
বঙ্গোপসাগরের সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে কলাপাড়ায় পায়রা বন্দরসহ গোটা উপকূলীয় এলাকার নিম্নাঞ্চল অস্বাভাবিক জোয়ারের জলোচ্ছ্বাসে ভাসছে। সেখানকার বেড়িবাঁধের বাইরের অন্তত ছয় হাজার পরিবার বুধবার (২৮ মে) দুপুরে অস্বাভাবিক জোয়ারের জলোচ্ছ্বাসে চরম দুরাবস্থায় পড়েছেন। তাদের অনেকের বাড়িঘরের উঠোন থেকে রান্নার চুলা পর্যন্ত ডুবে গেছে। দুপুরের রান্না হয়নি বহু পরিবারের।
ধানখালীর পশ্চিম লোন্দা গ্রামের তরুণী গৃহবধূ হালিমা আয়শা জানান, তাদের ওখানে ২৫০ পরিবারের বসবাস। নদী তীরের রিংবেড়িবাঁধ উপচে জোয়ারের পানিতে সব তলিয়ে গেছে। বেল্লাল মোল্লা জানান, তাদের দুপুরের রান্না হয়নি। চুলা পর্যন্ত ডুবে গেছে।
একই দশা ১২ ইউনিয়নের বেড়িবাঁধের বাইরের বাসিন্দাদের। চর গঙ্গামতি এলাকার শত শত মানুষ জলোচ্ছ্বাসের কারণে বিপাকে পড়েছেন। রাতের জোয়ারে ফের আরেক দফা ডুবে যাওয়ার আশঙ্কায় আছেন এসব মানুষ। তাদের দাবি, আগের বছরগুলোতে এই সময় এমন অস্বাভাবিক জোয়ার দেখেননি।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম জানান, তিনি এ বিষয় খোঁজ-খবর নেওয়ার জন্য ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রশাসকদেরকে নির্দেশনা দিয়েছেন। ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) কলাপাড়ার সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান খান জানান, তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ মে) দিবাগত রাত থেকে গোটা উপকূলজুড়ে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। কখনও কখনও মৃদু দমকা বাতাস বইছে। কৃষকের বর্ষকালীন আগাম জাতের সবজির ক্ষেতের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। কুমিরমারা গ্রামের চাষী সুলতান গাজী জানালেন, তারপরও বৃষ্টি-বাতাসের কারণে মানুষ প্রচণ্ড ভ্যাপসা গরম ও তাপদাহ থেকে অনেকটা মুক্তি পেয়েছেন।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এসকে
ধানখালীর পশ্চিম লোন্দা গ্রামের তরুণী গৃহবধূ হালিমা আয়শা জানান, তাদের ওখানে ২৫০ পরিবারের বসবাস। নদী তীরের রিংবেড়িবাঁধ উপচে জোয়ারের পানিতে সব তলিয়ে গেছে। বেল্লাল মোল্লা জানান, তাদের দুপুরের রান্না হয়নি। চুলা পর্যন্ত ডুবে গেছে।
একই দশা ১২ ইউনিয়নের বেড়িবাঁধের বাইরের বাসিন্দাদের। চর গঙ্গামতি এলাকার শত শত মানুষ জলোচ্ছ্বাসের কারণে বিপাকে পড়েছেন। রাতের জোয়ারে ফের আরেক দফা ডুবে যাওয়ার আশঙ্কায় আছেন এসব মানুষ। তাদের দাবি, আগের বছরগুলোতে এই সময় এমন অস্বাভাবিক জোয়ার দেখেননি।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম জানান, তিনি এ বিষয় খোঁজ-খবর নেওয়ার জন্য ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রশাসকদেরকে নির্দেশনা দিয়েছেন। ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) কলাপাড়ার সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান খান জানান, তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ মে) দিবাগত রাত থেকে গোটা উপকূলজুড়ে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। কখনও কখনও মৃদু দমকা বাতাস বইছে। কৃষকের বর্ষকালীন আগাম জাতের সবজির ক্ষেতের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। কুমিরমারা গ্রামের চাষী সুলতান গাজী জানালেন, তারপরও বৃষ্টি-বাতাসের কারণে মানুষ প্রচণ্ড ভ্যাপসা গরম ও তাপদাহ থেকে অনেকটা মুক্তি পেয়েছেন।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এসকে