ওবায়দুল কাদেরের ভগ্নিপতিকে পিটিয়ে-কুপিয়ে জখম
আপলোড সময় :
০৫-১০-২০২৪ ০২:৫৫:৩১ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
০৫-১০-২০২৪ ০২:৫৬:০৩ অপরাহ্ন
সংবাদচিত্র : সংগৃহীত
বাংলা স্কুপ, ৫ অক্টোবর:
নোয়াখালী জেলা পরিষদ ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য মনিরুজ্জামান মনিরকে (৫৬) কুপিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভগ্নিপতি।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার চরহাজারী ইউনিয়নের চরহাজারী চৌরাস্তা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ওই সময় তাকে দুর্বৃত্তরা এলোপাথাড়ি পিটিয়ে ও মাথায় কুপিয়ে রক্তাক্ত করে রাস্তার পাশে ফেলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
মনিরুজ্জামান মনির নোয়াখালী জেলা পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য। তাঁর বাবার নাম মৃত আক্তারুজ্জামান।
আহত মনিরের ভাতিজা রাজীব অভিযোগ করে বলেন, তার চাচা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে উপজেলার বসুরহাট বাজারের ৩নম্বর ওয়ার্ডের নিজ বাসায় থাকতেন। শুক্রবার জুমার নামাজ পড়ার জন্য নিজের গ্রামের বাড়ি উপজেলার চরপার্শ্বর্বতী ইউনিয়নের কদমতলা বাজার এলাকায় যান। নামাজ শেষে ফেরার পথে চরহাজারী ইউনিয়নের চৌরাস্তা এলাকায় পৌঁছলে দুর্বৃত্তরা তার গতিরোধ করে। এরপর অস্ত্রধারীরা তাকে বেধড়ক পিটিয়ে ও মাথায় কুপিয়ে গুরুতর আহত করে রাস্তার পাশে ফেলে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরে জেলা শহর মাইজদীর একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে চিকিৎসকের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়।
চরপার্বতী ইউনিয়নের কদমতলা বাজার এলাকার নাম প্রকাশ না করে শর্তে একাধিকজন জানান, ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে তার ছোট ভাই বসুরকাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ছাড়া পরিবারের আর কোনো সদস্যের যোগাযোগ বা তেমন সম্পর্ক নেই। তার অন্যান্য ভাই-বোনও ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন না। তবে তারা বলেন, তার ছোট বোনের জামাই জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আহত মনির ভালো মনের মানুষ ছিলেন।
মনিরের পরিবারে সদস্যরা দাবি করে বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা জড়িত।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমান রিপন বলেন, হামলার বিষয়টি শুনেছি। তবে এ ঘটনায় বিএনপির কেউ জড়িত নয়। হামলাকারী যেই হোক তাদেরকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাটি শোনার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ থানায় অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডেস্ক/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স