
গত বছরের জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর চানখারপুলে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের গুলিতে নিহত হন দশম শ্রেণির ছাত্র শাহরিয়ার খান আনাস। এ ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করা হয়। আনাস হত্যার ঘটনায় ৮ জনকে অভিযুক্ত করে ট্রাইব্যুনালে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করেছে তদন্ত সংস্থা।
সোমবার (২১ এপ্রিল) জুলাই-আগস্ট গণহত্যার এটি প্রথম পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
জুলাই গণহত্যার ঘটনায় যেসব মামলা হয়েছে, এ মামলার প্রতিবেদন সেগুলোর মধ্যে প্রথম কোনো পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন। এর মাধ্যমে জুলাই গণহত্যার কোনো মামলার তদন্ত শেষ হলো।
প্রতিবেদনে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ ৮ পুলিশ সদস্যকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্ত আসামিদের মধ্যে গ্রেপ্তার রয়েছেন ইন্সপেক্টর আরশাদ, কনস্টেবল মো. সুজন, কনস্টেবল ইমাজ হোসেন ইমন ও কনস্টেবল নাসিরুল ইসলাম।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগরীর চানখারপুল এলাকায় প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যাবহার করে জুলাই অভ্যুত্থানের সময় শাহরিয়ার খান আনাস, শেখ মাহদি হাসান জুনায়েদ, মো ইয়াকুব, মো রাকিব হাওলাদার, মো. ইসমামুল হক, এবং মানিক মিয়া শাহরিকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট গেন্ডারিয়ার বাসা থেকে গোপনে বেরিয়ে চানখাঁরপুলে আন্দোলনে যোগ দেয় দশম শ্রেণির ছাত্র আনাস। সেখানে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় সে। আনাস বাসা থেকে বের হওয়ার আগে তার স্কুলের খাতায় বাবা-মায়ের উদ্দেশ্যে একটি চিঠি লিখে আসে। চিঠিতে সে বলে, আমি যদি বেঁচে না ফিরি, তবে গর্বিত হইয়ো। জীবনে প্রতিটি ভুলের জন্য ক্ষমা চাই। এ ঘটনায় তার বাবা পলাশ প্রধানমন্ত্রীসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেন।
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এসকে
সোমবার (২১ এপ্রিল) জুলাই-আগস্ট গণহত্যার এটি প্রথম পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
জুলাই গণহত্যার ঘটনায় যেসব মামলা হয়েছে, এ মামলার প্রতিবেদন সেগুলোর মধ্যে প্রথম কোনো পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন। এর মাধ্যমে জুলাই গণহত্যার কোনো মামলার তদন্ত শেষ হলো।
প্রতিবেদনে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ ৮ পুলিশ সদস্যকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্ত আসামিদের মধ্যে গ্রেপ্তার রয়েছেন ইন্সপেক্টর আরশাদ, কনস্টেবল মো. সুজন, কনস্টেবল ইমাজ হোসেন ইমন ও কনস্টেবল নাসিরুল ইসলাম।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগরীর চানখারপুল এলাকায় প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যাবহার করে জুলাই অভ্যুত্থানের সময় শাহরিয়ার খান আনাস, শেখ মাহদি হাসান জুনায়েদ, মো ইয়াকুব, মো রাকিব হাওলাদার, মো. ইসমামুল হক, এবং মানিক মিয়া শাহরিকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট গেন্ডারিয়ার বাসা থেকে গোপনে বেরিয়ে চানখাঁরপুলে আন্দোলনে যোগ দেয় দশম শ্রেণির ছাত্র আনাস। সেখানে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় সে। আনাস বাসা থেকে বের হওয়ার আগে তার স্কুলের খাতায় বাবা-মায়ের উদ্দেশ্যে একটি চিঠি লিখে আসে। চিঠিতে সে বলে, আমি যদি বেঁচে না ফিরি, তবে গর্বিত হইয়ো। জীবনে প্রতিটি ভুলের জন্য ক্ষমা চাই। এ ঘটনায় তার বাবা পলাশ প্রধানমন্ত্রীসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেন।
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এসকে