
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিলসহ চার দফা দাবিতে শনিবার (৩ মে) ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। সমাবেশ সফল করতে সারাদেশে তোড়জোড়ের সঙ্গে কাজ চালাচ্ছে সংগঠনটি।
গত রমজানেই ঢাকায় মহাসমাবেশ করার কথা ভেবেছিলেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। তখন রমজান মাসের শেষ দিকে ঢাকায় বৈঠকে বসেন হেফাজতের শীর্ষ নেতারা। যেখানে মূল ইস্যু ছিল—সংগঠনটির নেতাকর্মীদের নামে দায়ের হওয়া মামলা প্রত্যাহার এবং ‘শাপলা চত্বরে গণহত্যার’ বিচার।
হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, মামলা প্রত্যাহার পিছিয়ে গেলে নির্বাচনের পর নতুন যে সরকার ক্ষমতায় আসবে, তারা এসব মামলাগুলোকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। আমরা সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ সরকার তো ইতোমধ্যেই নির্বাচন দেয়ার একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নির্বাচনের আবহ তৈরি হলে আমাদের মামলাগুলো প্রত্যাহার হবে না। আমরা একটা রাজনৈতিক মারপ্যাঁচে পড়ে যাবো। সরকার তো অনেকের হাজারো দাবি মানছে, তাহলে আমাদের দাবি মানতে সমস্যা কোথায়?
হেফাজতের চার দফা হলো—
১. নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন ও এর প্রতিবেদন বাতিল করা।
২. সংবিধানে বহুত্বদের পরিবর্তে আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনর্বহাল করতে হবে।
৩. হেফাজতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সব মামলা প্রত্যাহার ও শাপলা চত্বরের কথিত হত্যাকাণ্ডসহ সব গণহত্যার বিচার করতে হবে।
৪. ফিলিস্তিন ও ভারতে ‘মুসলিম গণহত্যা ও নিপীড়ন বন্ধে’ সরকারকে ভূমিকা রাখতে হবে।
এ চার দফা দাবি নিয়ে হেফাজত ইসলামের নেতারা দেশের গুরুত্বপূর্ণ জেলার মাদরাসাগুলোতে সফর করেছেন। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মহাসমাবেশ সফল করার দিক-নির্দেশনা দেয়ার পাশাপাশি লোক জমায়েতেরও তাগিদ দিয়েছেন তৃণমূলে।
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এসকে
গত রমজানেই ঢাকায় মহাসমাবেশ করার কথা ভেবেছিলেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। তখন রমজান মাসের শেষ দিকে ঢাকায় বৈঠকে বসেন হেফাজতের শীর্ষ নেতারা। যেখানে মূল ইস্যু ছিল—সংগঠনটির নেতাকর্মীদের নামে দায়ের হওয়া মামলা প্রত্যাহার এবং ‘শাপলা চত্বরে গণহত্যার’ বিচার।
হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, মামলা প্রত্যাহার পিছিয়ে গেলে নির্বাচনের পর নতুন যে সরকার ক্ষমতায় আসবে, তারা এসব মামলাগুলোকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। আমরা সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ সরকার তো ইতোমধ্যেই নির্বাচন দেয়ার একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নির্বাচনের আবহ তৈরি হলে আমাদের মামলাগুলো প্রত্যাহার হবে না। আমরা একটা রাজনৈতিক মারপ্যাঁচে পড়ে যাবো। সরকার তো অনেকের হাজারো দাবি মানছে, তাহলে আমাদের দাবি মানতে সমস্যা কোথায়?
হেফাজতের চার দফা হলো—
১. নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন ও এর প্রতিবেদন বাতিল করা।
২. সংবিধানে বহুত্বদের পরিবর্তে আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনর্বহাল করতে হবে।
৩. হেফাজতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সব মামলা প্রত্যাহার ও শাপলা চত্বরের কথিত হত্যাকাণ্ডসহ সব গণহত্যার বিচার করতে হবে।
৪. ফিলিস্তিন ও ভারতে ‘মুসলিম গণহত্যা ও নিপীড়ন বন্ধে’ সরকারকে ভূমিকা রাখতে হবে।
এ চার দফা দাবি নিয়ে হেফাজত ইসলামের নেতারা দেশের গুরুত্বপূর্ণ জেলার মাদরাসাগুলোতে সফর করেছেন। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মহাসমাবেশ সফল করার দিক-নির্দেশনা দেয়ার পাশাপাশি লোক জমায়েতেরও তাগিদ দিয়েছেন তৃণমূলে।
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এসকে