​বগুড়ায় কোরবানির জন্য প্রস্তুত সাড়ে ৭ লাখ পশু

আপলোড সময় : ২৪-০৫-২০২৫ ১২:১০:১৫ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ২৪-০৫-২০২৫ ১২:১০:১৫ অপরাহ্ন
আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির জন্য বগুড়ায় ৭ লাখ ৪৬ হাজার ৮৪২টি পশু প্রস্তুত রয়েছে। স্থানীয় খামারে প্রস্তুত করা এসব পশু চাহিদা মিটিয়েও প্রায় সাড়ে ৩৮ হাজার উদ্বৃত্ত থাকবে। খাবারের মূল্য ও লালন-পালন খরচ বেশি হওয়ায় দাম আগের চেয়ে চড়া থাকার সম্ভবনা রয়েছে। তবে প্রাণিসম্পদ বিভাগ, খামারি, বেপারি, গৃহস্থ ও কোরবানিদাতারা আশা করছেন, বাজেটের মধ্যে কাঙ্ক্ষিত পশু মিলবে।

বগুড়া জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার অফিস সূত্র জানায়, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে এবার কোরবানির জন্য জেলার ১২ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রস্তুত করা হয়েছে ৭ লাখ ৪৬ হাজার ৮৪২টি বিভিন্ন ধরনের পশু। গত বছর ছিল ৭ লাখ ৩৪ হাজার ৪১৫টি। গত বছরের তুলনায় এবার চাহিদার উদ্বৃত্ত রয়েছে ১২ হাজার ৪২৭টি পশু। গত বছর জেলায় খামারির সংখ্যা ছিল ৪৮ হাজার ৪৫৩ জন। এ বছর ২ হাজার ৬৯৩ জন বেড়ে হয়েছে ৫১ হাজার ১৪৬ জন। তারাই সিংহভাগ কোরবানির পশু প্রস্তুত করেছেন। তবে এ বছর প্রস্তুত করা পশুর সঙ্গে কোরবানির পশুর চাহিদাও বেড়েছে। গত ঈদে পুরো জেলায় পশুর চাহিদা ছিল ৭ লাখ ৫ হাজার ২৬০টি। এবার চাহিদা ধরা হয়েছে, ৭ লাখ ৯ হাজার ১০টি। যা গত বছরের চেয়ে তিন হাজার ৮৫০টি বেশি। তবে চাহিদার চেয়ে কোরবানির পশু উদ্বৃত্ত রয়েছে ৩৮ হাজার ৪৩২টি। মজুদ পশুর মধ্যে ষাঁড় ১ লাখ ৯৩ হাজার ৫৯৯টি, বলদ গরু ৪২ হাজার ৭৪৬টি, গাভী ৮০ হাজার ৪২৬টিসহ মোট গরুর সংখ্যা তিন লাখ ১৬ হাজার ৭৭১টি। এছাড়াও মহিষ দুই হাজার ৩০৪টি, ছাগল ৩ লাখ ৮০ হাজার ৬৩২টি ও ভেড়া ৪৭ হাজার ১৪০টি।

বগুড়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিগত দিনে কোরবানির পশু ও সারা বছর খাওয়ার জন্য গোশতের চাহিদা মেটাতে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের ওপর নির্ভর করতে হয়েছে। গত কয়েক বছর ভারত থেকে গরু আসা বন্ধ হওয়ার পর সরকারি ও বেসরকারিভাবে পশু উৎপাদনে জোর দেওয়া হয়। এতে দেশে উৎপাদিত পশু দিয়ে কোরবানি ও সারা বছর খাওয়ার গোশতের চাহিদা মিটছে। তবে আগের চেয়ে পশু ও গোশতের দাম অনেক চড়া। কিন্তু চামড়ার মূল্য নেই বললেই চলে। দেশীয় পশুর মাধ্যমে কোরবানি ও খাওয়ার গোশতের চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত থাকছে।খাদ্য ও পশু লালন-পালনের খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় সবার প্রত্যাশিত বরাদ্দে কাঙ্ক্ষিত পশু মিলছে না। এতে মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন কোরবানির পশু কেনা নিয়ে সংকটে পড়বেন।

খামারিরা বলছেন, আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে জেলার খামারগুলোতে কোরবানির পশু প্রস্তুত করা হচ্ছে। তবে গো-খাদ্যের বাড়তি দামের কারণে তারা এসব পশুর প্রত্যাশিত মূল্য পাওয়া নিয়ে শঙ্কিত। তারা বলছেন, প্রতি বছর গো-খাদ্য ভূষি, ধানের কুড়া, খৈল, খড়, ঘাসসহ গো-খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এ কারণ প্রতি গরুতে প্রস্তুত খরচ ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর ১০০ কেজি ওজনের কোরবানির পশু প্রস্তুত করতে যে খরচ করতে হয়েছিল এবার তার সঙ্গে অন্তত ৩০ শতাংশ যোগ করতে হবে। ফলে কোরবানির হাট-বাজারে পশুর দাম স্বাভাবিকভাবেই বাড়বে।

বগুড়ার অতিরিক্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নাসরিন পারভিন বলেন, ‘প্রতি বছর কোরবানির জন্য তৈরি করা দেশীয় পশুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এ বছর চাহিদার তুলনায় প্রায় সাড়ে ৩৮ হাজার পশু বেশি রয়েছে। তাই বিগত বছরগুলোর মতো এবারে পশুর সংকট হবে না।’তিনি আরও জানান, তাদের নজরদারির কারণে প্রাণি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর স্টেরয়েড ও হরমোন জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করে পশু মোটাতাজা করা হয়নি বললেই চলে। তিনি আশা করেন, এ বছর কোরবানির পশুর বাজার মূল্য সহনীয় পর্যায়ে থাকবে।

বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এনআইএন

সম্পাদক ও প্রকাশক :

মোঃ কামাল হোসেন

অফিস :

অফিস : ৬/২২, ইস্টার্ণ প্লাাজা (৬ তলা), কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স, হাতিরপুল, ঢাকা।

ইমেইল :