দেশে প্রথমবারের মতো পাইপলাইনে জ্বালানি তেল পরিবহন শুরু হচ্ছে মে-তে। চট্টগ্রাম থেকে নারায়নগঞ্জ পর্যন্ত আড়াইশ কিলোমিটার দীর্ঘ লাইন এবং আনুষঙ্গিক স্থাপনা নির্মাণ শেষে পরীক্ষাও হয়েছে সফলভাবে। বিপিসি বলছে, এ উদ্যোগের ফলে বিপ্লব ঘটবে তেল পরিবহনে। যে কার্যক্রম চালাতে গঠন করা হয়েছে পিটিসি নামে ১টি কোম্পানিও।
আমদানির পর পরিশোধন শেষে চট্টগ্রাম থেকে নারায়ণগঞ্জ-ঢাকায় জ্বালানি তেল পরিবহন হয়ে আসছে নৌপথে। এ প্রক্রিয়াকে নির্বিঘ্ন, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী করতে মাটির নিচ দিয়ে আড়াইশ কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপলাইন স্থাপন করেছে সরকার। বিপিসির অর্থায়নে ৩ হাজার ৬শ ৫৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকায় পদ্মা অয়েল কোম্পানির তত্ত্বাবধানে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে সেনাবাহিনীর ৩৪ কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড। ২০১৮ সালের অক্টোবরে শুরু হয়ে যা শেষ হয় গেল মার্চে। পতেঙ্গা থেকে কুমিল্লা হয়ে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা-গোদনাইল পর্যন্ত নির্মাণ করা হয় ৪টি স্থাপনা। সবশেষ ফেব্রুয়ারি ও মার্চে হয় ২ দফায় কমিশনিং। মে-তে শুরু হবে বাণিজ্যিক কার্যক্রম।
চট্টগ্রাম থেকে প্রথম পর্যায়ে পাঠানো হবে ডিজেল। পরবর্তীতে অন্যান্য জ্বালানি পাঠানোর সুযোগও রাখা হয়েছে এই পাইপলাইন ব্যবস্থায়। তখন কুমিল্লা, নারায়নগঞ্জ বা ঢাকা অঞ্চলে কিছু সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। পদ্মা অয়েল থেকে এই পাইপলাইনে বছরে পরিবহন সম্ভব হবে ২৭ লাখ টন জ্বালানি। বর্তমানে নারায়নগঞ্জ-ঢাকায় যায় প্রায় ২৩ লাখ টন। যার মধ্যে ডিজেল কম-বেশি ১৮ লাখ টন। সিডিপিএল প্রকল্প চালু হলে পরিবহন আর অপচয় খাতে সাশ্রয় হবে বছরে ২শ ৩৬ কোটি টাকা। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান আমিন উল আহসান বলেন, যখন জ্বালানি তেল ট্যাঙ্কারে নেয়া হতো তখন অপচয়ের সম্ভাবনা ছিলো। আর পাইপলাইনে সরবরাহ করা হলে কোনো অপচয় হবে না। পাইপলাইনে সচরাচর মজুত থাকবে ২৪ হাজার ৫শ টন তেল। যা যে কোনো সময় বের করা সম্ভব।
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এনআইএন