সরকার পতনের পর ভারতে পালিয়ে যাওয়া ছয় জেলার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কুমিল্লা সীমান্তে একটি বৈঠক করেছেন এবং তাঁরা মুজিবনগর সরকারের আদলে সরকার গঠনের চেষ্টা করছেন বলে গুঞ্জন উঠেছে। বলা হচ্ছে, রোববার (২০ অক্টোবর) ভারতের ত্রিপুরায় আওয়ামী লীগের একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সেখান থেকে একটি অস্থায়ী সরকারের ঘোষণা আসতে পারে।
এ নিয়ে শনিবার (১৯ অক্টোবর) দিনভর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানারকম কথা ছড়িয়ে পড়ে। এ ধরনের তৎপরতা প্রতিরোধে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বিজিবি ও পুলিশ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লার পক্ষ থেকে এ ধরনের ষড়যন্ত্র প্রতিরোধের ঘোষণা দিয়ে শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নগরীর টাউন হল মাঠ থেকে মশাল মিছিল বের করা হয়। মিছিলের নেতৃত্ব দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও আবদুল হান্নান মাসুদ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে ছড়িয়ে পড়া গুঞ্জনে শোনা যায়, কুমিল্লা জেলার কোতোয়ালি থানার আওতাধীন বিবিরবাজারের সীমান্তবর্তী এলাকায় কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর ও ফেনীর আওয়ামী লীগের পদধারী নেতাকর্মীরা শনিবার দুপুর ৩টার দিকে একটি বৈঠক করেন। রোববার (২০ অক্টোবর) ভারতের ত্রিপুরায় আওয়ামী লীগের একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ওই সমাবেশে বাংলাদেশ থেকে যারা ভারতে পালিয়ে গেছেন, সেসব আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করবেন। এমনকি ভারতে থাকা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বয়ং ওই সভায় অংশ নিয়ে একাত্তরের মুজিবনগর সরকারের আদলে একটি অস্থায়ী সরকারেরও ঘোষণা দিতে পারেন। পুরো বিষয়টি সমন্বয় করছেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র তাহসীন বাহার সূচনা।
তবে এই গুঞ্জন কতটুকু সত্য, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লার পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের কাছে একটি বার্তা পাঠানো হয়। এতে বলা হয়, গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী খবর পাওয়া গেছে, বিবিরবাজার সীমান্তে কুমিল্লা, নোয়াখালী, চাঁদপুর এলাকার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ষড়যন্ত্রমূলক বৈঠক করবে। আগরতলায় শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে মুজিবনগর সরকারের আদলে সরকার ঘোষণা করবে।
এর প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে কুমিল্লা নগরীতে মশাল মিছিলের ঘোষণা দেওয়া হয়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে টাউন হল মাঠে মশাল মিছিলের শুরুতে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা ফ্যাসিবাদের রূপকার খুনি শেখ হাসিনাকে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি। পালিয়ে গিয়েও হাসিনা দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছেন। এরই মধ্যে আমরা খবর পেয়েছি, কুমিল্লার পার্শ্ববর্তী সীমান্ত ত্রিপুরায় ফ্যাসিবাদের গংরা জমায়েত হওয়ার অপচেষ্টা করছেন।
হাসনাত বলেন, আমরা ফ্যাসিবাদের গংদের স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই, তাদের ষড়যন্ত্র ও অপচেষ্টা কখনোই বাংলার মাটিতে সফল হবে না। ফ্যাসিবাদের দালাল যারা রয়েছে– ছাত্রলীগ, যুবলীগ, টোকাই লীগ, বাংলাদেশের কোথাও পুনর্বাসনের অপচেষ্টা করলে তাদের শক্ত হাতে দমন করা হবে। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন হওয়ার ষড়যন্ত্র কখনোই সফল হতে দেওয়া হবে না।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জেনে সীমান্তে সাদা পোশাকে পুলিশ পাঠানো হয়। তবে গুঞ্জনের সত্যতা মেলেনি। তবুও পুলিশ এ ধরনের তৎপরতা প্রতিরোধে কাজ করছে।
