্ষেপ (সিএসসহ টেন্ডার ডকুমেন্ট সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যাদি)।
৩। জাকিউল ইসলাম নেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে যোগদানের পর থেকে কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বিদেশ ভ্রমণ ব্যয়, টিএ-ডিএ সংক্রান্ত ব্যয়, শুভেচ্ছা বিজ্ঞাপন ব্যয়, নেসকোর বিভিন্ন মিটিং বাবদ ব্যয়, বার্ষিক সাধারণ সভা আয়োজন ব্যয় সংক্রান্ত যাবতীয় নথি।
৪। সিএসআর বাবদ চরাঞ্চলে সোলার প্যানেল বসানো ব্যয় সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র/তথ্যাদি।
এসব নথি বুধবার (৯ জুলাই) দুদক কার্যালয়ে জমা দেয়ার কথা থাকলেও নেসকো এখনও তা সরবরাহ করেনি বলে জানা গেছে।
এসব বিষয়ে বক্তব্য নিতে নেসকোর অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও যুগ্মসচিব অঞ্জনা খান মজলিশকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিয়েও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
বিষয়টি নেসকোর উপসচিব ও নির্বাহী পরিচালক (প্রশাসন ও মানব সম্পদ উন্নয়ন) মো. সাইফুর রহমান বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে বাংলা স্কুপকে বলেন, দুদকের চিঠি আমরা দুদিন আগে পেয়েছি। গত ১০ বছরের যেসব তথ্য ও নথি চাওয়া হয়েছে তা সরবরাহ করতে সময় লাগবে। আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে তা সরবরাহ করা হবে জানিয়ে দুদককে চিঠি দিয়ে অবহিত করা হয়েছে।
নেসকো সূত্রে জানা যায়, পতিত সরকারের সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর আস্থাভাজন ছিলেন প্রকৌশলী জাকিউল ইসলাম। তিনি ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকাকালে সংস্থাটিতে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে। এতে করে ভাবমূর্তি ক্ষুন্ণ হওয়ার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে।
নেসকোর একাধিক প্রকৌশলী নামপ্রকাশ না করার শর্তে জানান, জাকিউল ইসলাম চলে গেলেও রয়ে গেছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ সহচররা। ওইসব কর্মকর্তা এখনও দুর্নীতি করে চলেছেন। দ্রুত এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন প্রকৌশলীরা।
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এইচএইচ/এসকে
পদত্যাগ করলেন নেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক