জুঁইকে পাঁচজনের ধর্ষণ, পরে শ্বাসরোধে হত্যা: পুলিশ
স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় :
২০-০৪-২০২৫ ০৭:৫১:২৫ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
২০-০৪-২০২৫ ০৭:৫১:২৫ অপরাহ্ন
প্রতীকী ছবি
নাটোরের বড়াইগ্রাম জেলার সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যায় জড়িত থাকায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, তারা ধর্ষণের পর পরনের কাপড় দিয়ে শিশুটির শ্বাসরোধে হত্যা করে। এমনকি শিশুটিকে যাতে চেনা না যায় সেজন্য এসিড জাতীয় পদার্থ দিয়ে ঝলসে দেওয়া হয় মুখও।
রোববার (২০ এপ্রিল) দুপুরে পাবনার চাটমোহর থানায় স্থানীয় সাংবাদিকদের এক প্রেস ব্রিফিং এ তথ্য জানান থানার অফিসার ইনচার্জ মনজুরুল আলম।
নির্যাতনের শিকার জুঁই (৭) বড়াইগ্রাম উপজেলার বড় গারফা গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী জাহেরুল ইসলামের মেয়ে।
গ্রেপ্তাররা হলেন, বড়াইগ্রাম উপজেলার গড়ফা গ্রামের সোহেল রানা (২৫), শেখ সাদি (১৬), শাকিব (১৬), দিয়ার গাড়ফা গরমাটি গ্রামের সিয়াম (১৩) চাটমোহর উপজেলার রামপুর গ্রামের আবদুল্লাহ (১৬)।
ওসি জানান, গত ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখের দিন বিকেলে শিশু জুঁই তার দাদীর বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। সেখান থেকে প্রতিবেশীর আম বাগানে আম কুড়াতে যায়। সেখান থেকে ওই তরুণরা তাকে ভুলিয়ে পাশের কলা বাগানে নিয়ে ধর্ষণ ও শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে মরদেহ যাতে কেউ চিনতে না পারে সেজন্য মুখে এসিড জাতীয় পদার্থ দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তাররা পহেলা বৈশাখের দিন গাঁজা সেবন করে ফুর্তির পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু টাকা জোগাড় করতে না পেরে শিশু জুঁইকে পেয়ে নির্যাতন চালায়। ঘটনার পর বড়াইগ্রাম ও চাটমোহর থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার ও ঘটনার ক্লু উদঘাটন করতে সক্ষম হয়। পরে তাদের পাবনা আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৪ এপ্রিল বিকেলে দাদীর কাছে যাবার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় শিশু জুঁই। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ পায়নি পরিবার। পরদিন ১৫ এপ্রিল বাড়ির পাশে একটি ভুট্টা ক্ষেত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত শিশুর মা বাদি হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে চাটমোহর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স