কুমিল্লা-১০ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইফতেখার হোসেন বলেন, জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এ ধরনের খবর আমাদের কাছেও এসেছে। এ বিষয়ে সীমান্তে বিজিবির কড়া নজরদারি রয়েছে। যে কোনো অপতৎপরতা রুখে দেওয়ার সক্ষমতা আমাদের আছে।
বাংলা স্কুপ/ ডেস্ক/এসকে
এ নিয়ে শনিবার (১৯ অক্টোবর) দিনভর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানারকম কথা ছড়িয়ে পড়ে। এ ধরনের তৎপরতা প্রতিরোধে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বিজিবি ও পুলিশ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লার পক্ষ থেকে এ ধরনের ষড়যন্ত্র প্রতিরোধের ঘোষণা দিয়ে শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নগরীর টাউন হল মাঠ থেকে মশাল মিছিল বের করা হয়। মিছিলের নেতৃত্ব দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও আবদুল হান্নান মাসুদ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে ছড়িয়ে পড়া গুঞ্জনে শোনা যায়, কুমিল্লা জেলার কোতোয়ালি থানার আওতাধীন বিবিরবাজারের সীমান্তবর্তী এলাকায় কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর ও ফেনীর আওয়ামী লীগের পদধারী নেতাকর্মীরা শনিবার দুপুর ৩টার দিকে একটি বৈঠক করেন। রোববার (২০ অক্টোবর) ভারতের ত্রিপুরায় আওয়ামী লীগের একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ওই সমাবেশে বাংলাদেশ থেকে যারা ভারতে পালিয়ে গেছেন, সেসব আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করবেন। এমনকি ভারতে থাকা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বয়ং ওই সভায় অংশ নিয়ে একাত্তরের মুজিবনগর সরকারের আদলে একটি অস্থায়ী সরকারেরও ঘোষণা দিতে পারেন। পুরো বিষয়টি সমন্বয় করছেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র তাহসীন বাহার সূচনা।
তবে এই গুঞ্জন কতটুকু সত্য, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লার পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের কাছে একটি বার্তা পাঠানো হয়। এতে বলা হয়, গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী খবর পাওয়া গেছে, বিবিরবাজার সীমান্তে কুমিল্লা, নোয়াখালী, চাঁদপুর এলাকার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ষড়যন্ত্রমূলক বৈঠক করবে। আগরতলায় শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে মুজিবনগর সরকারের আদলে সরকার ঘোষণা করবে।
এর প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে কুমিল্লা নগরীতে মশাল মিছিলের ঘোষণা দেওয়া হয়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে টাউন হল মাঠে মশাল মিছিলের শুরুতে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা ফ্যাসিবাদের রূপকার খুনি শেখ হাসিনাকে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি। পালিয়ে গিয়েও হাসিনা দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছেন। এরই মধ্যে আমরা খবর পেয়েছি, কুমিল্লার পার্শ্ববর্তী সীমান্ত ত্রিপুরায় ফ্যাসিবাদের গংরা জমায়েত হওয়ার অপচেষ্টা করছেন।
হাসনাত বলেন, আমরা ফ্যাসিবাদের গংদের স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই, তাদের ষড়যন্ত্র ও অপচেষ্টা কখনোই বাংলার মাটিতে সফল হবে না। ফ্যাসিবাদের দালাল যারা রয়েছে– ছাত্রলীগ, যুবলীগ, টোকাই লীগ, বাংলাদেশের কোথাও পুনর্বাসনের অপচেষ্টা করলে তাদের শক্ত হাতে দমন করা হবে। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন হওয়ার ষড়যন্ত্র কখনোই সফল হতে দেওয়া হবে না।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জেনে সীমান্তে সাদা পোশাকে পুলিশ পাঠানো হয়। তবে গুঞ্জনের সত্যতা মেলেনি। তবুও পুলিশ এ ধরনের তৎপরতা প্রতিরোধে কাজ করছে।
কুমিল্লা-১০ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইফতেখার হোসেন বলেন, জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এ ধরনের খবর আমাদের কাছেও এসেছে। এ বিষয়ে সীমান্তে বিজিবির কড়া নজরদারি রয়েছে। যে কোনো অপতৎপরতা রুখে দেওয়ার সক্ষমতা আমাদের আছে।
বাংলা স্কুপ/ ডেস্ক/এসকে