​ড. ইউনূসের থ্রি জিরো তত্ত্ব বাস্তবায়নের জন্য গণঅভ্যুত্থান হয়নি : ফরহাদ মজহার

আপলোড সময় : ১৯-০৬-২০২৫ ০৬:৫১:২৩ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ১৯-০৬-২০২৫ ০৬:৫২:২৯ অপরাহ্ন
কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার বলেছেন, ড. ইউনূসের থ্রি জিরো তত্ত্বকে জাতীয় নীতি আকারে গ্রহণ করা হয়নি। এই থ্রি জিরোকে ইমপ্লিমেন্ট করার জন্য গণঅভ্যুত্থানটা হয়নি। আমি ইউনূস ভাইকে অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে বলছি কথাটা, এটা তার ভাবমূর্তিকে নষ্ট করে। এই বাজেটে তারা বলছে থ্রি জিরো বাস্তবায়ন করবে। কিন্তু এটার জন্য আমরা গণঅভ্যুত্থানটা করি নাই। 

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে সেন্টার ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড পিস স্টাডিজ আয়োজিত বাজেট সংলাপ ২০২৫-এ এসব কথা বলেন তিনি। 

ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আমরা চেয়েছি ভিন্ন ধরনের বাজেট। যেখানে লুটপাটতন্ত্রকে অবৈধ বলা হবে। এটা পেলেই যথেষ্ট। আর তার যে ‘থ্রি জিরো তত্ত্ব’ সে সম্পর্কে আমাদের বক্তব্য আছে আলাদা। সেটা আমরা আলাদা করবো। এটা একটা ব্যক্তির স্বপ্ন। আমরা এটার প্রশংসা করি। কিন্তু আমাদের কথা তার এই তত্ত্ব বাজেট প্রস্তাবনায় কেন? আন্তর্জাতিকভাবে এটার খ্যাতি থাকতে পারে, কিন্তু বাংলাদেশে এই তত্ত্ব সঠিকভাবে নেই। এটা আলোচনার অধিকার আমাদের আছে। তাকে অসম্মান করার জন্য বলছি না, তবে এটা যদি তিনি বাজেটে ঢোকান তাহলে তিনি অসম্মানিত হবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘এটি নির্বাচিত সরকার, তবে অন্তর্বর্তী বটে। কিন্তু নির্বাচিত, অনির্বাচিত না। আমাদের লুটেরা-মাফিয়াতন্ত্রওয়ালারা বলে এটা অনির্বাচিত সরকার। এটা নির্বাচিত সরকার; এটা আমরা মেনে নিয়েছি কেন... যেহেতু আমরা মনে করি, জনগণ তাদের এটা দিয়েছে। কাজেই এই সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা অনেক বেশি।

রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আমি মনে করি, এই বাজেটটা আমাদের যথেষ্ট পরিমাণ সন্তুষ্ট করতে পারে নাই। যে স্পিরিটটা আমরা বাজেটে দেখতে চেয়েছি; সেটা আমরা দেখি নাই। এটা একান্তই একটা পুরোনো টেকনোক্র‍্যাটিক এক্সারসাইজ মনে হয়েছে। লুটপাটতন্ত্রের সবচেয়ে দৃশ্যমান বিষয় হলো- কালো টাকা সাদা করা। অবশ্যই এটাকে সংশোধন করতে হবে। কালো টাকা এখন সাদা হয় কোন যুক্তিতে? গণঅভ্যুত্থানের পরে এটা করবার কোনো যুক্তি নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাজেটে সেনাবাহিনীর জন্য আমরা কীভাবে খরচ করি, প্রতিরক্ষা জন্য তার কোন স্পষ্ট উল্লেখ নেই৷ এটা হতে পারে না। অবশ্যই আমাকে জাতীয় প্রতিরক্ষা একটি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। আর তা গড়ে তুলতে হলে তার জন্য আমার খরচ আছে। এটা একটা ন্যায্য খরচ। সেই খরচ আমি কোথা থেকে তুলবো, কে দেবে? এটা তো একটা থাকতে হবে, যে টাকাটা কোথায় খরচ হচ্ছে?’

ফরহাদ মজহার আরও বলেন, ‘লুটেরা শ্রেণি আমলাতন্ত্রকে বহাল রাখার জন্য তাদের টাকার একটু পরে অংশ খরচ করে। এখন আবার দেখবেন যে, গণভোটের পরে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার নামে আমলাতন্ত্রকে রেখে দেয়। একটা ছোট্ট শব্দ সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা। তারা বলে এটা রাখতে হবে, এর নামে আমলাতন্ত্র কে রেখে দেয়। ৮ তারিখে (গত বছরের ৮ আগস্ট) যে একটা সরকার করলেন, লুটপাটতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখার জন্যই। কিন্তু আপনি এই একটা সরকার করেছেন। এই সরকারের আসলে কিন্তু কোন ক্ষমতা নেই। এখন যে টিকে আছে, এটা বিরাট ব্যাপার, দোয়া করেন।’

বাংলা স্কুপ/প্রতিবেদক/এসকে

সম্পাদক ও প্রকাশক :

মোঃ কামাল হোসেন

অফিস :

অফিস : ৬/২২, ইস্টার্ণ প্লাাজা (৬ তলা), কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স, হাতিরপুল, ঢাকা।

ইমেইল :