
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে চলমান আন্দোলন একদিনের জন্য স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
টানা চারদিন আন্দোলন চলার পর মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকেলে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কর্মচারীদের দাবি আগামীকাল বুধবার (২৮ মে) মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে তুলে ধরবেন দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিবেরা। এমন পরিস্থিতিতে আন্দোলন কর্মসূচি এক দিনের জন্য স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেন কর্মচারীরা।
এর আগে বিকেল পৌনে ৩টায় সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদসহ কয়েকজন সচিবের সঙ্গে আন্দোলনকারী কর্মচারী নেতারা বৈঠকে বসেন।
বৈঠক শেষে ভূমিসচিব সাংবাদিকদের বলেন, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলার জন্য তিনিসহ কয়েকজন সচিবকে আজ সকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব দায়িত্ব দেন। সে অনুযায়ী আজ তাঁরা আন্দোলনকারীদের কথা শুনেছেন। তাঁদের কথা আগামীকাল সকাল ১০টায় মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে তাঁরা জানাবেন। এ অবস্থায় কর্মচারীরা আগামীকাল কোনো কর্মসূচি করবেন না।
এদিকে বাংলাদেশ সচিবালয় সংযুক্ত কর্মকর্তা কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবির বলেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে আলোচনা করা পর্যন্ত আমরা আন্দোলন কর্মসূচি বন্ধ রাখবো। তবে দাবি আদায় না হলে বৃহস্পতিবার থেকে আবার আন্দোলন চলবে।
অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে টানা চতুর্থ দিনের মতো সচিবালয়ে বিক্ষোভ করেছেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা।
সচিবালয়ে কর্মচারীদের আন্দোলনের মধ্যেই ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার। অধ্যাদেশে চার অপরাধের জন্য চাকরিচ্যুতির বিধান রাখা হয়েছে। তারা এ অধ্যাদেশকে ‘নিবর্তনমূলক ও কালাকানুন’ আখ্যায়িত করে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারীদের (আইনানুযায়ী সবাই কর্মচারী) চারটি বিষয়কে অপরাধের আওতাভুক্ত করা হয়।
সেগুলো হলো— কোনো সরকারি কর্মচারী যদি এমন কোনো কাজে লিপ্ত হন, যা অনানুগত্যের শামিল বা যা অন্য যেকোনো সরকারি কর্মচারীর মধ্যে অনানুগত্য সৃষ্টি করে। অথবা শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করে বা কর্তব্য সম্পাদনে বাধার সৃষ্টি করে। অন্যান্য কর্মচারীর সঙ্গে সমবেতভাবে বা এককভাবে ছুটি ছাড়া বা কোনো যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া নিজ কর্ম থেকে অনুপস্থিত থাকেন বা বিরত থাকেন বা কর্তব্য সম্পাদনে ব্যর্থ হন। এছাড়া কোনো কর্মচারীকে তার কর্ম থেকে অনুপস্থিত থাকতে বা বিরত থাকতে বা তার কর্তব্য পালন না করার জন্য উসকানি দেন বা প্ররোচিত করেন। অথবা যেকোনো সরকারি কর্মচারীকে তার কর্মে উপস্থিত হতে বা কর্তব্য সম্পাদনে বাধাগ্রস্ত করেন, তাহলে তিনি অসদাচরণের দায়ে দণ্ডিত হবেন।
অধ্যাদেশে বলা হয়, অভিযোগ গঠনের সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হবে। আর অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করা হলে তাকে কেন দণ্ড আরোপ করা হবে না, সে বিষয়ে আরও সাত কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২২ মে) বৈঠকে সংশোধিত সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের খসড়ার অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ। যা রোববার (২৫ মে) সন্ধ্যায় গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়।
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এসকে
সচিবালয়ে বিক্ষোভ চলছে
টানা চারদিন আন্দোলন চলার পর মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকেলে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কর্মচারীদের দাবি আগামীকাল বুধবার (২৮ মে) মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে তুলে ধরবেন দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিবেরা। এমন পরিস্থিতিতে আন্দোলন কর্মসূচি এক দিনের জন্য স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেন কর্মচারীরা।
এর আগে বিকেল পৌনে ৩টায় সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদসহ কয়েকজন সচিবের সঙ্গে আন্দোলনকারী কর্মচারী নেতারা বৈঠকে বসেন।
বৈঠক শেষে ভূমিসচিব সাংবাদিকদের বলেন, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলার জন্য তিনিসহ কয়েকজন সচিবকে আজ সকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব দায়িত্ব দেন। সে অনুযায়ী আজ তাঁরা আন্দোলনকারীদের কথা শুনেছেন। তাঁদের কথা আগামীকাল সকাল ১০টায় মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে তাঁরা জানাবেন। এ অবস্থায় কর্মচারীরা আগামীকাল কোনো কর্মসূচি করবেন না।
এদিকে বাংলাদেশ সচিবালয় সংযুক্ত কর্মকর্তা কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবির বলেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে আলোচনা করা পর্যন্ত আমরা আন্দোলন কর্মসূচি বন্ধ রাখবো। তবে দাবি আদায় না হলে বৃহস্পতিবার থেকে আবার আন্দোলন চলবে।
অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে টানা চতুর্থ দিনের মতো সচিবালয়ে বিক্ষোভ করেছেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা।
সচিবালয়ে কর্মচারীদের আন্দোলনের মধ্যেই ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার। অধ্যাদেশে চার অপরাধের জন্য চাকরিচ্যুতির বিধান রাখা হয়েছে। তারা এ অধ্যাদেশকে ‘নিবর্তনমূলক ও কালাকানুন’ আখ্যায়িত করে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারীদের (আইনানুযায়ী সবাই কর্মচারী) চারটি বিষয়কে অপরাধের আওতাভুক্ত করা হয়।
সেগুলো হলো— কোনো সরকারি কর্মচারী যদি এমন কোনো কাজে লিপ্ত হন, যা অনানুগত্যের শামিল বা যা অন্য যেকোনো সরকারি কর্মচারীর মধ্যে অনানুগত্য সৃষ্টি করে। অথবা শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করে বা কর্তব্য সম্পাদনে বাধার সৃষ্টি করে। অন্যান্য কর্মচারীর সঙ্গে সমবেতভাবে বা এককভাবে ছুটি ছাড়া বা কোনো যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া নিজ কর্ম থেকে অনুপস্থিত থাকেন বা বিরত থাকেন বা কর্তব্য সম্পাদনে ব্যর্থ হন। এছাড়া কোনো কর্মচারীকে তার কর্ম থেকে অনুপস্থিত থাকতে বা বিরত থাকতে বা তার কর্তব্য পালন না করার জন্য উসকানি দেন বা প্ররোচিত করেন। অথবা যেকোনো সরকারি কর্মচারীকে তার কর্মে উপস্থিত হতে বা কর্তব্য সম্পাদনে বাধাগ্রস্ত করেন, তাহলে তিনি অসদাচরণের দায়ে দণ্ডিত হবেন।
অধ্যাদেশে বলা হয়, অভিযোগ গঠনের সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হবে। আর অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করা হলে তাকে কেন দণ্ড আরোপ করা হবে না, সে বিষয়ে আরও সাত কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২২ মে) বৈঠকে সংশোধিত সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের খসড়ার অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ। যা রোববার (২৫ মে) সন্ধ্যায় গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়।
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এসকে
সচিবালয়ে বিক্ষোভ চলছে