গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পেল ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা

আপলোড সময় : ২২-০৫-২০২৫ ১০:৪৮:৪৪ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ২৩-০৫-২০২৫ ১১:২১:০১ পূর্বাহ্ন
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা আসামি গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পেয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাতে আইন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপন এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

আইনের সংশোধনীতে বলা হয়েছে, “তদন্তকারী কর্মকর্তা যদি প্রয়োজন মনে করেন, তাহলে তিনি তদন্ত বা বিচারের যে কোনো পর্যায়ে কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের জন্য প্রসিকিউশনের মাধ্যমে ট্রাইব্যুনাল থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিতে পারেন।“

গত ফেব্রুয়ারি মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল-১) কার্যবিধি, ২০১০-এর সংশোধনের খসড়া প্রস্তাবে প্রসিকিউটরদের গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়ার কথা বলা হয়।

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সরকার পতন আন্দোলনে প্রাণহানির বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সেই আন্দোলনে মানবতাবিরোধী অপরাধ হয়েছে মর্মে অভিযোগ এনে এরই মধ্যে দুটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা পড়েছে।

একটি প্রতিবেদনে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের নির্দেশদাতা হিসেবে চিহ্নিত করে পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের গ্রেপ্তার হওয়া মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীর পাশাপাশি শরিক দলের শীর্ষ নেতাদেরকেও গ্রেপ্তার দেখিয়ে ট্রাইব্যুনালে হাজির করানো হচ্ছে।

মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে ২০১০ সালে এই ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করে আওয়ামী লীগ সরকার। ১৫ বছর পর অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর ট্রাইব্যুনালটি পুনর্গঠন করা হয়। পদত্যাগ করেন তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশনের সদস্যরা।

পুনর্গঠিত প্রসিকিউশনের প্রধান হিসেবে নিয়োগ পান মো. তাজুল ইসলাম যিনি ট্রাইব্যুনালে এক সময় জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামীসহ বেশ কয়েকজনের পক্ষে আইনি লড়াই চালাতেন।

দ্রুত বিচারের জন্য ট্রাইব্যুনাল-২ও প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি দাবি তোলার পর আইন সংশোধন করে ব্যক্তির পাশাপাশি সংগঠনকেও বিচারের আওতায় আনার সুযোগ তৈরি করা হয়েছে।

বাংলা স্কুপ/প্রতিবেদক /এসকে

সম্পাদক ও প্রকাশক :

মোঃ কামাল হোসেন

অফিস :

অফিস : ৬/২২, ইস্টার্ণ প্লাাজা (৬ তলা), কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স, হাতিরপুল, ঢাকা।

ইমেইল :