বাংলা স্কুপ, ৮ অক্টোবর:
আন্তর্জাতিক টি-২০ থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দিল্লিতে ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচের আগের দিন মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সংবাদ সম্মেলনে এসে অবসরের ঘোষণা দেন ৩৯ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার। নতুনদের সুযোগ দিতে এখনই সরে যাওয়ার সেরা সময় বলে জানিয়েছেন তিনি। মাহমুদউল্লাহ টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন আগেই, ২০২১ সালের জুলাই মাসে।
আগামীকাল ভারতের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি–টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। তার আগে মঙ্গলবার দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদউল্লাহ জানিয়েছেন, তিন ম্যাচের এই সিরিজ শেষেই তিনি আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টি থেকে অবসর নেবেন।
সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, এই সিরিজের শেষ ম্যাচের পরেই আমি টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেব। আসলে এটা আমি এই সফরে আসার আগেই ঠিক করে রেখেছিলাম। আমি আমার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। আমার কোচ, অধিনায়ক, নির্বাচক এবং বোর্ড সভাপতিকেও সিদ্ধান্ত জানিয়েছি। আমি মনে করি, এটাই সঠিক সময় এই সংস্করণ থেকে সরে গিয়ে সামনে ওয়ানডে যা আছে, সেদিকে মনোযোগ দেওয়ার। আমার জন্য এবং পরের (টি-টোয়েন্টি) বিশ্বকাপের কথা যদি ভাবি, দলের জন্যও এটাই সঠিক সময়।
২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে নাইরোবিতে কেনিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি অভিষেক মাহমুদউল্লাহর। বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১৩৯টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। ১১৭.৭৪ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন ২৩৯৫, গড় ২৩.৪৮। বাকি দুই ম্যাচ খেললে তাঁর টি–টোয়েন্টি ক্যারিয়ার শেষ হবে ১৪১ ম্যাচ খেলে। এর চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড আছে মাত্র দুজনের।
বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে নেতৃত্ব দেওয়ার রেকর্ডও তাঁর। ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ৪৩টি টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে টস করতে নেমেছেন মাহমুদউল্লাহ। ২০২১ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও নেতৃত্ব দিয়েছেন বাংলাদেশকে। বাংলাদেশের অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি জয়ও মাহমুদউল্লাহর। তবে তাঁর সমান ১৬টি জয় পেয়েছেন সাকিব আল হাসানও।
মাহমুদউল্লাহ জানিয়েছেন, তাঁর টি-২০ ক্যারিয়ারের সবচেয়ে হতাশার মুহূর্ত ভারতে অনুষ্ঠিত ২০১৬ টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে হার এবং ক্যারিয়ারের সেরা মুহূর্ত নিদাহাস ট্রফিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়। ওই জয়ে ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। রিয়াদ ১৮ বলে ৪৩ রান করেছিলেন।
মাহমুদউল্লাহ ২০২১ সালে জিম্বাবুয়ে সফরে গিয়ে টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিদায় নেন। এর আগে টেস্ট দল থেকে বাদ পড়েছিলেন তিনি। ওই সিরিজে কামব্যাক করে ক্যারিয়ার সেরা ১৫০ রানের ইনিংস খেলেই অবসরের ঘোষণা দেন। এছাড়া টি-২০ ও ওয়ানডে দল থেকেও বাদ দেওয়া হয়েছিল তাকে। কামব্যাক করে ভারতে ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে টি-২০ বিশ্বকাপ খেলেছেন।
বাংলাদেশ আগামী ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের মাটিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলবে। ওয়ানডে ফরম্যাটে হওয়া ওই আসরে খেলতে চান মাহমুদউল্লাহ । এরপর বিদায় বলে দিতে পারেন ওয়ানডে থেকেও।
তিনি জাতীয় দলের হয়ে ৫০ টেস্টে ২৯১৪ রান করেছেন। ৪৩টি উইকেট নিয়েছেন। এখন পর্যন্ত ১৩৯ টি-২০ ম্যাচ খেলে ২৩৯৫ রান ও ৪০ উইকেট নিয়েছেন।
