
সাতক্ষীরায় কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে জনজীবনে নেমে এসেছে চরম বিপর্যয়। শহর থেকে গ্রাম— সবখানে একরকম জলাবদ্ধতা ও দুর্ভোগ যেন নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে উঠেছে।গত মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাত থেকে শুরু হওয়া থেমে থেমে বৃষ্টি বুধবার ভোর ৫টা থেকে টানা বৃষ্টিতে রূপ নেয়। বৃষ্টিপাত চলে টানা ১৯ জুন পর্যন্ত। এরপর দুই দিন বিরতির পর রোববার (২২ জুন) সকাল ৭টা ২০ মিনিট থেকে আবারও শুরু হয়েছে মুষলধারে বৃষ্টি।
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী জানান, গত ১৭ থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত সাতক্ষীরায় মোট ১১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী পাঁচ দিন বজ্রসহ মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বর্ষাকালে প্রায় সময় এমন আবহাওয়া বিরাজ করবে।বৃষ্টির প্রভাবে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর, খেটে খাওয়া মানুষ এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। কারণ, রাস্তাঘাট কাদামাখা ও জলাবদ্ধতায় ভরা। শহরের মোড়গুলো ফাঁকা, নেই সেই চিরচেনা কোলাহল।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শ্রমজীবী সাজেদুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টি হলেই শহরের রাস্তায় চলাচল করা যায় না। যেদিকে তাকাই কাদা আর পানি। পৌর এলাকায় পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই। জলাবদ্ধতায় হাঁটাও দুঃসাধ্য।এদিকে, টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত শহরের বাজার এলাকাও। ব্যবসায়ীদের বেচাকেনা প্রায় বন্ধের পথে। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কর্ণ বিশ্বাস কেডি বলেন, প্রচুর বৃষ্টির কারণে ঘরের বাইরে কেউ বের হতে পারছে না। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের চাহিদা থাকলেও ক্রেতারা আসতে পারছেন না। এতে করে ব্যবসায়ীরা মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়ছেন। বাজার এলাকার রাস্তাঘাট ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থাও অত্যন্ত নাজুক। ফলে ক্রেতা-বিক্রেতা—দুজনেরই ভোগান্তি চরমে।
শুধু শহর নয়, সাতক্ষীরার উপকূলীয় অঞ্চলে দুর্ভোগের চিত্র আরও ভয়াবহ। বিশেষ করে শ্যামনগরের গাবুরা ইউনিয়ন— যা প্রায় ৩৩ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। সেখানে নেই কোনো পাকা রাস্তা। কোথাও কাঁচা রাস্তা আছে, আবার কোথাও সেটুকুও নেই।স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, বর্ষা এলেই ঘর থেকে বের হওয়া যায় না। চলার মতো রাস্তা নেই, পায়ে হেঁটে যেতেও কাদা ডিঙিয়ে যাওয়া লাগে। এমনকি ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব ভবনও নেই।তারা আরও বলেন, কোনটা রেখে কোনটা বলব! চারদিকে শুধু পানি আর কাদা। এই দুর্ভোগের যেন কোনো শেষ নেই।সাতক্ষীরা পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের পানি নিষ্কাশন, রাস্তার উন্নয়ন ও অবকাঠামোগত ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘদিনের অবহেলা ও দুর্বলতার কারণে প্রতি বছর বর্ষাকালে এই দুর্ভোগ নতুন করে দেখা দেয়।ভুক্তভোগীরা দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ ও টেকসই সমাধানের দাবি জানিয়েছেন। শহর ও গ্রামাঞ্চলের জনগণের একটাই কথা— দেখার যেন কেউ নেই!
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী জানান, গত ১৭ থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত সাতক্ষীরায় মোট ১১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী পাঁচ দিন বজ্রসহ মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বর্ষাকালে প্রায় সময় এমন আবহাওয়া বিরাজ করবে।বৃষ্টির প্রভাবে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর, খেটে খাওয়া মানুষ এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। কারণ, রাস্তাঘাট কাদামাখা ও জলাবদ্ধতায় ভরা। শহরের মোড়গুলো ফাঁকা, নেই সেই চিরচেনা কোলাহল।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শ্রমজীবী সাজেদুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টি হলেই শহরের রাস্তায় চলাচল করা যায় না। যেদিকে তাকাই কাদা আর পানি। পৌর এলাকায় পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই। জলাবদ্ধতায় হাঁটাও দুঃসাধ্য।এদিকে, টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত শহরের বাজার এলাকাও। ব্যবসায়ীদের বেচাকেনা প্রায় বন্ধের পথে। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কর্ণ বিশ্বাস কেডি বলেন, প্রচুর বৃষ্টির কারণে ঘরের বাইরে কেউ বের হতে পারছে না। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের চাহিদা থাকলেও ক্রেতারা আসতে পারছেন না। এতে করে ব্যবসায়ীরা মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়ছেন। বাজার এলাকার রাস্তাঘাট ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থাও অত্যন্ত নাজুক। ফলে ক্রেতা-বিক্রেতা—দুজনেরই ভোগান্তি চরমে।
শুধু শহর নয়, সাতক্ষীরার উপকূলীয় অঞ্চলে দুর্ভোগের চিত্র আরও ভয়াবহ। বিশেষ করে শ্যামনগরের গাবুরা ইউনিয়ন— যা প্রায় ৩৩ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। সেখানে নেই কোনো পাকা রাস্তা। কোথাও কাঁচা রাস্তা আছে, আবার কোথাও সেটুকুও নেই।স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, বর্ষা এলেই ঘর থেকে বের হওয়া যায় না। চলার মতো রাস্তা নেই, পায়ে হেঁটে যেতেও কাদা ডিঙিয়ে যাওয়া লাগে। এমনকি ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব ভবনও নেই।তারা আরও বলেন, কোনটা রেখে কোনটা বলব! চারদিকে শুধু পানি আর কাদা। এই দুর্ভোগের যেন কোনো শেষ নেই।সাতক্ষীরা পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের পানি নিষ্কাশন, রাস্তার উন্নয়ন ও অবকাঠামোগত ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘদিনের অবহেলা ও দুর্বলতার কারণে প্রতি বছর বর্ষাকালে এই দুর্ভোগ নতুন করে দেখা দেয়।ভুক্তভোগীরা দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ ও টেকসই সমাধানের দাবি জানিয়েছেন। শহর ও গ্রামাঞ্চলের জনগণের একটাই কথা— দেখার যেন কেউ নেই!
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন