
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলায় শুনানি প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের সহায়ক আইনজীবী) নিয়োগ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ সিদ্ধান্ত দেন।
নিয়োগপ্রাপ্ত অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ ওয়াই মশিউজ্জামান। আগামী ২৬ জুন (বুধবার) এই মামলায় মশিউজ্জামান ট্রাইব্যুনালের কাছে তার মতামত উপস্থাপন করবেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে শুরু হওয়া শুনানিতে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যানসহ অন্য দুই সদস্য বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম এবং বিচারপতি মোহাম্মদ কামরুল হোসেন মোল্লা উপস্থিত ছিলেন।
ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন প্যানেল জানায়, আদালত অবমাননার অভিযোগে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরও শেখ হাসিনা কিংবা মামলার অপর অভিযুক্ত আদালতে হাজির হননি, এমনকি আইনজীবীর মাধ্যমেও কোনো ব্যাখ্যা দেননি। এ পরিস্থিতিতে আইন অনুযায়ী ট্রাইব্যুনাল এখন অভিযুক্তদের অনুপস্থিতিতে রায় ঘোষণার সুযোগ পাবে।
প্রসঙ্গত, গাইবান্ধার একজন আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে টেলিফোনে কথোপকথনের ভিত্তিতে ‘২২৭ জন হত্যার লাইসেন্স পাওয়ার’ বক্তব্যের প্রসঙ্গে শেখ হাসিনাসহ দুজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন। এই বক্তব্যকে ট্রাইব্যুনাল বিচার প্রক্রিয়া ও রায়ের প্রতি অবমাননাকর বলে মনে করে।
আদালত অবমাননার অভিযোগ প্রমাণিত হলে ট্রাইব্যুনাল আইনে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।
অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে এ ওয়াই মশিউজ্জামানের মতামত মামলার আইনি দিক ও বিচারিক প্রক্রিয়ায় নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এসকে
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ সিদ্ধান্ত দেন।
নিয়োগপ্রাপ্ত অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ ওয়াই মশিউজ্জামান। আগামী ২৬ জুন (বুধবার) এই মামলায় মশিউজ্জামান ট্রাইব্যুনালের কাছে তার মতামত উপস্থাপন করবেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে শুরু হওয়া শুনানিতে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যানসহ অন্য দুই সদস্য বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম এবং বিচারপতি মোহাম্মদ কামরুল হোসেন মোল্লা উপস্থিত ছিলেন।
ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন প্যানেল জানায়, আদালত অবমাননার অভিযোগে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরও শেখ হাসিনা কিংবা মামলার অপর অভিযুক্ত আদালতে হাজির হননি, এমনকি আইনজীবীর মাধ্যমেও কোনো ব্যাখ্যা দেননি। এ পরিস্থিতিতে আইন অনুযায়ী ট্রাইব্যুনাল এখন অভিযুক্তদের অনুপস্থিতিতে রায় ঘোষণার সুযোগ পাবে।
প্রসঙ্গত, গাইবান্ধার একজন আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে টেলিফোনে কথোপকথনের ভিত্তিতে ‘২২৭ জন হত্যার লাইসেন্স পাওয়ার’ বক্তব্যের প্রসঙ্গে শেখ হাসিনাসহ দুজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন। এই বক্তব্যকে ট্রাইব্যুনাল বিচার প্রক্রিয়া ও রায়ের প্রতি অবমাননাকর বলে মনে করে।
আদালত অবমাননার অভিযোগ প্রমাণিত হলে ট্রাইব্যুনাল আইনে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।
অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে এ ওয়াই মশিউজ্জামানের মতামত মামলার আইনি দিক ও বিচারিক প্রক্রিয়ায় নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এসকে