স্কুপ ডেস্ক/এসকে
আন্তর্জাতিক টি-২০ থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দিল্লিতে ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচের আগের দিন মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সংবাদ সম্মেলনে এসে অবসরের ঘোষণা দেন ৩৯ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার। নতুনদের সুযোগ দিতে এখনই সরে যাওয়ার সেরা সময় বলে জানিয়েছেন তিনি। মাহমুদউল্লাহ টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন আগেই, ২০২১ সালের জুলাই মাসে।
আগামীকাল ভারতের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি–টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। তার আগে মঙ্গলবার দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদউল্লাহ জানিয়েছেন, তিন ম্যাচের এই সিরিজ শেষেই তিনি আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টি থেকে অবসর নেবেন।
সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, এই সিরিজের শেষ ম্যাচের পরেই আমি টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেব। আসলে এটা আমি এই সফরে আসার আগেই ঠিক করে রেখেছিলাম। আমি আমার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। আমার কোচ, অধিনায়ক, নির্বাচক এবং বোর্ড সভাপতিকেও সিদ্ধান্ত জানিয়েছি। আমি মনে করি, এটাই সঠিক সময় এই সংস্করণ থেকে সরে গিয়ে সামনে ওয়ানডে যা আছে, সেদিকে মনোযোগ দেওয়ার। আমার জন্য এবং পরের (টি-টোয়েন্টি) বিশ্বকাপের কথা যদি ভাবি, দলের জন্যও এটাই সঠিক সময়।
২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে নাইরোবিতে কেনিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি অভিষেক মাহমুদউল্লাহর। বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১৩৯টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। ১১৭.৭৪ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন ২৩৯৫, গড় ২৩.৪৮। বাকি দুই ম্যাচ খেললে তাঁর টি–টোয়েন্টি ক্যারিয়ার শেষ হবে ১৪১ ম্যাচ খেলে। এর চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড আছে মাত্র দুজনের।
বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে নেতৃত্ব দেওয়ার রেকর্ডও তাঁর। ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ৪৩টি টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে টস করতে নেমেছেন মাহমুদউল্লাহ। ২০২১ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও নেতৃত্ব দিয়েছেন বাংলাদেশকে। বাংলাদেশের অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি জয়ও মাহমুদউল্লাহর। তবে তাঁর সমান ১৬টি জয় পেয়েছেন সাকিব আল হাসানও।
মাহমুদউল্লাহ জানিয়েছেন, তাঁর টি-২০ ক্যারিয়ারের সবচেয়ে হতাশার মুহূর্ত ভারতে অনুষ্ঠিত ২০১৬ টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে হার এবং ক্যারিয়ারের সেরা মুহূর্ত নিদাহাস ট্রফিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়। ওই জয়ে ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। রিয়াদ ১৮ বলে ৪৩ রান করেছিলেন।
মাহমুদউল্লাহ ২০২১ সালে জিম্বাবুয়ে সফরে গিয়ে টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিদায় নেন। এর আগে টেস্ট দল থেকে বাদ পড়েছিলেন তিনি। ওই সিরিজে কামব্যাক করে ক্যারিয়ার সেরা ১৫০ রানের ইনিংস খেলেই অবসরের ঘোষণা দেন। এছাড়া টি-২০ ও ওয়ানডে দল থেকেও বাদ দেওয়া হয়েছিল তাকে। কামব্যাক করে ভারতে ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে টি-২০ বিশ্বকাপ খেলেছেন।
বাংলাদেশ আগামী ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের মাটিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলবে। ওয়ানডে ফরম্যাটে হওয়া ওই আসরে খেলতে চান মাহমুদউল্লাহ । এরপর বিদায় বলে দিতে পারেন ওয়ানডে থেকেও।
তিনি জাতীয় দলের হয়ে ৫০ টেস্টে ২৯১৪ রান করেছেন। ৪৩টি উইকেট নিয়েছেন। এখন পর্যন্ত ১৩৯ টি-২০ ম্যাচ খেলে ২৩৯৫ রান ও ৪০ উইকেট নিয়েছেন।
স্কুপ ডেস্ক/এসকে