বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত সাগর গাজী (১৯) এইচএসসিতে জিপিএ ৩.৯২ পেয়েছেন। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে ফলাফল প্রকাশের পর খবরটি ছড়িয়ে পড়ে। খবর পৌঁছে যায় সাগরের বাড়িতে। ছেলের পাশের খবরে কান্নায় ভেঙে পড়েন সাগরের মা-বাবা শাহিদা বেগম ও সিরাজুল গাজী। গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ৫ আগস্ট দুপুরে ঢাকার উত্তারায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় কলেজ ছাত্র সাগর গাজী।
সাগর গাজীর বাড়ি পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নের পারডাকুয়া গ্রামে। বাবা সিরাজুল গাজী পেশায় নির্মাণশ্রমিক। তিন ভাইয়ের মধ্যে সাগর সবার ছোট। সে গলাচিপার উলানিয়া হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে মানবিক বিভাগের পরীক্ষার্থী ছিল।
সরেজমিন সাগরদের বাড়িতে গেলে বাড়ির প্রবেশপথে সাগরের কবর। বিজয়ের পতাকা উড়ছে শহীদ সাগর গাজীর কবরের পাশে। ঘরের দরজায় নাড়া দিলে সাগরের মা শাহিদা বেগম বেড়িয়ে আসেন। ছেলের পরীক্ষার ফলাফল জানতে চাইলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন শাহিদা।
শাহিদা বেগম কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, ‘বুকের আদরের ধন (সাগর) আইজ বাইচ্যা থাকলে কতো খুশি হইতো। কত আনন্দ করতো। আর এহন তো শুধু কান্না ছাড়া আর কিছুই নাই’।
সাগরদের বাড়িরে পাশেই সহপাঠি অন্তু মোল্লা, পরাগ গাজীদের বাড়ি। সাগরের কথা জানতে চাইলে তারা জানান, সাগর খুব হাসিখুশি ছিলেন। মা-বাবা, ভাইরা তাঁকে খুব ভালো বাসতো। কলেজে সবার সাথেই সে মিলেমিশে চলতো। সাগরের মৃত্যুতে তাদের একজন ভালো বন্ধুকে হারাতে হলো বলে জানান সহপাঠিরা ।
সাগরের মেঝ ভাই শাওন গাজী (২৫) সে টঙ্গী সরকারি কলেজের বিএ শিক্ষার্থী। শাওন জানান, তার বড় ভাই সুমন গাজী ঢাকাতে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে পরিজন নিয়ে ঢাকাতেই থাকেন। কলেজ বন্ধ থাকায় সাগর ঢাকাতে বড় ভাই সুমন গাজীর বাসায় বেড়াতে গিয়েছিল। সেখানেই সে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
গলাচিপার উলানিয়া হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, আসলে সাগর তার কলেজের একজন ভালো ছাত্র ছিল। তাঁর আচার-আচারণও ছিল সুন্দর। সাগর মানবিক বিভাগের ছাত্র ছিল। এ বছর এইচএসসি পরীক্ষা দেয়। সাগর ৩ পয়েন্ট ৯২ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। এভাবে গুলিবিদ্ধ হয়ে সাগরের মৃত্যু এটা খুব কস্টকর।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কারণে এইচএসসি’র একটি পরীক্ষা স্থগিত হয়। সাগর ঢাকার তার বড় ভাই সুমন গাজীর বাসায় বেড়াতে যায়। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের বিজন অর্জনের খবরে দুপুর ২ টার দিকে রাস্তায় বেড়িয়ে আসলে গুলিবিদ্ধ হয় সাগর । গুলি মাথার পিছনে লেগে এবং সাগর মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তাকে পার্শ্ববর্তী ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়। ওই দিন রাতেই সাগরের মরদেহ তাঁর গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর গলাচিপার পাড় ডাকুয়া এলাকায় নিয়ে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
বাংলা স্কুপ/প্রতিনিধি/এসকে
সাগর গাজীর বাড়ি পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নের পারডাকুয়া গ্রামে। বাবা সিরাজুল গাজী পেশায় নির্মাণশ্রমিক। তিন ভাইয়ের মধ্যে সাগর সবার ছোট। সে গলাচিপার উলানিয়া হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে মানবিক বিভাগের পরীক্ষার্থী ছিল।
সরেজমিন সাগরদের বাড়িতে গেলে বাড়ির প্রবেশপথে সাগরের কবর। বিজয়ের পতাকা উড়ছে শহীদ সাগর গাজীর কবরের পাশে। ঘরের দরজায় নাড়া দিলে সাগরের মা শাহিদা বেগম বেড়িয়ে আসেন। ছেলের পরীক্ষার ফলাফল জানতে চাইলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন শাহিদা।
শাহিদা বেগম কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, ‘বুকের আদরের ধন (সাগর) আইজ বাইচ্যা থাকলে কতো খুশি হইতো। কত আনন্দ করতো। আর এহন তো শুধু কান্না ছাড়া আর কিছুই নাই’।
সাগরদের বাড়িরে পাশেই সহপাঠি অন্তু মোল্লা, পরাগ গাজীদের বাড়ি। সাগরের কথা জানতে চাইলে তারা জানান, সাগর খুব হাসিখুশি ছিলেন। মা-বাবা, ভাইরা তাঁকে খুব ভালো বাসতো। কলেজে সবার সাথেই সে মিলেমিশে চলতো। সাগরের মৃত্যুতে তাদের একজন ভালো বন্ধুকে হারাতে হলো বলে জানান সহপাঠিরা ।
সাগরের মেঝ ভাই শাওন গাজী (২৫) সে টঙ্গী সরকারি কলেজের বিএ শিক্ষার্থী। শাওন জানান, তার বড় ভাই সুমন গাজী ঢাকাতে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে পরিজন নিয়ে ঢাকাতেই থাকেন। কলেজ বন্ধ থাকায় সাগর ঢাকাতে বড় ভাই সুমন গাজীর বাসায় বেড়াতে গিয়েছিল। সেখানেই সে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
গলাচিপার উলানিয়া হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, আসলে সাগর তার কলেজের একজন ভালো ছাত্র ছিল। তাঁর আচার-আচারণও ছিল সুন্দর। সাগর মানবিক বিভাগের ছাত্র ছিল। এ বছর এইচএসসি পরীক্ষা দেয়। সাগর ৩ পয়েন্ট ৯২ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। এভাবে গুলিবিদ্ধ হয়ে সাগরের মৃত্যু এটা খুব কস্টকর।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কারণে এইচএসসি’র একটি পরীক্ষা স্থগিত হয়। সাগর ঢাকার তার বড় ভাই সুমন গাজীর বাসায় বেড়াতে যায়। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের বিজন অর্জনের খবরে দুপুর ২ টার দিকে রাস্তায় বেড়িয়ে আসলে গুলিবিদ্ধ হয় সাগর । গুলি মাথার পিছনে লেগে এবং সাগর মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তাকে পার্শ্ববর্তী ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়। ওই দিন রাতেই সাগরের মরদেহ তাঁর গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর গলাচিপার পাড় ডাকুয়া এলাকায় নিয়ে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
বাংলা স্কুপ/প্রতিনিধি/এসকে