মা ইলিশ প্রজননের জন্য মৎস্য বিভাগের আরোপিত ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা ১৩ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে, যা ৩ নভেম্বর শেষ হবে। নিষেধাজ্ঞাকালীন জেলেদের পরিবারের জন্য সরকার ২৫ কেজি হারে চাল বরাদ্দ করলে এখন অনেক জেলের কাছেই তা পৌঁছেনি। আর এ স্বল্প পরিমাণ চাল দিয়ে পরিবার চালাতে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। জেলেরা চালের পরিমাণ বাড়িয়ে কমপক্ষে ৫০ কেজি, নগদ কমপক্ষে ৫ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তার জন্য সরকারের কাছে দাবি করেছেন।
এদিকে, নিষেধাজ্ঞা শুরু থেকে রোববার (২০ অক্টোবর) পর্যন্ত পটুয়াখালী জেলায় বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৫৪ জন জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড, ২০ জেলের কাছ থেকে ১ লাখ টাকা জরিমানা আদায় ও সাড়ে ৩ লাখ মিটার জাল জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মৎস্য অফিস।
জেলেরা জানান, এ বছর এমনিতেই বিভিন্ন কারণে সাগরে মাছ শিকার করতে পারিনি। ধার-দেনা করে চলতে হয়েছে। তার ওপর এখন ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার কারণে আমরা এখন বেকার হয়ে পড়েছি। বিকল্প কোন কর্মসংস্থান না থাকায় পরিবার নিয়ে ভীষণ কষ্টে আছি। ধার-দেনায় জর্জরিত। তার ওপর এখন মহাজনের কাছ থেকে দাদন আর দোকান থেকে বাকিতে চাল-ডাল কিনে সংসার চালাচ্ছি। নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে ১৩ অক্টোবর। কিন্তু এখনও সরকারের ভিজিএফ কর্মসূচির চাল পাইনি। কবে পাব তাও জানি না। সরকারের উচিত ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার শুরুর সাথে সাথেই চাল বিতরণ নিশ্চিত করা।
সরকারিভাবে যে ২৫ কেজি চাল দেয়া হয় তাতে আমার পরিবারের ৮-৯ দিন চলতে পারে। আবার শুধু চাল তো খাওয়া যায় না। চাল দিয়ে ভাত রান্না করলে তার সাথে তরিতরকারি লাগে। সেসব কেনার টাকা কোথায় পাবো? ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার সময় প্রত্যেক জেলেকে কমপক্ষে ৪০ কেজি চাল ও পাঁচ হাজার টাকা দেয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলেদের মধ্যে চাল বিতরণের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। আশা করছি দু’তিন দিনের মধ্যেই জেলেদের মধ্যে ভিজিএফ কর্মসূচির চাল বিতরণ করতে পারবো।
জেলা মৎস্য বিভাগের তথ্যমতে, জেলায় নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ৭৯ হাজার ৩০০ জন। কিন্তু এরা সবাই ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় চাল পান না। চাল পাচ্ছেন ৬৪ হাজার ৭৭০ জন জেলেঅ এ হিসাবমতে ২ হাজার ৮২৩ জন জেলে সরকারের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছে।
সহায়তার পরিমাণ কম থাকা ও অনিবন্ধিত জেলেদের একাংশ তাদের সংসার পরিচালনার বিকল্প না থাকায় এ নিষেধাজ্ঞা উপক্ষো করে রাতে নদ-নদীতে ইলিশ শিকার করেন। তারা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ইলিশ শিকার করে গোপনে অপেক্ষাকৃত কমদামে বিক্রিও করেন।
মৎস্য বিভাগের হিসেব অনুযায়ী, নিষেধাজ্ঞাচলাকালীন পটুয়াখালী জেলায় ৫৪ জন জেলেকে বিভন্ন মেয়াদে কারাদন্ড, ২০ জেলের কাছ থেকে ১ লাখ টাকা জরিমানা আদায় ও সাড়ে ৩ লাখ মিটার জাল জব্দ করা হয়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ কামরুল জানান, ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা সফল করতে আমরা নিরলসভাবে কাজ করছি। রাত জেগে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যদের সাথে অভিযানে যেতে হচ্ছে। আবার দিনে ভিজিএফ কর্মসূচির চাল বিতরণের কাজ করতে হচ্ছে। কয়েকটি ইউনিয়নে চাল বিতরণ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আশা করছি আগামি ৩-৪ দিনের মধ্যে সকল জেলেদের মধ্যে চাল বিতরণ সম্পন্ন করতে পারবো।
