
জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত রাষ্ট্রপতিকে প্রধান করে নয় সদস্যের জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠনের ধারণা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে বিএনপি।
দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এই কাউন্সিলকে সাংবিধানিকভাবে বিপুল ক্ষমতা দেওয়ার কথা বলা হলেও জবাবদিহিতার সুনির্দিষ্ট কাঠামো নেই, যা গণতান্ত্রিক চেতনার পরিপন্থী। এমন একটি প্রতিষ্ঠানকে গণতান্ত্রিক দল হিসেবে আমরা সমর্থন করতে পারি না।’
বুধবার (১৮ জুন) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনার তৃতীয় দিন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি ছাড়াও এই আলোচনায় আরও অংশ নেয় জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন, নাগরিক ঐক্য, গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন, বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টি, এবি পার্টি, এনডিএমসহ রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা।
বৈঠকে জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি), রাষ্ট্রপতি নির্বাচন এবং জেলা সমন্বয় কাউন্সিল প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়।
প্রস্তাবিত কাউন্সিলের গঠনে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, উচ্চ ও নিম্নকক্ষের স্পিকার, বিরোধী দলের নেত্রী, প্রধান বিচারপতি এবং বিরোধী দল মনোনীত ডেপুটি স্পিকারের অংশগ্রহণের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এতে জবাবদিহিতার ঘাটতির আশঙ্কা তুলে ধরে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘কোনো প্রতিষ্ঠানে যদি অথরিটি ও ফাংশন থাকে কিন্তু জবাবদিহিতা না থাকে, সেই প্রতিষ্ঠান গণতন্ত্রবিরোধী হয়ে ওঠে। এই ফাংশনগুলো আলাদা করে নতুন প্রতিষ্ঠান তৈরির মাধ্যমে রাষ্ট্রের ভারসাম্য নষ্ট হবে।’
তার মতে, রাষ্ট্র পরিচালনার ভারসাম্যমূলক কাঠামো গড়ে তুলতে হলে প্রথমে নির্বাহী বিভাগ এবং সংসদকে স্বৈরতান্ত্রিক আচরণ থেকে বের করে আনতে হবে। এজন্য প্রয়োজন স্বাধীন নির্বাচন কমিশন ও কার্যকর তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘এনসিসির মতো একটি কর্তৃপক্ষকে যেসব কার্যক্রম ও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, সেগুলো সাধারণত নির্বাহী বিভাগ, আইন বা সাংবিধানিক বিভিন্ন বিধানের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা থাকলে অতীতের অনেক নির্বাচনের অনিয়ম রোধ করা যেত। কেয়ারটেকার সরকার ও স্বাধীন নির্বাচন কমিশন থাকলেই নির্বাহী বিভাগ ও সংসদের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য আনা সম্ভব।’
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এসকে
দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এই কাউন্সিলকে সাংবিধানিকভাবে বিপুল ক্ষমতা দেওয়ার কথা বলা হলেও জবাবদিহিতার সুনির্দিষ্ট কাঠামো নেই, যা গণতান্ত্রিক চেতনার পরিপন্থী। এমন একটি প্রতিষ্ঠানকে গণতান্ত্রিক দল হিসেবে আমরা সমর্থন করতে পারি না।’
বুধবার (১৮ জুন) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনার তৃতীয় দিন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি ছাড়াও এই আলোচনায় আরও অংশ নেয় জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন, নাগরিক ঐক্য, গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন, বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টি, এবি পার্টি, এনডিএমসহ রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা।
বৈঠকে জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি), রাষ্ট্রপতি নির্বাচন এবং জেলা সমন্বয় কাউন্সিল প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়।
প্রস্তাবিত কাউন্সিলের গঠনে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, উচ্চ ও নিম্নকক্ষের স্পিকার, বিরোধী দলের নেত্রী, প্রধান বিচারপতি এবং বিরোধী দল মনোনীত ডেপুটি স্পিকারের অংশগ্রহণের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এতে জবাবদিহিতার ঘাটতির আশঙ্কা তুলে ধরে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘কোনো প্রতিষ্ঠানে যদি অথরিটি ও ফাংশন থাকে কিন্তু জবাবদিহিতা না থাকে, সেই প্রতিষ্ঠান গণতন্ত্রবিরোধী হয়ে ওঠে। এই ফাংশনগুলো আলাদা করে নতুন প্রতিষ্ঠান তৈরির মাধ্যমে রাষ্ট্রের ভারসাম্য নষ্ট হবে।’
তার মতে, রাষ্ট্র পরিচালনার ভারসাম্যমূলক কাঠামো গড়ে তুলতে হলে প্রথমে নির্বাহী বিভাগ এবং সংসদকে স্বৈরতান্ত্রিক আচরণ থেকে বের করে আনতে হবে। এজন্য প্রয়োজন স্বাধীন নির্বাচন কমিশন ও কার্যকর তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘এনসিসির মতো একটি কর্তৃপক্ষকে যেসব কার্যক্রম ও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, সেগুলো সাধারণত নির্বাহী বিভাগ, আইন বা সাংবিধানিক বিভিন্ন বিধানের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা থাকলে অতীতের অনেক নির্বাচনের অনিয়ম রোধ করা যেত। কেয়ারটেকার সরকার ও স্বাধীন নির্বাচন কমিশন থাকলেই নির্বাহী বিভাগ ও সংসদের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য আনা সম্ভব।’
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এসকে