
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানে ‘শাসন পরিবর্তন’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। রবিবার (২২ জুন) নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন প্রশ্ন তোলেন তিনি। আর তার প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা তেহরানকে প্রতিশোধ নেওয়া থেকে বিরত থাকার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী শনিবার ইরানের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালানোর পর, তা নিয়ে বিতর্কের জেরে এসব কথা বলেন ট্রাম্প। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
ট্রাম্প বলেন, ‘শাসন পরিবর্তন’ শব্দটি ব্যবহার করাটা রাজনৈতিকভাবে সঠিক নয়। কিন্তু যদি বর্তমান ইরানি শাসন ‘ইরানকে আবারও মহান করতে না পারে, তাহলে শাসন পরিবর্তন কেন হবে না???’ মেক ইরান গ্রেট এগেইন বা ইরানকে আবারও মহান কর!!!ট্রাম্পের এই মন্তব্য আসে এমন এক সময়ে, যখন তার প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা — যেমন: ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ — জোর দিয়ে বলেন, ইরানে সরকার পতন তাদের লক্ষ্য নয়।পেন্টাগনে সাংবাদিকদের হেগসেথ বলেন, “এই মিশনের উদ্দেশ্য কখনোই শাসন পরিবর্তন ছিল না।” তিনি এটিকে “একটি সুনির্দিষ্ট অপারেশন” বলে বর্ণনা করেন, যার লক্ষ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি।
এনবিসি'র "মিট দ্য প্রেস উইথ ক্রিস্টেন ওয়েলকার" অনুষ্ঠানে ভ্যান্স বলেন, “আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি খুবই পরিষ্কার— আমরা শাসন পরিবর্তন চাই না। আমরা এই সংঘাতকে আর বিস্তৃত করতে চাই না। আমরা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে বন্ধ করতে চাই, তারপর তাদের সঙ্গে একটি দীর্ঘমেয়াদি সমাধান নিয়ে আলোচনায় বসতে চাই।” পরে তিনি আরও বলেন, “আমরা সেখানে সেনা মোতায়েন করতে আগ্রহী না।”অপারেশন মিডনাইট হ্যামার” নামের এই অভিযানের ব্যাপারে ওয়াশিংটন ও ফ্লোরিডার টাম্পায় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য সদর দফতরের হাতে গোনা কয়েকজন মাত্র জানতেন।
সাবধানতার সঙ্গে পরিকল্পিত এই অভিযানে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সাতটি বি-২ বোমারু বিমান ১৮ ঘণ্টার উড্ডয়ন শেষে ইরানে প্রবেশ করে এবং ১৪টি বাংকার-বাষ্টার বোমা ফেলে। জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল ড্যান কেইন জানান, মোট ৭৫টি নির্ভুলভাবে নির্দেশিত অস্ত্র ব্যবহৃত হয়, যার মধ্যে ছিল দুই ডজনেরও বেশি টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ১২৫টির বেশি সামরিক বিমান। এগুলো ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনার ওপর হামলায় চালায়।এই অপারেশন মধ্যপ্রাচ্যকে আরও একটি বড় সংঘাতের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে— যেখানে গাজা ও লেবাননে চলমান যুদ্ধ এবং সিরিয়ায় সরকারের পতন ইতোমধ্যেই উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এনআইএন
ট্রাম্প বলেন, ‘শাসন পরিবর্তন’ শব্দটি ব্যবহার করাটা রাজনৈতিকভাবে সঠিক নয়। কিন্তু যদি বর্তমান ইরানি শাসন ‘ইরানকে আবারও মহান করতে না পারে, তাহলে শাসন পরিবর্তন কেন হবে না???’ মেক ইরান গ্রেট এগেইন বা ইরানকে আবারও মহান কর!!!ট্রাম্পের এই মন্তব্য আসে এমন এক সময়ে, যখন তার প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা — যেমন: ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ — জোর দিয়ে বলেন, ইরানে সরকার পতন তাদের লক্ষ্য নয়।পেন্টাগনে সাংবাদিকদের হেগসেথ বলেন, “এই মিশনের উদ্দেশ্য কখনোই শাসন পরিবর্তন ছিল না।” তিনি এটিকে “একটি সুনির্দিষ্ট অপারেশন” বলে বর্ণনা করেন, যার লক্ষ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি।
এনবিসি'র "মিট দ্য প্রেস উইথ ক্রিস্টেন ওয়েলকার" অনুষ্ঠানে ভ্যান্স বলেন, “আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি খুবই পরিষ্কার— আমরা শাসন পরিবর্তন চাই না। আমরা এই সংঘাতকে আর বিস্তৃত করতে চাই না। আমরা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে বন্ধ করতে চাই, তারপর তাদের সঙ্গে একটি দীর্ঘমেয়াদি সমাধান নিয়ে আলোচনায় বসতে চাই।” পরে তিনি আরও বলেন, “আমরা সেখানে সেনা মোতায়েন করতে আগ্রহী না।”অপারেশন মিডনাইট হ্যামার” নামের এই অভিযানের ব্যাপারে ওয়াশিংটন ও ফ্লোরিডার টাম্পায় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য সদর দফতরের হাতে গোনা কয়েকজন মাত্র জানতেন।
সাবধানতার সঙ্গে পরিকল্পিত এই অভিযানে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সাতটি বি-২ বোমারু বিমান ১৮ ঘণ্টার উড্ডয়ন শেষে ইরানে প্রবেশ করে এবং ১৪টি বাংকার-বাষ্টার বোমা ফেলে। জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল ড্যান কেইন জানান, মোট ৭৫টি নির্ভুলভাবে নির্দেশিত অস্ত্র ব্যবহৃত হয়, যার মধ্যে ছিল দুই ডজনেরও বেশি টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ১২৫টির বেশি সামরিক বিমান। এগুলো ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনার ওপর হামলায় চালায়।এই অপারেশন মধ্যপ্রাচ্যকে আরও একটি বড় সংঘাতের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে— যেখানে গাজা ও লেবাননে চলমান যুদ্ধ এবং সিরিয়ায় সরকারের পতন ইতোমধ্যেই উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এনআইএন