বাংলা স্কুপ, ৮ অক্টোবর:
কলা খেলে শরীর ভাল থাকে, এমন কথা অনেক পুষ্টিবিদই বলেন। কলাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম আছে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। পুষ্টির ঘাটতি হলে অথবা শরীর দুর্বল হয়ে পড়লে, কলা খাওয়ারই পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু যা-ই খান না কেন, তা পরিমাণ মতোই খেতে হয়। স্বাস্থ্য ভাল রাখতে রোজ একগাদা কলা খেয়ে ফেললে উল্টে বিপদ বাড়বে। বেশি কলা খাওয়ার পরিণতি কী হতে পারে জেনে নেওয়া যাক
কলা খুবই উপকারী ফল, তবে দিনে ২টি বা ৩টির বেশি খাওয়া ঠিক নয়। পুষ্টিবিদদের মতে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬, পটাশিয়াম, ফাইবার সমৃদ্ধ কলা খেলে শরীরে শক্তি বাড়ে। ১টি কলা থেকে ৬৫ কিলো ক্যালোরি পাওয়া যায়। তা ছাড়া একটি মাঝারি মাপের কলায় থাকে ০.১ গ্রাম ফ্যাট, ১ গ্রাম প্রোটিন, ১৬.২ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ২৬৪ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম ও ১.১ গ্রাম ফাইবার। তাই দিনে ২টি থেকে ৩টি কলা খেলেই তা যথেষ্ট। তবে অবশ্যই শরীরের অবস্থা বুঝে। এর বেশি রোজ রোজ খেতে শুরু করলে নানাবিধ শারীরিক সমস্যা শুরু হতে পারে।
বেশি কলা খেলে কী কী সমস্যা হতে পারে?
# ওজন বাড়বে
কলাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে যা মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। তবে বেশি কলা খেতে শুরু করলে শরীরে ফাইবারের মাত্রা বাড়বে। তখন ওজন কমার বদলে বাড়তে শুরু করবে। কলাতে শর্করাও থাকে প্রচুর পরিমাণে। তাই বেশি খেলে পেট-কোমরের মেদ বাড়তে বাধ্য।
#ভোগাবে কোষ্ঠকাঠিন্য
কলায় রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে স্টার্চ। আর এই উপাদান কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়াতে পারে। কলাতে ট্যানিক অ্যাসিড আছে, যা বেশি পরিমাণে শরীরে ঢুকলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। পুষ্টিবিদের পরামর্শ, যাঁরা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন, তাঁরা দিনে ২টির বেশি কলা খাবেন না।
#ডায়াবিটিসের রোগীরা মেপে খান
কলার ‘গ্লাইসেমিক ইনডেক্স’ উপরের দিকেই। এত বেশি মাত্রায় শর্করা আছে যে রোজ প্রচুর পরিমাণে কলা খেতে থাকলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে পারে। ডায়াবিটিসের রোগীদের তাই রোজ কলা খেতে বারণ করা হয়।
# হাইপারক্যালেমিয়া
রোজ কলা খেলে শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। এই অবস্থাকে বিজ্ঞানের ভাষায় 'হাইপারক্যালেমিয়া' বলে। এই রোগে আক্রান্ত হলে কিডনি বিকল হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। কিডনির সমস্যা থাকলে কলা খাওয়া উচিত নয়। তা ছাড়া প্রয়োজনের অতিরিক্ত পটাশিয়াম শরীরে ঢুকলে পেশি ও স্নায়ুরও ক্ষতি হতে পারে।
#মাইগ্রেন
কলাতে টাইরামাইন নামে এক ধরনের যৌগ থাকে, যা বেশি মাত্রায় শরীরে গেলে মাইগ্রেনের সমস্যা ভোগাতে পারে। যাঁদের মাইগ্রেন আছে, তাঁদের কলা না খাওয়াই ভাল।
স্কুপ ডেস্ক/এসকে
কলা খেলে শরীর ভাল থাকে, এমন কথা অনেক পুষ্টিবিদই বলেন। কলাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম আছে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। পুষ্টির ঘাটতি হলে অথবা শরীর দুর্বল হয়ে পড়লে, কলা খাওয়ারই পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু যা-ই খান না কেন, তা পরিমাণ মতোই খেতে হয়। স্বাস্থ্য ভাল রাখতে রোজ একগাদা কলা খেয়ে ফেললে উল্টে বিপদ বাড়বে। বেশি কলা খাওয়ার পরিণতি কী হতে পারে জেনে নেওয়া যাক
কলা খুবই উপকারী ফল, তবে দিনে ২টি বা ৩টির বেশি খাওয়া ঠিক নয়। পুষ্টিবিদদের মতে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬, পটাশিয়াম, ফাইবার সমৃদ্ধ কলা খেলে শরীরে শক্তি বাড়ে। ১টি কলা থেকে ৬৫ কিলো ক্যালোরি পাওয়া যায়। তা ছাড়া একটি মাঝারি মাপের কলায় থাকে ০.১ গ্রাম ফ্যাট, ১ গ্রাম প্রোটিন, ১৬.২ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ২৬৪ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম ও ১.১ গ্রাম ফাইবার। তাই দিনে ২টি থেকে ৩টি কলা খেলেই তা যথেষ্ট। তবে অবশ্যই শরীরের অবস্থা বুঝে। এর বেশি রোজ রোজ খেতে শুরু করলে নানাবিধ শারীরিক সমস্যা শুরু হতে পারে।
বেশি কলা খেলে কী কী সমস্যা হতে পারে?
# ওজন বাড়বে
কলাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে যা মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। তবে বেশি কলা খেতে শুরু করলে শরীরে ফাইবারের মাত্রা বাড়বে। তখন ওজন কমার বদলে বাড়তে শুরু করবে। কলাতে শর্করাও থাকে প্রচুর পরিমাণে। তাই বেশি খেলে পেট-কোমরের মেদ বাড়তে বাধ্য।
#ভোগাবে কোষ্ঠকাঠিন্য
কলায় রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে স্টার্চ। আর এই উপাদান কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়াতে পারে। কলাতে ট্যানিক অ্যাসিড আছে, যা বেশি পরিমাণে শরীরে ঢুকলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। পুষ্টিবিদের পরামর্শ, যাঁরা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন, তাঁরা দিনে ২টির বেশি কলা খাবেন না।
#ডায়াবিটিসের রোগীরা মেপে খান
কলার ‘গ্লাইসেমিক ইনডেক্স’ উপরের দিকেই। এত বেশি মাত্রায় শর্করা আছে যে রোজ প্রচুর পরিমাণে কলা খেতে থাকলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে পারে। ডায়াবিটিসের রোগীদের তাই রোজ কলা খেতে বারণ করা হয়।
# হাইপারক্যালেমিয়া
রোজ কলা খেলে শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। এই অবস্থাকে বিজ্ঞানের ভাষায় 'হাইপারক্যালেমিয়া' বলে। এই রোগে আক্রান্ত হলে কিডনি বিকল হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। কিডনির সমস্যা থাকলে কলা খাওয়া উচিত নয়। তা ছাড়া প্রয়োজনের অতিরিক্ত পটাশিয়াম শরীরে ঢুকলে পেশি ও স্নায়ুরও ক্ষতি হতে পারে।
#মাইগ্রেন
কলাতে টাইরামাইন নামে এক ধরনের যৌগ থাকে, যা বেশি মাত্রায় শরীরে গেলে মাইগ্রেনের সমস্যা ভোগাতে পারে। যাঁদের মাইগ্রেন আছে, তাঁদের কলা না খাওয়াই ভাল।
স্কুপ ডেস্ক/এসকে