তবে যারা রাতের অন্ধকারে ইলিশ শিকারে নামছেন তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের সহায়তায় অভিযান চলমান আছে।
বাংলা স্কুপ/প্রতিনিধি/ এসকে
এদিকে, নিষেধাজ্ঞা শুরু থেকে রোববার (২০ অক্টোবর) পর্যন্ত পটুয়াখালী জেলায় বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৫৪ জন জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড, ২০ জেলের কাছ থেকে ১ লাখ টাকা জরিমানা আদায় ও সাড়ে ৩ লাখ মিটার জাল জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মৎস্য অফিস।
জেলেরা জানান, এ বছর এমনিতেই বিভিন্ন কারণে সাগরে মাছ শিকার করতে পারিনি। ধার-দেনা করে চলতে হয়েছে। তার ওপর এখন ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার কারণে আমরা এখন বেকার হয়ে পড়েছি। বিকল্প কোন কর্মসংস্থান না থাকায় পরিবার নিয়ে ভীষণ কষ্টে আছি। ধার-দেনায় জর্জরিত। তার ওপর এখন মহাজনের কাছ থেকে দাদন আর দোকান থেকে বাকিতে চাল-ডাল কিনে সংসার চালাচ্ছি। নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে ১৩ অক্টোবর। কিন্তু এখনও সরকারের ভিজিএফ কর্মসূচির চাল পাইনি। কবে পাব তাও জানি না। সরকারের উচিত ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার শুরুর সাথে সাথেই চাল বিতরণ নিশ্চিত করা।
সরকারিভাবে যে ২৫ কেজি চাল দেয়া হয় তাতে আমার পরিবারের ৮-৯ দিন চলতে পারে। আবার শুধু চাল তো খাওয়া যায় না। চাল দিয়ে ভাত রান্না করলে তার সাথে তরিতরকারি লাগে। সেসব কেনার টাকা কোথায় পাবো? ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার সময় প্রত্যেক জেলেকে কমপক্ষে ৪০ কেজি চাল ও পাঁচ হাজার টাকা দেয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলেদের মধ্যে চাল বিতরণের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। আশা করছি দু’তিন দিনের মধ্যেই জেলেদের মধ্যে ভিজিএফ কর্মসূচির চাল বিতরণ করতে পারবো।
জেলা মৎস্য বিভাগের তথ্যমতে, জেলায় নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ৭৯ হাজার ৩০০ জন। কিন্তু এরা সবাই ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় চাল পান না। চাল পাচ্ছেন ৬৪ হাজার ৭৭০ জন জেলেঅ এ হিসাবমতে ২ হাজার ৮২৩ জন জেলে সরকারের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছে।
সহায়তার পরিমাণ কম থাকা ও অনিবন্ধিত জেলেদের একাংশ তাদের সংসার পরিচালনার বিকল্প না থাকায় এ নিষেধাজ্ঞা উপক্ষো করে রাতে নদ-নদীতে ইলিশ শিকার করেন। তারা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ইলিশ শিকার করে গোপনে অপেক্ষাকৃত কমদামে বিক্রিও করেন।
মৎস্য বিভাগের হিসেব অনুযায়ী, নিষেধাজ্ঞাচলাকালীন পটুয়াখালী জেলায় ৫৪ জন জেলেকে বিভন্ন মেয়াদে কারাদন্ড, ২০ জেলের কাছ থেকে ১ লাখ টাকা জরিমানা আদায় ও সাড়ে ৩ লাখ মিটার জাল জব্দ করা হয়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ কামরুল জানান, ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা সফল করতে আমরা নিরলসভাবে কাজ করছি। রাত জেগে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যদের সাথে অভিযানে যেতে হচ্ছে। আবার দিনে ভিজিএফ কর্মসূচির চাল বিতরণের কাজ করতে হচ্ছে। কয়েকটি ইউনিয়নে চাল বিতরণ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আশা করছি আগামি ৩-৪ দিনের মধ্যে সকল জেলেদের মধ্যে চাল বিতরণ সম্পন্ন করতে পারবো।
তবে যারা রাতের অন্ধকারে ইলিশ শিকারে নামছেন তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের সহায়তায় অভিযান চলমান আছে।
বাংলা স্কুপ/প্রতিনিধি/ এসকে