
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে কলেজছাত্র হত্যা মামলায় দুই নারীসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন কিশোরগঞ্জের তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত। এছাড়া প্রত্যেক আসামিকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩ বিচারক ফাতেমা আক্তার স্বর্ণা এই রায় আদেশ দেন। প্রদত্ত সাজা ফাঁসির মাধ্যমে কার্যকর করার নির্দেশ দেন বিচারক। রায় ঘোষণার সময় মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত তিন আসামির মধ্যে দুইজন পলাতক ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দৌলতদিয়া গ্রামের মো. কাইয়ুম সরকারের স্ত্রী সেলিনা বেগম ওরফে শিউলী (২৫), একই জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার সোনারামপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের মেয়ে শোভা প্রকাশ মেঘলা (২০) এবং কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার ভৈরবপুর উত্তরপাড়ার মৃত সাহিল উদ্দিনের ছেলে মো. সুমন (২২)। সাজাপ্রাপ্ত আসামি শোভা প্রকাশ মেঘলা ও সুমন পলাতক রয়েছেন।
মামলা বিবরণে জানা যায়, কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার তারাকান্দি মধ্যপাড়ার মো. সামছুদ্দিন মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ আলী (২২)। ২০০৮ সালে মোহাম্মদ আলী ভৈরব হাজী হাসমত কলেজে বি.এস.সি প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিল। ২০০৮ সালের ৬ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে মোহাম্মদ আলী ও তার বন্ধু মুরাদকে ভৈরব হাজী হাসমত কলেজ গেটের ভেতরে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে দুষ্কৃতিকারীরা দুইজনকে এলোপাথাড়িভাবে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে। এ সময় অন্য ছাত্ররা তাদের উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোহাম্মদ আলীকে মৃত ঘোষণা করেন। আর গুরুতর আহত মুরাদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
এ ঘটনায় নিহত মোহাম্মদ আলীর বাবা সামছুদ্দিন মিয়া ২০০৮ সালের ৭ জানুয়ারি ভৈরব থানায় মামলা দায়ের করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান এবং রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এপিপি শফিউল জামান ভূঁইয়া।কিশোরগঞ্জের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আদালতের রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। আদালতের নির্দেশনায় সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তারা হত্যার সঠিক তথ্য উপস্থাপন করে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দৌলতদিয়া গ্রামের মো. কাইয়ুম সরকারের স্ত্রী সেলিনা বেগম ওরফে শিউলী (২৫), একই জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার সোনারামপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের মেয়ে শোভা প্রকাশ মেঘলা (২০) এবং কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার ভৈরবপুর উত্তরপাড়ার মৃত সাহিল উদ্দিনের ছেলে মো. সুমন (২২)। সাজাপ্রাপ্ত আসামি শোভা প্রকাশ মেঘলা ও সুমন পলাতক রয়েছেন।
মামলা বিবরণে জানা যায়, কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার তারাকান্দি মধ্যপাড়ার মো. সামছুদ্দিন মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ আলী (২২)। ২০০৮ সালে মোহাম্মদ আলী ভৈরব হাজী হাসমত কলেজে বি.এস.সি প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিল। ২০০৮ সালের ৬ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে মোহাম্মদ আলী ও তার বন্ধু মুরাদকে ভৈরব হাজী হাসমত কলেজ গেটের ভেতরে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে দুষ্কৃতিকারীরা দুইজনকে এলোপাথাড়িভাবে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে। এ সময় অন্য ছাত্ররা তাদের উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোহাম্মদ আলীকে মৃত ঘোষণা করেন। আর গুরুতর আহত মুরাদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
এ ঘটনায় নিহত মোহাম্মদ আলীর বাবা সামছুদ্দিন মিয়া ২০০৮ সালের ৭ জানুয়ারি ভৈরব থানায় মামলা দায়ের করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান এবং রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এপিপি শফিউল জামান ভূঁইয়া।কিশোরগঞ্জের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আদালতের রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। আদালতের নির্দেশনায় সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তারা হত্যার সঠিক তথ্য উপস্থাপন করে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন