বাংলাদেশের সংবিধান রচনা নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর আমিরের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে ৭২–এর সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্যদের পরিবার। শনিবার (১২ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সংবিধান স্বাধীন সার্বভৌম এই দেশের মাটিতেই রচনা করা হয়েছিল। ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের মাটিতে সংবিধান বিল গণপরিষদে পাস হয়। ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর সংবিধান কার্যকর হয়। সংবিধান প্রণয়ন কমিটির মধ্যে এখনো ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার এম আমীর–উল ইসলাম, অধ্যাপক আবু সৈয়দ ও আবদুল মুত্তাকিম চৌধুরী জীবিত আছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ দর্শনকে ধারণ করে লাখো শহীদের রক্তে লিখিত বাংলাদেশের সংবিধান। সংবিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে সরকার ১৯৭২ সালের ২৩ মার্চ গণপরিষদ আদেশ জারি করে। এই আদেশ জারির মধ্য দিয়ে সংবিধান রচনার আনুষ্ঠানিক কাজ শুরু হয়। সংবিধান খসড়া কমিটির সদস্যরা দিন-রাত পরিশ্রম করে জনগণের স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়ে রচনা করেন স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের সংবিধান।
প্রসঙ্গত, এর আগে সংবিধান সংস্কার হবে, না কি পুনর্লিখন হবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছিলেন, ‘যে সংবিধানটি রচিত হয়েছিল, সেটা ভারতে বসেই হয়েছিল। ভারত যখন স্বাধীনতাযুদ্ধে একটা গুরুত্বপূর্ণ রোল রেখেছে। সংবিধানটা বাংলাদেশে বসে রচিত করা যেত। শুধু ভারত নয়, দুনিয়ার এক্সপার্টদের আমরা ইনভাইট করে আনতে পারতাম। তাহলে আমাদের সংবিধানের জন্মভূমি হতো বাংলাদেশ। এটায় অনেক পক্ষ, অনেক কনসার্ন এক্সপ্রেস করেছে। পরবর্তীতে এসে আবার অনেক সংশোধনী এসেছে। এই সংশোধনীগুলো তারা যেটা প্রথম সংবিধান করেছিল, ওই জায়গায়ও থাকেনি।’
বাংলা স্কুপ/এসকে
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সংবিধান স্বাধীন সার্বভৌম এই দেশের মাটিতেই রচনা করা হয়েছিল। ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের মাটিতে সংবিধান বিল গণপরিষদে পাস হয়। ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর সংবিধান কার্যকর হয়। সংবিধান প্রণয়ন কমিটির মধ্যে এখনো ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার এম আমীর–উল ইসলাম, অধ্যাপক আবু সৈয়দ ও আবদুল মুত্তাকিম চৌধুরী জীবিত আছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ দর্শনকে ধারণ করে লাখো শহীদের রক্তে লিখিত বাংলাদেশের সংবিধান। সংবিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে সরকার ১৯৭২ সালের ২৩ মার্চ গণপরিষদ আদেশ জারি করে। এই আদেশ জারির মধ্য দিয়ে সংবিধান রচনার আনুষ্ঠানিক কাজ শুরু হয়। সংবিধান খসড়া কমিটির সদস্যরা দিন-রাত পরিশ্রম করে জনগণের স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়ে রচনা করেন স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের সংবিধান।
প্রসঙ্গত, এর আগে সংবিধান সংস্কার হবে, না কি পুনর্লিখন হবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছিলেন, ‘যে সংবিধানটি রচিত হয়েছিল, সেটা ভারতে বসেই হয়েছিল। ভারত যখন স্বাধীনতাযুদ্ধে একটা গুরুত্বপূর্ণ রোল রেখেছে। সংবিধানটা বাংলাদেশে বসে রচিত করা যেত। শুধু ভারত নয়, দুনিয়ার এক্সপার্টদের আমরা ইনভাইট করে আনতে পারতাম। তাহলে আমাদের সংবিধানের জন্মভূমি হতো বাংলাদেশ। এটায় অনেক পক্ষ, অনেক কনসার্ন এক্সপ্রেস করেছে। পরবর্তীতে এসে আবার অনেক সংশোধনী এসেছে। এই সংশোধনীগুলো তারা যেটা প্রথম সংবিধান করেছিল, ওই জায়গায়ও থাকেনি।’
বাংলা স্কুপ/এসকে