সুন্দরবনে মধু আহরণ শেষে ফিরতে শুরু করেছেন মৌয়ালরা। ১৫ দিনের পাশ নিয়ে পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জে প্রবেশ করেন। এবারে প্রতিজন মৌয়াল ১৫ থেকে ২০ মণ পর্যন্ত মধু আহরণ করতে পেরেছেন বলে জানান তারা।
প্রথমে মধু আহরণের পাশ দেয়া শুরু হয় গত ১ এপ্রিল থেকে। তবে ঈদুল ফিতরের কারণে এক সপ্তাহ দেরিতে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে সুন্দরবনে প্রবেশ করেন। প্রবেশের আগে আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসীর দোয়া নিয়ে যাত্রা শুরু করেন মৌয়ালরা। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই তারা যান মধু সংগ্রহে।
ফিরে আসা মৌয়ালদের একজন বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, যা হয়েছে আমরা তাতে সন্তুষ্ট।’ তারা জানান, সুন্দরবনের গভীরে গিয়ে প্রতিনিয়ত বাঘ ও বনদস্যুর ভয় তাদের তাড়া করে বেড়ায়। একজন মৌয়াল বলেন, ‘বনদস্যুর হাতে ধরা পড়লে প্রতিটি নৌকার জন্য ৫০ হাজার টাকা দিতে হতো।’
গাবুরার হরিশখালি এলাকার মৌয়াল বিল্লাল সাজোনি বলেন, ‘মধু খোঁজা আর বাঘ খোঁজা একই কথা। বাঘও থাকে ঝোপে, মধুও থাকে ঝোপে।’তিনি আরও জানান, ‘এ বছর বৃষ্টি না হওয়ায় মধুর পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম। তবে এবার নৌকা কম হওয়ায় সবাই কমবেশি মধু পেয়েছে।’সুন্দরবন থেকে নিরাপদে ফিরে আসতে পেরে মৌয়ালরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতের জন্যও নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানান।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন