
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আবাসিক হল ও মেসে থাকা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে চর্মরোগ ‘স্ক্যাবিস’। ছোঁয়াচে এই রোগে আক্রান্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মাশিহুল আলম হোসাইন।
রোগটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি জরুরি চিকিৎসা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন এই চিকিৎসক। তবে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে সঠিক চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ পাচ্ছেন বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। সোমবার (২৮ এপ্রিল) সরেজমিন বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে দেখা যায়, বিকেল থেকেই আক্রান্ত শিক্ষার্থীদের ভিড় জমেছে। কেউ সিরিয়ালে চিকিৎসক দেখানোর জন্য দাঁড়িয়ে আছেন, কেউবা ওষুধ পেতে অপেক্ষা করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সমাজবিজ্ঞান বিভাগের একজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘কয়েকদিন ধরেই শরীরে ব্যাপক চুলকাচ্ছে, লাল হয়ে যাচ্ছে। আমাদের রুমেও কয়েকজন একই সমস্যায় ভুগছে।’ আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমার হাতের আঙুল, পেট ও শরীরের কিছু স্পর্শকাতর জায়গায় চুলকানোর ফলে ফুলে গেছে। আজ চিকিৎসক দেখালাম।’ গড়ে প্রতিদিন চল্লিশের ওপরে শিক্ষার্থী স্ক্যাবিস রোগের চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার সূত্রে জানা গেছে।বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিকেল সেন্টারের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মাশিহুল আলম হোসাইন বলেন, শত শত চর্মরোগের মধ্যে সবচেয়ে ছোঁয়াচে রোগটির নাম ‘স্ক্যাবিস’। গত কয়েকদিন ধরেই একের পর এক এই রোগে আক্রান্ত রোগী আসছে। বিভিন্ন হল, মেসে বসবাসরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে এই ছোঁয়াচে রোগ।
রোগটির বর্ণনা দিতে গিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, ‘আঙুলের ফাঁকে, কব্জির সামনে, বগলে, নাভিতে ছোট ছোট ফুসকুড়ি নিয়ে শুরু হয় এই রোগ। বিশেষ করে রাতের বেলায় চুলকানির মাত্রা বেড়ে যায়। ক্লোজ কন্টাক্টে যারা থাকেন, তাদের মধ্যে রোগটি ছড়িয়ে যাওয়ার মাত্রা অনেক বেশি।’মেডিকেল সেন্টারে রোগটির ওষুধ থাকার বিষয়ে ডা. মাশিহুল আলম বলেন, ‘অবাক করা বিষয় হলো, মেডিকেল সেন্টারে স্ক্যাবিস রোগের ওষুধ ছিল না। পরে প্রধান চিকিৎসক ডা. মাফরুহা সিদ্দিকা লীপিকে বিষয়টি জানালে তিনি জরুরিভিত্তিতে ওষুধ সরবরাহের ব্যবস্থা করেন। এখন থেকে রাবি চিকিৎসাকেন্দ্রেই স্ক্যাবিসের চিকিৎসাসহ সব ওষুধ পাওয়া যাবে।’
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. মাফরুহা সিদ্দিকা লিপি বলেন, হলে বা মেসে অবস্থানকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগজনক হারে এই ছোঁয়াচে রোগ বাড়ছে। শিক্ষার্থীদের উচিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও সচেতন থাকা। এছাড়া একে অন্যের পোশাক-পরিচ্ছদ ব্যবহার না করা।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন
রোগটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি জরুরি চিকিৎসা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন এই চিকিৎসক। তবে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে সঠিক চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ পাচ্ছেন বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। সোমবার (২৮ এপ্রিল) সরেজমিন বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে দেখা যায়, বিকেল থেকেই আক্রান্ত শিক্ষার্থীদের ভিড় জমেছে। কেউ সিরিয়ালে চিকিৎসক দেখানোর জন্য দাঁড়িয়ে আছেন, কেউবা ওষুধ পেতে অপেক্ষা করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সমাজবিজ্ঞান বিভাগের একজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘কয়েকদিন ধরেই শরীরে ব্যাপক চুলকাচ্ছে, লাল হয়ে যাচ্ছে। আমাদের রুমেও কয়েকজন একই সমস্যায় ভুগছে।’ আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমার হাতের আঙুল, পেট ও শরীরের কিছু স্পর্শকাতর জায়গায় চুলকানোর ফলে ফুলে গেছে। আজ চিকিৎসক দেখালাম।’ গড়ে প্রতিদিন চল্লিশের ওপরে শিক্ষার্থী স্ক্যাবিস রোগের চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার সূত্রে জানা গেছে।বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিকেল সেন্টারের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মাশিহুল আলম হোসাইন বলেন, শত শত চর্মরোগের মধ্যে সবচেয়ে ছোঁয়াচে রোগটির নাম ‘স্ক্যাবিস’। গত কয়েকদিন ধরেই একের পর এক এই রোগে আক্রান্ত রোগী আসছে। বিভিন্ন হল, মেসে বসবাসরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে এই ছোঁয়াচে রোগ।
রোগটির বর্ণনা দিতে গিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, ‘আঙুলের ফাঁকে, কব্জির সামনে, বগলে, নাভিতে ছোট ছোট ফুসকুড়ি নিয়ে শুরু হয় এই রোগ। বিশেষ করে রাতের বেলায় চুলকানির মাত্রা বেড়ে যায়। ক্লোজ কন্টাক্টে যারা থাকেন, তাদের মধ্যে রোগটি ছড়িয়ে যাওয়ার মাত্রা অনেক বেশি।’মেডিকেল সেন্টারে রোগটির ওষুধ থাকার বিষয়ে ডা. মাশিহুল আলম বলেন, ‘অবাক করা বিষয় হলো, মেডিকেল সেন্টারে স্ক্যাবিস রোগের ওষুধ ছিল না। পরে প্রধান চিকিৎসক ডা. মাফরুহা সিদ্দিকা লীপিকে বিষয়টি জানালে তিনি জরুরিভিত্তিতে ওষুধ সরবরাহের ব্যবস্থা করেন। এখন থেকে রাবি চিকিৎসাকেন্দ্রেই স্ক্যাবিসের চিকিৎসাসহ সব ওষুধ পাওয়া যাবে।’
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. মাফরুহা সিদ্দিকা লিপি বলেন, হলে বা মেসে অবস্থানকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগজনক হারে এই ছোঁয়াচে রোগ বাড়ছে। শিক্ষার্থীদের উচিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও সচেতন থাকা। এছাড়া একে অন্যের পোশাক-পরিচ্ছদ ব্যবহার না করা।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন