​যৌন হয়রানি ও সমকামিতার অভিযোগে ইবি শিক্ষককে অপসারণ

আপলোড সময় : ৩০-০৬-২০২৫ ০৩:৪১:৪৪ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ৩০-০৬-২০২৫ ০৩:৪১:৪৪ অপরাহ্ন
যৌন হয়রানি, সমকামিতা, শিক্ষার্থী হেনস্তাসহ নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলামকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে। সোমবার (৩০ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক সই করা এক অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।

অফিস আদেশে বলা হয়, হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগের শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পর্যালোচনা করে গত ২২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ২৬৬তম সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলা বিধির ধারা ৪ (আই) (বি) ও ধারা ৫ ধারা অনুযায়ী তাকে বাৎসরিক একটি ইনক্রিমেন্ট বাতিল করা হয় ও তাকে সিন্ডিকেট সভার তারিখ থেকে এক বছরের বাধ্যতামূলক ছুটি প্রদান করা হয়।

সেই সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানালে তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ২৬৭তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিষয়টি পুনরায় ব্যাপক তদন্তের জন্য গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশে গত ৩১ মে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ২৬৮তম (সাধারণ) সভার ৭ নম্বর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী তদন্তের আলোকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও শৃঙ্খলার স্বার্থে তার এসব কর্মকাণ্ড ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলা বিধির চরম পরিপন্থি। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলা বিধির ৪(১) (এফ) ধারা মোতাবেক তাকে ৩১ মে থেকে চাকরি হতে অপসারণ করা হলো।

বিভাগের শিক্ষার্থীরা জানান, প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে আমরা স্বস্তি পেয়েছি। এটি আমাদের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের ফসল। আমরা অত্যন্ত খুশি। তারা আরও বলেন, হাফিজুল ইসলামের অপসারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির প্রতিফলন। তবে ক্যাম্পাসে হাফিজের মতো আরও অনেকে রয়েছেন, যারা নানাভাবে শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন করে আসছে। আমরা প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাই তারা যেন সেসব ঘটনারও সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের চিহ্নিত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে। 

অপসারণের সিদ্ধান্তের পর মন্তব্য জানতে অভিযুক্ত হাফিজুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। গত বছরের ৭ অক্টোবর ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি, সমকামিতা, শিক্ষার্থী হেনস্তা, আপত্তিকর মন্তব্য, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, ফল টেম্পারিংসহ ২৭ দফা অভিযোগ তুলে অব্যাহতির দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। তারা ওই শিক্ষকের কুশপুতুল দাহসসহ নানা কর্মসূচি পালন করেন। শিক্ষার্থীদের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন
 

সম্পাদক ও প্রকাশক :

মোঃ কামাল হোসেন

অফিস :

অফিস : ৬/২২, ইস্টার্ণ প্লাাজা (৬ তলা), কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স, হাতিরপুল, ঢাকা।

ইমেইল :