
দক্ষিণ ইসরায়েলের বিয়ার শেভা শহরে একটি আবাসিক ভবনে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার পর ৩ জন নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলের জরুরি পরিষেবা সংস্থার বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (২৪ জুন) সিএনএন এ তথ্য জানায়। নিহতদের মধ্যে প্রায় ৪০ বছর বয়সী একজন পুরুষ, ৩০ বছর বয়সী এক মহিলা এবং প্রায় ২০ বছর বয়সী একজন পুরুষ রয়েছে। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর এদের তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল।বিষয়টি নিশ্চিত করে জরুরি পরিষেবা ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডমের (এমডিএ) একজন মুখপাত্র জানান, হালকা থেকে মাঝারি আঘাতপ্রাপ্ত আরও ছয়জনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ঘটনাস্থলের বর্ণনা দিয়ে এমডিএ জানায়, যে এলাকায় হামলা হয়েছে সেখানে কালো ধোঁয়া উড়ছে। একাধিক ভবনে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের ঘটনা ঘটেছে। একটি ভবনের বাইরে একজন এবং ভেতনে দুইজনকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে।এদিকে, ইরান থেকে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। তারা জানায়, ইরান থেকে ছোড়া নতুন ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করা হয়েছে এবং সেগুলো প্রতিহত করার জন্য কাজ করছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নাগরিকদের সুরক্ষিত এলাকায় থাকতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কোনোপ্রকার উসকানি ছাড়াই গত ১৩ জুন দিনগত রাত হঠাৎ ইরানে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামের এই অভিযানে রাজধানী তেহরানসহ ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা, পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র ও আবাসিক স্থাপনায় হামলা চালায় ইহুদিবাদী সেনারা।হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি, দেশটির ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) প্রধান কমান্ডার হোসেইন সালামি, খাতাম আল-আনবিয়া সদরদপ্তরের কমান্ডার ও বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মেজর জেনারেল গোলাম আলি রশিদ ও দশজন পরমাণু বিজ্ঞানীসহ ৫০০ এর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।ইসরায়েলের হামলার পর পাল্টা প্রতিশোধ হিসেবে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩ নামে’ অভিযান শুরু করে ইরান। তেহরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে ভেদ করে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানছে। এতে হতাহত কম হলেও ইসরায়েলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে।
দুই দেশের মধ্যে চলমান সংঘাতের মধ্যে গত ২১ জুন দিনগত রাতে ইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। জবাবে সোমবার রাতে কাতার ও ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালায় তেহরান। এরপর ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ইসরায়েল ও ইরান একটি ‘সম্পূর্ণ ও সর্বাত্মক’ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। যদিও ট্রাম্পের এই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে জানিয়েছেন তেহরান টাইমস। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচিও বলেছেন, এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি বা সামরিক অভিযান বন্ধের বিষয়ে কোনো চুক্তি হয়নি।
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এনআইএন
ঘটনাস্থলের বর্ণনা দিয়ে এমডিএ জানায়, যে এলাকায় হামলা হয়েছে সেখানে কালো ধোঁয়া উড়ছে। একাধিক ভবনে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের ঘটনা ঘটেছে। একটি ভবনের বাইরে একজন এবং ভেতনে দুইজনকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে।এদিকে, ইরান থেকে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। তারা জানায়, ইরান থেকে ছোড়া নতুন ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করা হয়েছে এবং সেগুলো প্রতিহত করার জন্য কাজ করছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নাগরিকদের সুরক্ষিত এলাকায় থাকতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কোনোপ্রকার উসকানি ছাড়াই গত ১৩ জুন দিনগত রাত হঠাৎ ইরানে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামের এই অভিযানে রাজধানী তেহরানসহ ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা, পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র ও আবাসিক স্থাপনায় হামলা চালায় ইহুদিবাদী সেনারা।হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি, দেশটির ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) প্রধান কমান্ডার হোসেইন সালামি, খাতাম আল-আনবিয়া সদরদপ্তরের কমান্ডার ও বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মেজর জেনারেল গোলাম আলি রশিদ ও দশজন পরমাণু বিজ্ঞানীসহ ৫০০ এর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।ইসরায়েলের হামলার পর পাল্টা প্রতিশোধ হিসেবে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩ নামে’ অভিযান শুরু করে ইরান। তেহরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে ভেদ করে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানছে। এতে হতাহত কম হলেও ইসরায়েলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে।
দুই দেশের মধ্যে চলমান সংঘাতের মধ্যে গত ২১ জুন দিনগত রাতে ইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। জবাবে সোমবার রাতে কাতার ও ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালায় তেহরান। এরপর ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ইসরায়েল ও ইরান একটি ‘সম্পূর্ণ ও সর্বাত্মক’ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। যদিও ট্রাম্পের এই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে জানিয়েছেন তেহরান টাইমস। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচিও বলেছেন, এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি বা সামরিক অভিযান বন্ধের বিষয়ে কোনো চুক্তি হয়নি।
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এনআইএন