
ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের পুরো এক সপ্তাহ পার হলো। গত শুক্রবার (১৩ জুন) তেহরানের পারমাণবিক অবকাঠামো এবং সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ইসরায়েলি বিমান হামলার মধ্য দিয়ে এই সংকটের সূচনা। ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে-এই দাবি করে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। বরাবরই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির অভিযোগ অস্বীকার করে ইরান জানিয়েছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ বেসামরিক কাজের জন্য পরিচালিত হয়।
এক সপ্তাহে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৬৩৯ জন ইরানি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস অ্যাক্টিভিস্টস নিউজ এজেন্সি। তেল আবিবের অভিযানে তেহরানের শীর্ষ সামরিক-বেসামরিক একাধিক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। এদিকে, তেল আবিবের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরান। তবে সামরিক ঘাঁটির নিকটবর্তী কয়েকটি হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর তেহরান দাবি করছে, এটা অনিচ্ছাকৃত আর ইসরায়েলের অভিযোগ, তেহরান ইচ্ছাকৃতভাবেই বেসামরিকদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
এখন পর্যন্ত ইরানি হামলায় দুই ডজনের বেশি বেসামরিক ইসরায়েলি নাগরিক নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে তেল আবিব। অবশ্য তাদের অভিযোগ স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি রয়টার্স।ইসরায়েলি হামলার মূল উদ্দেশ্য নিয়ে আলোচনা চলছে বিশ্লেষকদের মধ্যে। তাদের ধারণা, পারমাণবিক সক্ষমতা হ্রাসের উদ্দেশ্য থাকলেও ইরানি সরকার উৎখাতের একটা প্রচেষ্টাও চালাচ্ছে ইসরায়েল। গতকাল এক বক্তব্যের মাধ্যমে এই ধারণার আরও রসদ জুগিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের অভিযানের ফলস্বরূপ হয়ত ইরানি সরকারের পতন হতে পারে। তবে নিজেদের স্বাধীনতার জন্য আসলে সেখানকার মানুষের মধ্য গণজাগরণ হতে হবে।ইরানে খামেনি সরকারকে ফেলে দিতে প্রতিনিয়ত মুখিয়ে থাকা মানবাধিকার কর্মীরা অবশ্য এখন কোনও আন্দোলন করার পক্ষে নন। এক কর্মী বলেছেন, এই সংকটের মধ্যে মানুষ রাস্তায় নামবে কীভাবে? সবাই নিজের এবং স্বজনদের জীবন বাঁচানো নিয়ে উদ্বিগ্ন।
চলমান সংকটে সবচেয়ে বেশি উৎকণ্ঠার জায়গা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ। মার্কিন মুলুকের অধিপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের পদক্ষেপ পুরো বিশ্বকে কাঁপিয়ে দেওয়ার সামর্থ্য রাখে। তবে কয়েকদিন ধরে ধোঁয়াশায় রাখার পর ট্রাম্প গতকাল জানান, তিনি ইরানকে দু সপ্তাহ সময় দিতে চান।তবে, গত এক সপ্তাহে ইরান-ইসরায়েলের কেউই সামান্যতম পিছু হটারও আগ্রহ প্রকাশ করেনি। এরমধ্যেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং জার্মানির পররাষ্ট্র বিষয়ক শীর্ষ কর্মকর্তারা আজ (২০ জুন) জেনেভায় ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে যাচ্ছেন।ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যের এই ভয়াবহ সংকট যা অনিয়ন্ত্রিত আঞ্চলিক উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে, সেটা থামানোর সময় হয়েছে।বৃহস্পতিবার ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সংকট নিরসনের জন্য উত্তেজনা প্রশমনের বিষয়ে সহমত প্রকাশ করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এছাড়া, তারা উভয়েই ইসরায়েলের কড়া সমালোচনা করেছেন।
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এনআইএন
এক সপ্তাহে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৬৩৯ জন ইরানি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস অ্যাক্টিভিস্টস নিউজ এজেন্সি। তেল আবিবের অভিযানে তেহরানের শীর্ষ সামরিক-বেসামরিক একাধিক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। এদিকে, তেল আবিবের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরান। তবে সামরিক ঘাঁটির নিকটবর্তী কয়েকটি হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর তেহরান দাবি করছে, এটা অনিচ্ছাকৃত আর ইসরায়েলের অভিযোগ, তেহরান ইচ্ছাকৃতভাবেই বেসামরিকদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
এখন পর্যন্ত ইরানি হামলায় দুই ডজনের বেশি বেসামরিক ইসরায়েলি নাগরিক নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে তেল আবিব। অবশ্য তাদের অভিযোগ স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি রয়টার্স।ইসরায়েলি হামলার মূল উদ্দেশ্য নিয়ে আলোচনা চলছে বিশ্লেষকদের মধ্যে। তাদের ধারণা, পারমাণবিক সক্ষমতা হ্রাসের উদ্দেশ্য থাকলেও ইরানি সরকার উৎখাতের একটা প্রচেষ্টাও চালাচ্ছে ইসরায়েল। গতকাল এক বক্তব্যের মাধ্যমে এই ধারণার আরও রসদ জুগিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের অভিযানের ফলস্বরূপ হয়ত ইরানি সরকারের পতন হতে পারে। তবে নিজেদের স্বাধীনতার জন্য আসলে সেখানকার মানুষের মধ্য গণজাগরণ হতে হবে।ইরানে খামেনি সরকারকে ফেলে দিতে প্রতিনিয়ত মুখিয়ে থাকা মানবাধিকার কর্মীরা অবশ্য এখন কোনও আন্দোলন করার পক্ষে নন। এক কর্মী বলেছেন, এই সংকটের মধ্যে মানুষ রাস্তায় নামবে কীভাবে? সবাই নিজের এবং স্বজনদের জীবন বাঁচানো নিয়ে উদ্বিগ্ন।
চলমান সংকটে সবচেয়ে বেশি উৎকণ্ঠার জায়গা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ। মার্কিন মুলুকের অধিপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের পদক্ষেপ পুরো বিশ্বকে কাঁপিয়ে দেওয়ার সামর্থ্য রাখে। তবে কয়েকদিন ধরে ধোঁয়াশায় রাখার পর ট্রাম্প গতকাল জানান, তিনি ইরানকে দু সপ্তাহ সময় দিতে চান।তবে, গত এক সপ্তাহে ইরান-ইসরায়েলের কেউই সামান্যতম পিছু হটারও আগ্রহ প্রকাশ করেনি। এরমধ্যেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং জার্মানির পররাষ্ট্র বিষয়ক শীর্ষ কর্মকর্তারা আজ (২০ জুন) জেনেভায় ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে যাচ্ছেন।ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যের এই ভয়াবহ সংকট যা অনিয়ন্ত্রিত আঞ্চলিক উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে, সেটা থামানোর সময় হয়েছে।বৃহস্পতিবার ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সংকট নিরসনের জন্য উত্তেজনা প্রশমনের বিষয়ে সহমত প্রকাশ করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এছাড়া, তারা উভয়েই ইসরায়েলের কড়া সমালোচনা করেছেন।
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এনআইএন