
মে দিবস ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে টানা তিন দিনের ছুটি পেতে যাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। সরকারি ছুটির ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ১ মে বিশ্ব শ্রমিক দিবস বা মে দিবস উপলক্ষে সাধারণ ছুটি নির্ধারিত রয়েছে।
এ বছর মে দিবস পড়েছে বৃহস্পতিবার। এর পর শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। ফলে ১ থেকে ৩ মে পর্যন্ত সরকারি চাকরিজীবীরা পাবেন টানা তিন দিনের ছুটি।
বিশ্বজুড়ে শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের প্রতীকী দিন হিসেবে পালিত হয় মে দিবস। ১ মে দিনটি শ্রম দিবস বা আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস। তবে এ দিবস পালনের পেছনে রয়েছে ঊনবিংশ শতাব্দী ও তার আগের শ্রমিকদের বঞ্চনার করুণ ইতিহাস।
এ সংগ্রাম ও ইতিহাসের শুরুটা ঘটে যুক্তরাষ্ট্রে। ১৮৮৬ সালের এ দিনে শিকাগো শহরের হে মার্কেটে ক্রমেই জড়ো হতে থাকেন শ্রমিকরা। তাদের দাবি ছিল, ন্যায্য মজুরি এবং কাজের জন্য নির্ধারিত সময়। যুগের পর যুগ তাদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া বঞ্চনার প্রতিবাদ ছিল এই আন্দোলন। একেকজন শ্রমিককে সেই সময় বাধ্যতামূলক খাটানো হতো ১৫ থেকে ১৬ ঘন্টা, বিনিময়ে পারিশ্রমিক ছিল খুবই সামান্য।
শ্রমিকদের সেই আন্দোলনে ঘটে এক অনাকাঙ্খিত ঘটনা। হঠাৎ শ্রমিকদেরকে ঘিরে থাকা ভিড় থেকে কেউ একজন পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করেন। ঘটনার আকস্মিকতায় সেদিন বিহ্বল ছিলেন আন্দোলনে অংশ নেয়া প্রায় সবাই। এ ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই গুলিবর্ষণ করে পুলিশ। আর ঝরে পড়ে ১০ থেকে ১২টি তাজা প্রাণ। পুলিশসহ ওই ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা ছিল আরও অনেক।
বিশ্বজুড়ে শ্রমজীবী মানুষের বঞ্চনার পাশাপাশি কন্ঠরোধের চেষ্টায় নির্মম এক ইতিহাস তৈরি হয় সেদিন। ন্যায্য দাবির জন্য আন্দোলনে প্রাণ হারানো সে মানুষগুলোর স্মরণে প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্রে পালন করা হয় আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস। পরে বিশ্বজুড়ে নিজেদের অধিকার আদায়ে ইতিহাস সৃষ্টির এক নিদর্শন হিসেবে পালন করা হতে থাকে এ শ্রম দিবস কিংবা মে দিবস।
এরপর ১৮৮৯ সালে ফরাসি বিপ্লবের শতবার্ষিকীতে প্যারিসে অনুষ্ঠিত কংগ্রেসে, পরের বছর থেকে এ প্রতিবাদের বার্ষিকী পালন করার প্রস্তাব করেন রেমন্ড লাভিনে। সেখান থেকেই আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসের সূচনা হয়। আর ১৮৯১ সালে প্যারিসেই দ্বিতীয় কংগ্রেসে এই প্রস্তাব আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয়। প্রথমবারের মতো স্বীকৃতি পায় মে দিবস।
বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় ৮০টি দেশে পয়লা মে জাতীয় ছুটির দিন। দিবসটি উপলক্ষে শ্রমিক সংগঠনগুলো মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে তাদের অধিকারসহ দাবি তুলে ধরে।
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এসকে
এ বছর মে দিবস পড়েছে বৃহস্পতিবার। এর পর শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। ফলে ১ থেকে ৩ মে পর্যন্ত সরকারি চাকরিজীবীরা পাবেন টানা তিন দিনের ছুটি।
বিশ্বজুড়ে শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের প্রতীকী দিন হিসেবে পালিত হয় মে দিবস। ১ মে দিনটি শ্রম দিবস বা আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস। তবে এ দিবস পালনের পেছনে রয়েছে ঊনবিংশ শতাব্দী ও তার আগের শ্রমিকদের বঞ্চনার করুণ ইতিহাস।
এ সংগ্রাম ও ইতিহাসের শুরুটা ঘটে যুক্তরাষ্ট্রে। ১৮৮৬ সালের এ দিনে শিকাগো শহরের হে মার্কেটে ক্রমেই জড়ো হতে থাকেন শ্রমিকরা। তাদের দাবি ছিল, ন্যায্য মজুরি এবং কাজের জন্য নির্ধারিত সময়। যুগের পর যুগ তাদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া বঞ্চনার প্রতিবাদ ছিল এই আন্দোলন। একেকজন শ্রমিককে সেই সময় বাধ্যতামূলক খাটানো হতো ১৫ থেকে ১৬ ঘন্টা, বিনিময়ে পারিশ্রমিক ছিল খুবই সামান্য।
শ্রমিকদের সেই আন্দোলনে ঘটে এক অনাকাঙ্খিত ঘটনা। হঠাৎ শ্রমিকদেরকে ঘিরে থাকা ভিড় থেকে কেউ একজন পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করেন। ঘটনার আকস্মিকতায় সেদিন বিহ্বল ছিলেন আন্দোলনে অংশ নেয়া প্রায় সবাই। এ ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই গুলিবর্ষণ করে পুলিশ। আর ঝরে পড়ে ১০ থেকে ১২টি তাজা প্রাণ। পুলিশসহ ওই ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা ছিল আরও অনেক।
বিশ্বজুড়ে শ্রমজীবী মানুষের বঞ্চনার পাশাপাশি কন্ঠরোধের চেষ্টায় নির্মম এক ইতিহাস তৈরি হয় সেদিন। ন্যায্য দাবির জন্য আন্দোলনে প্রাণ হারানো সে মানুষগুলোর স্মরণে প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্রে পালন করা হয় আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস। পরে বিশ্বজুড়ে নিজেদের অধিকার আদায়ে ইতিহাস সৃষ্টির এক নিদর্শন হিসেবে পালন করা হতে থাকে এ শ্রম দিবস কিংবা মে দিবস।
এরপর ১৮৮৯ সালে ফরাসি বিপ্লবের শতবার্ষিকীতে প্যারিসে অনুষ্ঠিত কংগ্রেসে, পরের বছর থেকে এ প্রতিবাদের বার্ষিকী পালন করার প্রস্তাব করেন রেমন্ড লাভিনে। সেখান থেকেই আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসের সূচনা হয়। আর ১৮৯১ সালে প্যারিসেই দ্বিতীয় কংগ্রেসে এই প্রস্তাব আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয়। প্রথমবারের মতো স্বীকৃতি পায় মে দিবস।
বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় ৮০টি দেশে পয়লা মে জাতীয় ছুটির দিন। দিবসটি উপলক্ষে শ্রমিক সংগঠনগুলো মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে তাদের অধিকারসহ দাবি তুলে ধরে।
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এসকে