নির্বাচনে যত দেরি হবে, ভেঙে পড়বে আইনশৃঙ্খলা : মির্জা ফখরুল

আপলোড সময় : ০৭-০৭-২০২৫ ০৬:২৭:০২ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ০৭-০৭-২০২৫ ০৮:৩৩:৩৯ অপরাহ্ন
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচনে যত দেরি হবে, দেশ তত পিছিয়ে যাবে। বিনিয়োগ আসবে না, নারীরা নিরাপত্তা হারাবে, জুডিশিয়াল ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে, আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়বে। সে জন্য দরকার একটা নির্বাচিত সরকার। যেই সরকারের পেছনে রয়েছে জনগণ।

সোমবার (৭ জুলাই) দুপুরে সিলেট নগরের পাঠানটুলা এলাকার সানরাইজ কমিউনিটি সেন্টারে জেলা ও মহানগর বিএনপির ব্যবস্থাপনায় এবং যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিকের উদ্যোগে দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাগফিরাত, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা এবং তারেক রহমানের দীর্ঘায়ু কামনায় কামনায় এ দোয়া মাহফিল হয়। পাশপাশি আলোচনা সভাও হয়েছে।

এ সময় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে নেতা-কর্মীদের মানুষের কাছে যাওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেন। সেই নির্বাচনের প্রস্তুতি কী? মানুষের মধ্যে ভালোবাসা তৈরি করেন। বিএনপিকে যেন মানুষ ভালোবাসে। বলে- হ্যাঁ, বিএনপি ছাড়া আমাদের কোনো উপায় নাই। এই জিনিসটাকে আমাদের তৈরি করতে হবে। সেই জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, এমনি এমনি হঠাৎ করে হাসিনা পালায় নাই, বহু মানুষের সংগ্রাম, রক্ত, ত্যাগ মিলিয়ে আমরা ফ্যাসিবাদমুক্ত হলাম। আমরা তো লড়াই করেছি গণতন্ত্রের জন্য।

তিনি বলেন, আমরা একটা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই যেখানে মানুষ কথা বলতে পারবে, বাকস্বাধীনতা থাকবে, নারীরা নিরাপত্তা পাবে, তরুণরা কাজের সুযোগ পাবে, মানুষ চিকিৎসার সুযোগ পাবে—এমন একটা দেশ আমরা চাই। সে দেশ তৈরির জন্য নতুন করে লড়াই শুরু করেছি। আর আমাদের এ সংগ্রামের নেতা হচ্ছেন তারেক রহমান। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এখনো অসুস্থ অবস্থায় আমাদের পরমার্শ দিয়ে যাচ্ছেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, হাসিনা গণতন্ত্র, ভোট, পত্রিকা বন্ধ করেছিল। মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করেছিল। সেই অবস্থায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র এনে নতুন সযোগ তৈরি করে দিয়েছিলেন। আমরা সেই দল সে যে দল স্বাধীনতা ঘোষণা করেছে। আমরা একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ চাই, কর্মস্থান সৃষ্টি করতে চাই এবং বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্র করতে চাই। সেজন্য বিএনপি ৩১ দফা দিয়েছি। আর এ ৩১ দফার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ।

তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনুসকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তিনি লন্ডনে তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করে ২৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচনের সময় ঠিক করেছেন, এজন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই।

তিনি নেতাকর্মীদের সতর্ক করে বলেন, কেউ যাতে আঙ্গুল তুলে কথা না বলতে পারে—আমরা জমি দখল করেছি, চাঁদাবাজি করেছি, জায়গা দখল করেছি। জয় আমাদের সুনিশ্চিত, ইনশাআল্লাহ। নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেন। মানুষের কাছে যান। মানুষ যাতে বুঝতে পারে বিএনপি ছাড়া আমাদের কোনো উপায় নেই।

এ সময় তিনি বলেন, সিলেটের যেখানে বেগম জিয়া সমাবেশ করেছিলেন সেখানে এবার তারেক রহমানকে নিয়ে দেখা হবে।

বক্তব্যের শুরুতে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা যখন সুযোগ পাই সিলেট আসি। কারণ হচ্ছে, শত শত বছর পূর্বে এখানে ইসলামের আলো ছড়িয়েছেন। সত্য, সুন্দর ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সেই শাহজালাল (রহ.) ও শাহপরান (রহ.) দরগায় আমরা আসি। শুধু আমরা না সারা দেশ-বিদেশের হাজাররো মানুষ এখানে আসে।

তিনি বলেন, এটা আমাদের পূণ্যভূমি। সিলেট আমাদের কাছে আরও প্রিয় হওয়ার আরেকটা কারণ হচ্ছে আমাদের নেতা তারেকে রহমান সাহেবের শ্বশুর বাড়ি। সেজন্য আমরা এখানে আসতে আনন্দ পাই, শান্তি পাই। এ সময় তিনি ইলিয়াস আলীসহ সব গুম হওয়া নেতাদের কথা স্মরণ করেন।

বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এসএ/এসকে

সম্পাদক ও প্রকাশক :

মোঃ কামাল হোসেন

অফিস :

অফিস : ৬/২২, ইস্টার্ণ প্লাাজা (৬ তলা), কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স, হাতিরপুল, ঢাকা।

ইমেইল :